উইন্ডোজ ১১ এর জন্য ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর ২০২৩
আপনি কি উইন্ডোজ ১১ এর জন্য ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। বর্তমানে অনেক অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর রয়েছে তবে অনেকের মধ্যে কোনটি সেরা তা অনেকেরই অজানা। তাই উইন্ডোজ ১১ এর জন্য ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর সম্পর্কে জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
ব্লুস্টেকে রয়েছে গেম কন্ট্রোল, মাল্টি ইনস্ট্যান্ট, ইকোমোড, পারফর্মেন্স মোড, ট্রিম মেমোরি, এক্সবক্স এবং পি এস ফোর কন্ট্রোলারের জন্য বেশ কিছু নেটিভ ফাংশন। সহজ ভাবে বলতে গেলে ব্লু স্টেক গেমিং পারফরমেন্সের জন্য একটি বেস্ট এমুলেটর গেম খেলার সময় কখনও আপনি পারফরমেন্সের সীমাবদ্ধতা অনুভব করবেন না।
এছাড়াও এটি উইন্ডোজ 7 এবং 8.1 এ ব্যবহার করা যায় এবং এটি আপনি ফ্রিতেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে আপনি যদি পিসির জন্য একটি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর খুঁজছেন তবে ব্লু স্ট্যাগের নাম অবশ্যই শীর্ষে আসবে।
ব্লু স্ট্যাক ইন্সটলের পর আপনি সরাসরি প্লে স্টোর পাবেন না ব্লুয়ে স্ট্যাক এর ভিতরেই একটি আলাদা মডিউল ইন্সটল করে আপনি গুগল প্লে স্টোর পেতে পারেন। গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে আপনি অ্যান্ড্রয়েড গেম ডাউনলোড করে আপনার ইচ্ছামত মাউস এবং কিবোর্ডের কী ম্যাপিং করে আপনার পছন্দের গেম গুলো খেলতে পারেন।
এই এমুলেটরটি দ্রুততম এমুলেটর নয়, তবে এটি এমন কয়েকটি নির্বাচিতদের মধ্যে একটি যা সর্বদা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ পরীক্ষার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ বলা যেতে পারে। আপনার যদি একটি লো কনফিগারের পিসি থাকে তাহলে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও স্পিড আরো ধীরগতি হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার পিসি অনুযায়ী অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিওর মতো আলাদা কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
এলডি প্লেয়ারের সর্ব শেষ আপডেট ভার্সন এলডি প্লেয়ার ৯ যেটিতে এন্ড্রয়েড গেম গেনসিন ইম্প্যাক্ট ব্লু আর্কাইভ এপিক ৭ এবং অনেক কিছু চালানোর জন্য অ্যান্ড্রয়েড নাইন পায়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এটি অনেক লাইট ওয়েট এমুলেটর। গেম ডাউনলোডের জন্য এটির মধ্যে রয়েছে একটি ডেডিকেটেড অ্যাপ স্টোর।
এছাড়াও আপনি ইমুলেটরটি একবারে একাধিক এপ্লিকেশন এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস চালানোর সক্ষমতা প্রদান করে। আপনি এটিতে Android Nougat (7.1.2), Kit Kat (4.4) এবং Lollipop (5.0) ব্যবহার করতে পারেন।
এই এমুলেটরটি অ্যান্ড্রয়েড ৯ এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এটিতে সিনক্রোনাইজেশন এর বৈশিষ্ট্যের সাথে একাধিক গেম খেলাকে একটি সহজ কাজ করে তোলে। একটি ফ্যাক্টর রয়েছে যেখানে নক্স প্লেয়ার সত্যিই ব্লু স্টাক্স এর চেয়ে বেশি স্কোর করে তা হল রুট এক্সেস পাওয়ার ক্ষমতা।
আপনার যদি কোন লো কনফিগারেশনের পিসি থাকে এবং আপনি যদি সেটিতে এন্ড্রয়েড গেম খেলতে চান তাহলে এই ভার্চুয়াল ডিভাইসটি ব্যবহার করা একটি এমুলেটর ইন্সটল করার চেয়ে অনেক ভালো।
জেনিমোশন হচ্ছে একটি জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ভার্চুয়াল ডিভাইস বিশেষ করে ডেভেলপারদের জন্য এটি অনেক কার্যকরী। একটি উইন্ডোজ অ্যাপ বা একটি ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ক্লাউডে অফলাইনে চলে যাতে আপনার উইন্ডোজের পারফরমেন্সে কোন অসুবিধা না দেখা দেয়। এছাড়াও এটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ থেকে সব ধরনের এন্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম যা আপনি আপনার বিল্ডে বেছে নিতে পারেন।
এটি Windows, Linux , macOS এবং ক্রম হয়েছে সাথে কাজ করে। এটি একটি ওপেন সোর্স অ্যাপ। আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে এটিকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
আমরা কম্পিউটারের বায়ুস থেকে ভার্চুয়ালাইজেশন অপশনটি চালু করে যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর খুব ভালোভাবেই আমাদের কম্পিউটারে চালাতে পারি হোক সেটি ইন্টেল সিপিইউ বা এ এমডি সিপিউ।
তারপর এটিতে ডাবল ক্লিক করুন এতে ইন্সটলের প্রক্রিয়াটি চালু হবে। তারপর স্ক্রিনে নির্দেশনা বলি গুলো অনুসরণ করুন এবং পরবর্তী এ ক্লিক করুন। কিছুক্ষণ সময় নিবে এটি ইন্সটল হতে। ইন্সটলের পরে এটি তে গুগল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করুন এবং প্লে স্টোর থেকে আপনার পছন্দের যে কোন এন্ড্রয়েড গেম ডাউনলোড করে উপভোগ করুন।
যদি ভার্চুয়ালাইজেশন অপশনটি চালু করা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার কম্পিউটারের বায়ুসে প্রবেশ করে এটি কে অন করে নিতে পারেন। এছাড়াও এমুলেটর ব্যবহার করার আগে আপনার কম্পিউটারের টেমপ ফাইলগুলো ডিলিট করে নিতে পারেন। এছাড়াও এমুলেটরের সেটিং অপশনে আপনার পছন্দমত রেজুলেশন এবং কী ম্যাপিং সেট করে আরো ভালোভাবে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
বর্তমানে অনেকগুলো এমুলেটরের মধ্যে এমনও কিছু রয়েছে যেগুলোতে অনেক পারফরমেন্স ইস্যু দেখা যায়। আমরা আমাদের এই ব্লক পোস্টে বাছাই করে করে সেরা ১০ টি এন্ড্রয়েড এমুলেটর নিয়ে আলোচনা করেছি যা আপনারা সহজে ব্যবহার করতে পারেন।
সূচিপত্রঃ উইন্ডোজ ১১ জন্য ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েডে এমুলেটর ২০২৩
- উইন্ডোজ ১১ এর জন্য ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটরের তালিকা
- ব্লুস্ট্যাকস (BlueStacks)
- গেমলুপ (Gameloop)
- অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও (Android Studio)
- এলডি প্লেয়ার (LDPlayer)
- মেমু প্লে ( MEmu Play)
- নক্স প্লেয়ার (Nox Player)
- প্রাইমওএস ( PrimeOS)
- জেনিমোশন ( Genymotion)
- আরচন (ARChon)
- ব্লিস ওএস ( Bliss OS)
- সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটরগুলির তুলনা
- অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর কিভাবে কাজ করে
- কিভাবে আপনার পিসিতে এন্ড্রয়েড এমুলেটর ইন্সটল করবেন
- অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর ব্যবহার করার আগে কিছু প্রো টিপস
উইন্ডোজ ১১ এর জন্য ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটরের তালিকা
ব্লুস্ট্যাকস (BlueStacks)
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা উইন্ডোজ এ এন্ড্রয়েডের গেম গুলো উপভোগ করতে চাই তাদের জন্য ব্লু স্টেকস নিঃসন্দেহে একটি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর। উইন্ডোজ ১১ এর জন্য ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর এর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্লুস্ট্যাকস।শুধু গেমই খেলা যায় এমনটা না একজন সাধারন ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি এটিতে যে কোন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন।ব্লুস্টেকে রয়েছে গেম কন্ট্রোল, মাল্টি ইনস্ট্যান্ট, ইকোমোড, পারফর্মেন্স মোড, ট্রিম মেমোরি, এক্সবক্স এবং পি এস ফোর কন্ট্রোলারের জন্য বেশ কিছু নেটিভ ফাংশন। সহজ ভাবে বলতে গেলে ব্লু স্টেক গেমিং পারফরমেন্সের জন্য একটি বেস্ট এমুলেটর গেম খেলার সময় কখনও আপনি পারফরমেন্সের সীমাবদ্ধতা অনুভব করবেন না।
এছাড়াও এটি উইন্ডোজ 7 এবং 8.1 এ ব্যবহার করা যায় এবং এটি আপনি ফ্রিতেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে আপনি যদি পিসির জন্য একটি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর খুঁজছেন তবে ব্লু স্ট্যাগের নাম অবশ্যই শীর্ষে আসবে।
গেমলুপ (Gameloop)
গেমলুপ হলো উচ্চমানের এন্ড্রয়েড গেম উপভোগ করার আরেকটি মাধ্যম। উইন্ডোজ ১১ এর জন্য ১০টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটরের মধ্যে গেমলুপ দ্বিতীয়তে অবস্থান করছে। গেম লুপ এমন একটি এমুলেটর যা গেমারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে যারা ডেস্কটপ পিসিতে এন্ড্রয়েড গেম খেলতে চান তারা গেম লুপ ব্যবহার করতে পারেন।গেমলুপ যাকে আগে টেনসেন্ট গেমিং বাডি বলা হত বর্তমানে মোবাইল ও ডেস্কটপ গেমিং পরীক্ষার অংশ হিসেবে টেনসেন্ট ডেভলপ করছে, এক সময় পিসিতে পাবজি খেলার জন্যই এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করা হতো কিন্তু বর্তমানে টেনসেন্ট এন্ড্রয়েড গেম গুলির একটি বিশাল তালিকার জন্য সমর্থন নিয়ে এসেছে যার মধ্যে রয়েছে ফ্রী ফায়ার, কল অফ ডিউটি ইত্যাদি।
ব্লু স্ট্যাক ইন্সটলের পর আপনি সরাসরি প্লে স্টোর পাবেন না ব্লুয়ে স্ট্যাক এর ভিতরেই একটি আলাদা মডিউল ইন্সটল করে আপনি গুগল প্লে স্টোর পেতে পারেন। গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে আপনি অ্যান্ড্রয়েড গেম ডাউনলোড করে আপনার ইচ্ছামত মাউস এবং কিবোর্ডের কী ম্যাপিং করে আপনার পছন্দের গেম গুলো খেলতে পারেন।
অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও (Android Studio)
আপনি যদি একজন ডেভলপার হন তাহলে নতুন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ পরীক্ষা করতে গুগলের কোন অফিসিয়াল অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর এর সাথে লেগে না থেকে এন্ড্রয়েড স্টুডিও ব্যবহার করুন। আপনি যেভাবে কোটিং করবেন এন্ড্রয়েড স্টুডিওর মাধ্যমে অ্যাপটি সরাসরি সেই ভাবে লঞ্চ করা যাবে।এই এমুলেটরটি দ্রুততম এমুলেটর নয়, তবে এটি এমন কয়েকটি নির্বাচিতদের মধ্যে একটি যা সর্বদা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ পরীক্ষার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ বলা যেতে পারে। আপনার যদি একটি লো কনফিগারের পিসি থাকে তাহলে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও স্পিড আরো ধীরগতি হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার পিসি অনুযায়ী অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিওর মতো আলাদা কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
এলডি প্লেয়ার (LDPlayer)
আপনি যদি windows 11 এর জন্য এমন একটি অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর খুঁজে থাকেন যেটি িংয়ের জন্যই অপটিমাইজ করে তৈরি করা হয়েছে এক্ষেত্রে আমি আপনাকে সাজেস্ট করব এলডি প্লেয়ার। এলইডি প্লেয়ার তুলনামূলকভাবে নতুন একটি এন্ড্রয়েড এমুলেটর তবে এর দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।এলডি প্লেয়ারের সর্ব শেষ আপডেট ভার্সন এলডি প্লেয়ার ৯ যেটিতে এন্ড্রয়েড গেম গেনসিন ইম্প্যাক্ট ব্লু আর্কাইভ এপিক ৭ এবং অনেক কিছু চালানোর জন্য অ্যান্ড্রয়েড নাইন পায়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এটি অনেক লাইট ওয়েট এমুলেটর। গেম ডাউনলোডের জন্য এটির মধ্যে রয়েছে একটি ডেডিকেটেড অ্যাপ স্টোর।
এটিতে ভার্চুয়ালাইজেশন অন করে আরো ভালো পারফরমেন্সের সুবিধা পেতে পারেন। সব মিলিয়ে বলা যায় এলডি প্লেয়ার হলো একটি আপটুডেট অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর যা উইন্ডোজ কম্পিউটারে খুব সহজেই অ্যান্ড্রয়েড গেম খেলার অভিজ্ঞতা প্রদান করে থাকে।
মেমু প্লে ( MEmu Play)
মেমু প্লে হচ্ছে, দুর্দান্ত অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর এর মধ্যে একটি যা ইদানিং বহুল জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এই এমুলেটরটির বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে একটি হলো ইন্টেল এবং এমডি প্রসেসর উভয়কেই সমর্থন করে যা সামঞ্জস্যের দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্দান্ত।অনেক এমুলেটর আছে যে গুলোর কোনটি ইনটেল প্রসেসরে ভালো চলে আবার কোনটি এমডি প্রসেসরে ভালো চলে তবে এই দিক দিয়ে মেমু প্লে অনেকটা এগিয়ে, ইন্টেল এবং এ এম ডি যেকোনো প্রসেসরেই আপনি খুব ভালোভাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি ইমুলেটরটি একবারে একাধিক এপ্লিকেশন এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস চালানোর সক্ষমতা প্রদান করে। আপনি এটিতে Android Nougat (7.1.2), Kit Kat (4.4) এবং Lollipop (5.0) ব্যবহার করতে পারেন।
এটি আপনাকে তিনটি এন্ড্রয়েড ডিভাইস চালানোর জন্য তিনটি ভিন্ন ভিন্ন উইন্ডো রাখার অনুমতি দিয়ে থাকে। এই এমুলেটরটি আপনারা উইন্ডোজ ৭ থেকে ১১ পর্যন্ত যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করতে পারেন।
নক্স প্লেয়ার (Nox Player)
আপনি যদি এমন কেউ হন যিনি উইন্ডোজের জন্য এমন একটি এন্ড্রয়েড এমুলেটর খুঁজছেন যেটিতে গেমিং ছাড়াও অনেকগুলো কাজ করার অফার করে তাহলে নক্স প্লেয়ার আপনার জন্য উপযুক্ত একটি এমুলেটর।নক্স প্লেয়ার এ রয়েছে গেম প্লে অপটিমাইজেশন, কন্ট্রোলার সামঞ্জস্য, এন্ড্রয়েড ডিভাইসের বিল্ড প্রপ পরিবর্তন করার ক্ষমতা, পুরো একটি সুন্দর ইন্টারফেস এমন কিছু জিনিস নক্স প্লেয়ার এ রয়েছে যা ব্লু স্ট্যক এবং উইন্ডোজের অন্যান্য এমুলেটর কে ছাড়িয়ে যায়।
এই এমুলেটরটি অ্যান্ড্রয়েড ৯ এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এটিতে সিনক্রোনাইজেশন এর বৈশিষ্ট্যের সাথে একাধিক গেম খেলাকে একটি সহজ কাজ করে তোলে। একটি ফ্যাক্টর রয়েছে যেখানে নক্স প্লেয়ার সত্যিই ব্লু স্টাক্স এর চেয়ে বেশি স্কোর করে তা হল রুট এক্সেস পাওয়ার ক্ষমতা।
আপনি যদি কখনো ব্লুস্ট্যাক কে রুট করার চেষ্টা করে থাকেন তবে আপনি জানেন এটি কতটা ক্লান্তিকর কাজ তবে আপনি নক্স প্লেয়ার খুব সহজেই রুট করে ব্যবহার করতে পারেন। নক্স প্লেয়ার এর দুইটি ভার্সন রয়েছে একটি পেইড অপরটি ফ্রি পেইড ভার্সনটি আপনারা কোন রকম অ্যাড ছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রাইমওএস ( PrimeOS)
প্রাইমওএস কোন এন্ড্রয়েড এমুলেটর নয় বরং এটি হচ্ছে একটি অ্যান্ড্রয়েড ওয়েস যা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর মত যেকোনো উইন্ডোজ পিসিতে চলতে পারে।আপনার যদি কোন লো কনফিগারেশনের পিসি থাকে এবং আপনি যদি সেটিতে এন্ড্রয়েড গেম খেলতে চান তাহলে এই ভার্চুয়াল ডিভাইসটি ব্যবহার করা একটি এমুলেটর ইন্সটল করার চেয়ে অনেক ভালো।
কারণ একটি ইমুলেটর ব্যবহার করার জন্য ভালো প্রসেসর এবং বেশি র্যামের প্রয়োজন পড়ে। প্রাইমোওএসে আপনারা প্রিয় এন্ড্রয়েড গেমগুলি খুব সহজেই কিবোর্ড ম্যাপিং ব্যবহার করে খেলতে পারেন। প্রাইম ওয়েস কে Android X86 হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
জেনিমোশন ( Genymotion)
আপনি যদি একজন অ্যান্ড্রয়েড ডেভলপার হন এবং উইন্ডোজ পরিবেশে কার্যরত android অ্যাপগুলি পরীক্ষা করার উপায় খুজছেন সেক্ষেত্রে আপনি জেনি মোশন ব্যবহার করতে পারেন।জেনিমোশন হচ্ছে একটি জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ভার্চুয়াল ডিভাইস বিশেষ করে ডেভেলপারদের জন্য এটি অনেক কার্যকরী। একটি উইন্ডোজ অ্যাপ বা একটি ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ক্লাউডে অফলাইনে চলে যাতে আপনার উইন্ডোজের পারফরমেন্সে কোন অসুবিধা না দেখা দেয়। এছাড়াও এটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ থেকে সব ধরনের এন্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম যা আপনি আপনার বিল্ডে বেছে নিতে পারেন।
আরচন (ARChon)
আরচন এমন একটি অ্যাপ যা ক্রোম ব্রাউজার এর মাধ্যমে চলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে এটি একটি এমন অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর যা ক্রোম ব্রাউজার দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। ক্রোম এক্সটেনশন যেমন ক্রোম দ্বারা চলে তেমন এই এমুলেটরটিও ক্রম ব্রাউজার দ্বারা চলে। আরচন এর মাধ্যমে আপনি সরাসরি অ্যান্ড্রয়েড এপিকে আপনার উইন্ডোজ পিসিতে চালাতে পারবেন।এটি Windows, Linux , macOS এবং ক্রম হয়েছে সাথে কাজ করে। এটি একটি ওপেন সোর্স অ্যাপ। আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে এটিকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্লিস ওএস ( Bliss OS)
আপনি যদি অনেক বেশি অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ব্লিস ওএস টি আপনার জন্য পারফেক্ট একটি ওএস। আপনি কম্পিউটারে ডুয়েল বুটিং এর দ্বারা এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ভিত্তিকে পুরোপুরি অ্যান্ড্রয়েডে রূপান্তরিত করে দেবে।সেরা অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটরগুলির তুলনা
এমুলেটর এর নাম / অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন / মিনিমাম র্যাম / উইন্ডোজ সাপোর্ট / এমডি সাপোর্ট / এবং প্রাইসঃ-- ব্লুস্ট্যাকস (BlueStacks) - অ্যান্ড্রয়েড ১১ / ৪ জিবি / উইন্ডোজ ৭ থেকে ১১ / Yes / ফ্রি
- গেমলুপ (Gameloop) - অ্যান্ড্রয়েড ৭.১.২ / ৩ জিবি / উইন্ডোজ / ৭ থেকে ১০ / Yes / ফ্রি
- অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও - অ্যান্ড্রয়েড ১১ / ৪ জিবি / উইন্ডোজ ৮ থেকে ১১ / Yes / ফ্রি
- এলডি প্লেয়ার - অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ / ২ জিবি / উইন্ডোজ XP থেকে ১০ / Yes / ফ্রি
- মেমু প্লেয়ার - অ্যান্ড্রয়েড ১১ / ৪ জিবি / উইন্ডোজ XP থেকে ১০ / Yes / ফ্রি
- নক্স প্লেয়ার - অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ / ৮ জিবি / উইন্ডোজ XP থেকে ১০ / Yes / ফ্রি
- জেনি মোশন - অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ / ৮ জিবি / উইন্ডোজ ১০ থেকে ১১ / Yes / ফ্রি
অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর কিভাবে কাজ করে
অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর হচ্ছে এক ধরনের ভার্চুয়াল মেশিন যা উইন্ডোজ অথবা অন্য কোন প্ল্যাটফর্মের ওপর। কম্পিউটারে লিনাক্স এর ভার্চুয়াল মেশিন যেভাবে চালানো হয় অথবা ক্রমবুকে লিনাক্স ব্যবহার করার মতই। আমরা সকলেই কমবেশি জানি অ্যান্ড্রয়েড এ আর এম আর্কিটেকচার এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।আমরা কম্পিউটারের বায়ুস থেকে ভার্চুয়ালাইজেশন অপশনটি চালু করে যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর খুব ভালোভাবেই আমাদের কম্পিউটারে চালাতে পারি হোক সেটি ইন্টেল সিপিইউ বা এ এমডি সিপিউ।
কিভাবে আপনার পিসিতে এন্ড্রয়েড এমুলেটর ইন্সটল করবেন
অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর ইন্সটলের প্রক্রিয়াটি খুব সহজ প্রথমে আপনাকে একটি ব্রাউজার ওপেন করতে হবে তারপর আপনি যেই অ্যান্ড্রয়েড ইমুলেটরটি ব্যবহার করবেন তার নাম লিখে গুগলে সার্চ দিতে হবে। তারপর অনেকগুলো ওয়েবসাইট আসবে তার মধ্যে অফিশিয়াল সাইট থেকে এমুলেটরটির সেটাপ ফাইল exe ডাউনলোড করে নিন।তারপর এটিতে ডাবল ক্লিক করুন এতে ইন্সটলের প্রক্রিয়াটি চালু হবে। তারপর স্ক্রিনে নির্দেশনা বলি গুলো অনুসরণ করুন এবং পরবর্তী এ ক্লিক করুন। কিছুক্ষণ সময় নিবে এটি ইন্সটল হতে। ইন্সটলের পরে এটি তে গুগল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করুন এবং প্লে স্টোর থেকে আপনার পছন্দের যে কোন এন্ড্রয়েড গেম ডাউনলোড করে উপভোগ করুন।
অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর ব্যবহার করার আগে কিছু প্রো টিপস
আপনার কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর ব্যবহার করার কিছু নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে আপনি এটিতে খুব ভালো পারফরমেন্স পেতে পারেন। প্রথমে আপনাকে নিশ্চিন্ত করতে হবে আপনার কম্পিউটারের প্রসেসরে ভার্চুয়ালাইজেশন অপশনটি চালু করা আছে কিনা। আপনি এটি টাস্ক ম্যানেজার থেকে চেক করে নিতে পারেন।যদি ভার্চুয়ালাইজেশন অপশনটি চালু করা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার কম্পিউটারের বায়ুসে প্রবেশ করে এটি কে অন করে নিতে পারেন। এছাড়াও এমুলেটর ব্যবহার করার আগে আপনার কম্পিউটারের টেমপ ফাইলগুলো ডিলিট করে নিতে পারেন। এছাড়াও এমুলেটরের সেটিং অপশনে আপনার পছন্দমত রেজুলেশন এবং কী ম্যাপিং সেট করে আরো ভালোভাবে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url