চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
চুল পড়া এমন একটি সমস্যা যা আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে দুশ্চিন্তাময় করে তোলে। চুল
আঁচড়ানোর সময় সামান্য চুল পড়াটা স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত চুল পড়াটা মোটেও
স্বাভাবিক নয়। চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় প্রয়োগ করে আপনি চুল পড়া অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারেন। অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ এবং চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। আশা করি আপনার উপকারে আসবে।
প্রিয় পাঠক এই ব্লক পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করেছি চুল পড়া বন্ধ করার
প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন
ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ানোর ফলে-
আমরা অনেকেই গোসল করে এসে ভেজা চুল আছড়ানো শুরু করি এটি করা মোটেও উচিত নয়। কারণ ভেজা অবস্থায় আমাদের চুলের গোড়া নরম হয়ে থাকে যার ফলে সামান্য আঘাতেই চুল গোড়া থেকে উঠে যায়। তাই যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তারা ভেজা চুল আলতোভাবে মুছে চুলগুলো ভালোভাবে শুকানোর পর আচড়াবেন এতে চুল পড়া অনেকটাই রোধ হবে।
চুলে অতিরিক্ত পরিমাণে হিট দেওয়া-
আমরা অনেকে আছি যারা ভেজা চুল হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে থাকি। এছাড়াও অনেকে চুল স্ট্রেড করার জন্য স্ট্রাইটনার ব্যবহার করে থাকি। এগুলোতে আমাদের চুলের প্রধান উপাদান কেরাটিনের ক্ষতি করে যার ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের চুলে হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার না ব্যবহার করাই উচিত।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করার ফলে-
চুলে শ্যাম্পু করাটা স্বাভাবিক তবে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা চুলের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে আমাদের মাথার ত্বকে বেশি তেল তৈরি হয় যা আমাদের চুল পড়ার সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়।
মাথা ধোয়ার ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করার ফলে-
মাথার চুলে গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। গরম পানি ব্যবহারে চুলের আদ্রতা কমে যায় এবং চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই মাথার ত্বকে সব সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা উচিত। এতে চুলের আদ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির ফলে-
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি শুধু আমাদের ত্বকেরই ক্ষতি করে না বরং এটি ত্বকের সাথে সাথে আমাদের চুলের ও অনেক ক্ষতি করে থাকে। সূর্যের ক্ষতিকর ইউ ভি রশ্মি আমাদের চুল শুষ্ক এবং দুর্বল করে তোলে এর ফলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের ঔষধের ফলে-
আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের অসুখের ফলে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়ে থাকি। প্রতিটি ঔষধের কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিভিন্ন ঔষধের এমনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলোর ফলে মাথার চুল ঝরে পড়ে।
অতিরিক্ত শক্ত করে চুল বাধার ফলে-
অনেকেই চুল খোপা করে বেঁধে রাখে এটি দেখতে সুন্দর দেখালেও দীর্ঘক্ষণ এইভাবে চুল বেঁধে রাখলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এতে চুল পড়াও বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন একইভাবে চুল না বেঁধে রেখে আলাদা আলাদা ভাবে হালকা করে বেঁধে রাখার চেষ্টা করুন।
চুলে সঠিক পণ্য নির্বাচন না করার ফলে-
চুলে সঠিক পণ্য নির্বাচন না করা ও চুল পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। আমরা জানি মানুষের চুলের ধরন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে সবার চুলের ধরন একই হয় না। কারো চুল শুষ্ক, কারো তৈলাক্ত আবার কারো রুক্ষও হতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার চুল অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন না করলে উক্ত পণ্য ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গাজরঃ গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ। গাজর চুলের গোরার শক্ত করতে চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল পড়া রোধে গাজরকে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন।
ডিমঃ ডিম কতটা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তা আমরা সকলেই জানি। ডিমের হয়েছে ভিটামিন বি, বায়োটিন, প্রোটিন, জিংক, আয়রন এবং ওমেগা ফাটি অ্যাসিড। এই উপাদানগুলি আমাদের চুলের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে কোনটির অভাব দেখা দিলে চুলের গুণগত মান কমে যেতে পারে। তাই চুল পড়া রোধ করতে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় ডিম রাখুন।
সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজি বলতে বাঁধাকপি, ব্রকলি পালং শাক ইত্যাদি। এগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আমাদের চুলের গোড়া মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তাই চুল পড়া রোধে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি রাখতে পারেন।
দইঃ দই খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন এটিতে অবস্থিত খনি জ আমাদের আমাদের চুলের গোড়া শক্ত এবং চুলে পুষ্টি জোগাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। চুল পড়া রোধে দই খেতে পারেন।
মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ ছাড়াও মিষ্টি আলু বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। যা আমাদের চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই চুল পড়া রোধে আপনার খাবার তালিকায় মিষ্টি আলু রাখতে পারেন।
পেঁয়াজের রসের প্যাক-
এই প্যাকটি তৈরি করতে দুই টেবিল চামচ প্যারাসুট অ্যাডভান্স এক্সট্রা হেয়ার অয়েল নিয়ে নিন তারপর এতে এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ালিতে লাগান নরমালি অয়েল লাগানোর মত করে তারপর ঘন্টা খানেক রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
সূচিপত্রঃ চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
- কি কি খাবার খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে
- চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
- চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়
- চুল ঘন করার উপাই
- চুল লম্বা করার উপাই
অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
লম্বা চুল পছন্দ করেন না এমন মানুষ নাই বললেই চলে। আমরা অনেকেই চুলের যত্নে অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকে তারপরও আমাদের অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হয় না। অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। চুল পড়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে এর মধ্যে বাছাই করে চুল পড়ার প্রধান কারণ গুলি উল্লেখ করা হলোঃভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ানোর ফলে-
আমরা অনেকেই গোসল করে এসে ভেজা চুল আছড়ানো শুরু করি এটি করা মোটেও উচিত নয়। কারণ ভেজা অবস্থায় আমাদের চুলের গোড়া নরম হয়ে থাকে যার ফলে সামান্য আঘাতেই চুল গোড়া থেকে উঠে যায়। তাই যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তারা ভেজা চুল আলতোভাবে মুছে চুলগুলো ভালোভাবে শুকানোর পর আচড়াবেন এতে চুল পড়া অনেকটাই রোধ হবে।
চুলে অতিরিক্ত পরিমাণে হিট দেওয়া-
আমরা অনেকে আছি যারা ভেজা চুল হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে থাকি। এছাড়াও অনেকে চুল স্ট্রেড করার জন্য স্ট্রাইটনার ব্যবহার করে থাকি। এগুলোতে আমাদের চুলের প্রধান উপাদান কেরাটিনের ক্ষতি করে যার ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের চুলে হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার না ব্যবহার করাই উচিত।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করার ফলে-
চুলে শ্যাম্পু করাটা স্বাভাবিক তবে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা চুলের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে আমাদের মাথার ত্বকে বেশি তেল তৈরি হয় যা আমাদের চুল পড়ার সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়।
মাথা ধোয়ার ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করার ফলে-
মাথার চুলে গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। গরম পানি ব্যবহারে চুলের আদ্রতা কমে যায় এবং চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই মাথার ত্বকে সব সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা উচিত। এতে চুলের আদ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মির ফলে-
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি শুধু আমাদের ত্বকেরই ক্ষতি করে না বরং এটি ত্বকের সাথে সাথে আমাদের চুলের ও অনেক ক্ষতি করে থাকে। সূর্যের ক্ষতিকর ইউ ভি রশ্মি আমাদের চুল শুষ্ক এবং দুর্বল করে তোলে এর ফলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের ঔষধের ফলে-
আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের অসুখের ফলে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়ে থাকি। প্রতিটি ঔষধের কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিভিন্ন ঔষধের এমনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলোর ফলে মাথার চুল ঝরে পড়ে।
অতিরিক্ত শক্ত করে চুল বাধার ফলে-
অনেকেই চুল খোপা করে বেঁধে রাখে এটি দেখতে সুন্দর দেখালেও দীর্ঘক্ষণ এইভাবে চুল বেঁধে রাখলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এতে চুল পড়াও বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন একইভাবে চুল না বেঁধে রেখে আলাদা আলাদা ভাবে হালকা করে বেঁধে রাখার চেষ্টা করুন।
চুলে সঠিক পণ্য নির্বাচন না করার ফলে-
চুলে সঠিক পণ্য নির্বাচন না করা ও চুল পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। আমরা জানি মানুষের চুলের ধরন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে সবার চুলের ধরন একই হয় না। কারো চুল শুষ্ক, কারো তৈলাক্ত আবার কারো রুক্ষও হতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার চুল অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন না করলে উক্ত পণ্য ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কি কি খাবার খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে
আমরা অনেকেই চুল পড়া রোধে ঝুলে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু বা অয়েল ব্যবহার করে থাকি তবে আপনি কি জানেন চুল ঝরে পড়ার কারণ সুষম খাদ্য না খাওয়াও হতে পারে। আসুন তাহলে জেনে নি চুল পড়া বন্ধ করতে কি কি খাবার খাবেন-গাজরঃ গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ। গাজর চুলের গোরার শক্ত করতে চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল পড়া রোধে গাজরকে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন।
ডিমঃ ডিম কতটা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তা আমরা সকলেই জানি। ডিমের হয়েছে ভিটামিন বি, বায়োটিন, প্রোটিন, জিংক, আয়রন এবং ওমেগা ফাটি অ্যাসিড। এই উপাদানগুলি আমাদের চুলের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে কোনটির অভাব দেখা দিলে চুলের গুণগত মান কমে যেতে পারে। তাই চুল পড়া রোধ করতে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় ডিম রাখুন।
সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজি বলতে বাঁধাকপি, ব্রকলি পালং শাক ইত্যাদি। এগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আমাদের চুলের গোড়া মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তাই চুল পড়া রোধে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি রাখতে পারেন।
দইঃ দই খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন এটিতে অবস্থিত খনি জ আমাদের আমাদের চুলের গোড়া শক্ত এবং চুলে পুষ্টি জোগাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। চুল পড়া রোধে দই খেতে পারেন।
মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ ছাড়াও মিষ্টি আলু বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। যা আমাদের চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই চুল পড়া রোধে আপনার খাবার তালিকায় মিষ্টি আলু রাখতে পারেন।
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
চুল পড়ার রোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে বাড়িতে বিভিন্ন প্যাক তৈরি করে চুলে লাগানো অথবা অয়েল বানিয়ে ব্যবহার করা তবে অনেকেরই অনেক কাজে ব্যস্ত থাকেন তাই এসব করার সময় হয়ে ওঠেনা সে ক্ষেত্রে আপনারা চুল পড়া বন্ধ করার তেল ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন। চুল পড়া বন্ধ করার কয়েকটি তেলের নাম নিচে দেওয়া হলো-- ডাবর আলমন্ড হেয়ার অয়েল (Dabur Almond Hair Oil)
- খাদি ন্যাচারাল রোজমেরি এবং হেনা হেয়ার অয়েল ( Khadi Natural Rosemary And Henna Hair Oil)
- সোলফ্লাওয়ার অলিভ অয়েল (Soulflower Olive Oil)
- হিমালিয়া হার্বলস আন্টি হেয়ার ফল হেয়ার অয়েল (Himalaya Herbals Anti Hair Fall Hair Oil)
- সিন্ধু ভ্যালি বায়ো অর্গানিক হেয়ার অয়েল (Indus Valley Bio Organic Hair Oil)
চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়
চুল পড়াটা স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া তবে অতিরিক্ত চুল পড়া মোটেও স্বাভাবিক নয়। অনেকে চুল পড়া কমাতে বিভিন্ন রকম শ্যাম্পু বা অয়েল ব্যবহার করে থাকেন এতেও অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায় না এর ফলে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় প্রয়োগ করে আপনার চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারবেন।আরও পড়ুনঃ শসা খাওয়ার উপকারিতা
চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় গুলোর মধ্যে সবথেকে কার্যকরী উপায় হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করা। এতে চুল একদমই পড়বে না তা না তবে এটি আপনার অতিরিক্ত চুল পড়ার
সমস্যাকে অনেকটাই কমিয়ে আনবে। চলুন জেনে নেই চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কেঃ
জবা ফুলের প্যাক-
জবা ফুলের হেয়ার প্যাক চুলের যত্নে অনেক কার্যকরী। জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
জবা ফুলের হেয়ার প্যাকটি তৈরির করতে জবা ফুলের পাপড়ি গুলো পেস্ট করে নিন এবং এতে নারিকেল তেল মেশান তারপর এটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে নিন এইভাবে নিয়মিত সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন।
জবা ফুলের হেয়ার প্যাকটি তৈরির করতে জবা ফুলের পাপড়ি গুলো পেস্ট করে নিন এবং এতে নারিকেল তেল মেশান তারপর এটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে নিন এইভাবে নিয়মিত সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন।
পেঁয়াজের রসের প্যাক-
এই প্যাকটি তৈরি করতে দুই টেবিল চামচ প্যারাসুট অ্যাডভান্স এক্সট্রা হেয়ার অয়েল নিয়ে নিন তারপর এতে এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ালিতে লাগান নরমালি অয়েল লাগানোর মত করে তারপর ঘন্টা খানেক রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য যেমন গাজর, ডিম, মিষ্টি আলু, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খাবার চুল পড়া রোধে সহায়তা করে।
চুল ঘন করার উপাই
চুল পড়া সমস্যা প্রায় প্রতিটি মানুষেরই দেখা দেয়। অতিরিক্ত চুল পড়ার ফলে চুলের ঘনত্ব কমে গিয়ে অনেক সময় মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে তবে এটিতে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি কিছু উপায় মেনে চললে চুলের ঘনত্ব আবার স্বাভাবিক হবে। চুল ঘন করার উপায় গুলি নিচে দেওয়া হলো-- চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এমন কিছু উপাদান যেমন ক্যাস্টর অয়েল, এলোভেরা জেল, পেঁয়াজের রস ইত্যাদি তেলের সাথে মিশিয়ে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার চুলে লাগাতে পারেন এতে ধীরে ধীরে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
- চুলে প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি তেল ব্যবহার করুন যেমন নারিকেল তেল অলিভ অয়েল অথবা অ্যাভোকাডোর মতো প্রাকৃতিক তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে সে ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত একবার গরম তেল দিয়ে হেয়ার মাসাজ করতে পারেন এতে রক্ত সঞ্চালন সতেজ হয় এবং চুলের ঘনত্ব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
- চুলের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খান। খাবারের তালিকায় ডিম, দই, পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি রাখতে পারেন। এগুলো খেলে চুলের মজবুত হয় এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে।
চুল লম্বা করার উপাই
আমাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছে যাদের চুল অনেক সুন্দর এবং চুলের ঘনত্ব অনেক বেশি কিন্তু চুল বেশি লম্বা না। অনেকের ইচ্ছা থাকে চুল ছোট রাখার আবার অনেকেই লম্বা চুল পছন্দ করেন। চুল লম্বা করার উপায় গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-- অনেকেরই চুলের আগা ফেটে যাওয়ার ফলে চুল লম্বা হয় না। সে ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর পর চুলের আগার সামান্য পরিমাণ কেটে দিন এতে আগা ফাটার সমস্যা ও কমে যাবে এবং চুল লম্বা হবে।
- গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহারে বিরত থাকুন কেননা গরম পানি চুলের আদ্রতা কমিয়ে দেয়। তাই গোসলের সময় সব সময় হালকা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।
- আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু নির্বাচন করুন।
- নিয়মিত তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন এটি চুলের গোড়াতে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করবে।
- যেসব খাবারে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি রয়েছে সে সকল খাবার বেশি বেশি খান।
- চুলে হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এগুলোতে চুলের ক্ষতি করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url