ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে বিস্তারিত জেনে নিন
ডেঙ্গু নামটি কমবেশি আমরা সবাই শুনেছি। এটি একটি মসা বাহিত রোগ। এডিস মসার কামড়ে এ
সাধারণত এ রোগ হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের অনেক যায়গাতেই ডেঙ্গু এর প্রভাব ব্যাপক
হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেককেই এই রগের স্বীকার হচ্ছেন। যারা ডেঙ্গু জ্বরে
আক্রান্ত তাদের অবশ্যই জানার প্রয়োজন হয় ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে
হবে বা ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে এ
সম্পর্কে জানতে আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন আশা করি উপকারে আসবে।
আমরা এই ব্লগ পোস্টে আলোচনা করেছি ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে। আপনি যদি এই
সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে এই ব্লগ পোস্টটি সম্পূর্ণ পরতে পারেন।
এই পরীক্ষাটি ডেঙ্গু জ্বর আসার লক্ষণ অনুযায়ী এক থেকে সাত দিনের মধ্যে ডেঙ্গু এর সংক্রমন সনাক্ত করতে পারে তবে এরপরে এই টেস্ট আর কার্যকরী হয় না।
ICT for Dengue Antibodies (lgG & lgM) -
ডেঙ্গু জ্বর আসার চার থেকে পাঁচ দিন পর থেকে ICT for Dengue Antibodies lgM পজেটিভ হয়। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি যদি আগেও কখনো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে ICT for Dengue Antibodies lgG & lgM দুইটি পজিটিভ হবে।
CBC, ESR -
এই টেস্ট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর একদিন পর পরই করা উচিত কারণ প্লাটিলেট কম বেশি এবং সেত- রক্তকণিকা কমতে দেখলেও ডেঙ্গু এর আভাসে রোগী, ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হচ্ছে কিনা এই টেস্ট করে বোঝা যায়।
ডালিমঃ
আমরা প্রায় সকলেই এটি জানি ডালিম এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। সেই সঙ্গে ডালিমে রয়েছে পরিমাণ মতো মিনারের। ডালিম খেলে পেটে যাবে প্লেটলেটের সংখ্যা। ডালিম খেলে শরীরে ক্লান্তিক ও অবসাদ অনুভূতি দূর হবে।
কমলাঃ
ডেঙ্গু জ্বরে কমলা ও কমলার রস বেশি বেশি খাওয়া ভালো। কমলায় রয়েছে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এ দুটি উপাদানই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ডাবের পানিঃ
ডেঙ্গু জ্বর হলে তরল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত কারণ ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীর শরীরে চরম পদার্থের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে বেশি বেশি করে ডাবের পানি পান করলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
হলুদঃ
এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে পান করালে এটি তাকে অতি দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করবে।
পালংশাকঃ
পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ওমেগো থ্রি ফাটি এসিড। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। পালং শাক বেশি বেশি করে খেলে অতি দ্রুত প্লেটলেট বৃদ্ধি পায়।
ব্রুকলিঃ
ব্রকলি একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং কত খাবার। তাই যদি কোন ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে ব্রুকলি খাবেন এটি অনেক উপকারে আসবে।
ক্যাফিন যুক্ত পানিও খাওয়া যাবেনা -
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ডেঙ্গু হলে তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। তবে ক্যাফিন যুক্ত খাবার মোটেও খাওয়া যাবে না কারণ ক্যাভিনযুক্ত খাবার হার্ট রেট বাড়িয়ে দিতে পারে এবং শরীরে ক্লান্তি নিয়ে আসতে পারে।
তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না -
একজন ডেঙ্গু রোগীকে অবশ্যই তৈলাক্ত ও ভাজা খাবারগুলি এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এই খাওয়ার গুলি শরীরে এসব বৃদ্ধি করতে পারে।
মসলাযুক্ত খাবার -
ডেঙ্গু রোগীকে অবশ্যই বেশি মসলাযুক্ত খাবার দেওয়া উচিত না। মসলাযুক্ত খাবার বেশি করে খেলে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে বিস্তারিত জেনে নিন
- ডেঙ্গু টেস্ট কি কি
- ডেঙ্গু পরীক্ষায় খরচ
- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ কি কি
- ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়
- ডেঙ্গু জ্বরকি ছোঁয়াছে রোগ
- ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে
- ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়
- ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে
- ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে
- ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবেন না
- শেষ কথা
ডেঙ্গু টেস্ট কি কি
এডিস মশার কামড়ের ফলে ডেঙ্গু রোগ দেখা দেয়। একজন রোগীর ডেঙ্গু লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তার কি কি টেস্ট দিতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো-- ns1 dengue test
- ICT for Dengue Antibodies (lgG & lgM)
- CBC
- ESR
এই পরীক্ষাটি ডেঙ্গু জ্বর আসার লক্ষণ অনুযায়ী এক থেকে সাত দিনের মধ্যে ডেঙ্গু এর সংক্রমন সনাক্ত করতে পারে তবে এরপরে এই টেস্ট আর কার্যকরী হয় না।
ICT for Dengue Antibodies (lgG & lgM) -
ডেঙ্গু জ্বর আসার চার থেকে পাঁচ দিন পর থেকে ICT for Dengue Antibodies lgM পজেটিভ হয়। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি যদি আগেও কখনো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে ICT for Dengue Antibodies lgG & lgM দুইটি পজিটিভ হবে।
CBC, ESR -
এই টেস্ট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর একদিন পর পরই করা উচিত কারণ প্লাটিলেট কম বেশি এবং সেত- রক্তকণিকা কমতে দেখলেও ডেঙ্গু এর আভাসে রোগী, ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হচ্ছে কিনা এই টেস্ট করে বোঝা যায়।
ডেঙ্গু পরীক্ষায় খরচ
সরকার নির্ধারিত ডেঙ্গু পরীক্ষার খরচ খুবই কম। সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকা বেসরকারি হাসপাতালে 300 টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যায়। শরীরে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে আমাদের উচিত ডেঙ্গু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া। ডেঙ্গুকে কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়।
আরও পড়ুনঃ চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপাই
ছোট বাচ্চা বয়স্ক এবং যাদের অন্যান্য রোগ আছে ডেঙ্গুটে তাদের ঝুঁকিটা একটু
বেশি। করে যাদের ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার, কিডনি, লিভার, স্ট্রোক ও ক্যান্সারের
রোগী তাদের উচিত একটু বেশি সচেতন থাকা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে যত দ্রুততার সাথে
সম্ভব হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করা।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ কি কি
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ জানার আগে আমাদের জানা উচিত ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার কারণ। পরিবেশে উপস্থিত কোন ভাইরাস যদি কোন এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয় শুধুমাত্র তখনই ওই মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণসমূহ নিচে দেওয়া হলো -- অতিরিক্ত মাত্রায় জ্বর আসা
- মাথাব্যথা
- স্বাদের পরিবর্তন
- চোখের পেছনে ব্যাথা
- শরীরে শীতলতা অনুভব করা
- হৃদস্পন্দনের হার ও রক্তচাপ কমে যাওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- চামড়ায় লালচে দাগ দেখা দেওয়া
- ক্ষুধা কমে যাওয়া
- পেসিতে ব্যথা হওয়া
ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়
ডেঙ্গু হলো মশা বাহিত একটি রোগ যার ফলে প্রতি বছর বিশ্বে লক্ষ লক্ষ রোগীর ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।
বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে জানতে পারি পরিবেশে উপস্থিত কোন ভাইরাস যদি কোন এডিস মশার
মধ্যে সংক্রমিত হয় শুধুমাত্র তখনই ওই মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের ৪ থেকে ১০ দিনের
মধ্যে আমরা সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো দেখতে পায়।
ডেঙ্গু জ্বরকি ছোঁয়াছে রোগ
বর্তমানে বাংলাদেশের ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। একটি এক ধরনের ভাইরাস জ্বর। ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ গুলি হচ্ছে জয় মাথাব্যথা চোখের পেছনে ব্যাথা মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি। আমাদের অনেকেরই মনের প্রশ্ন আসতে পারে ডেঙ্গু জ্বর ছোঁয়াচে রোগ।
আরও পড়ুনঃ চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপাই
আসলে ডেঙ্গু কোন ছোঁয়াছে রোগ নয় তবে ডেঙ্গু রক্তসম্বন্ধীয় সামগ্রী ও
অঙ্গদানের মাধ্যমে প্রবাহিত হতে পারে এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি কে
মশারির ভেতরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে মশা কামড়ে
আবার সেই মশা কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে না কামড়াতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে
৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর সংক্রমণের উপসর্গগুলি দেখা দেয়। ডেঙ্গু সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায় তবে কিছু রোগের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে যেমন - ছোট বাচ্চা বয়স্ক এবং যাদের অন্যান্য রোগ আছে ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার, কিডনি, লিভার, স্ট্রোক ও ক্যান্সার এই সকল রোগের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে এক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে।ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়
- পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
- ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি অন্যান্য সমস্যা থাকে যেমন লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা থাকে তাহলে প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে প্রচুর তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে যেমন - ডাবের পানি, লেবুর, শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন পান করতে হবে একটু পর পর।
- ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যাথার জন্য ক্লোফেনাক, আইবুপ্রফেন জাতীয় ঔষধ খাওয়া যাবেনা। ডেঙ্গু আক্রান্ত অবস্থায় এই জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে
ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীকে গোসল করানো যাবে। ডেঙ্গু জ্বর কমাতে কোনোভাবেই অ্যাসপিরিন অথবা ব্যথা কমানোর ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না এতে রক্তক্ষরণ হতে পারে। জ্বর কমাতে রোগীর মাথায় পানি ঢালা, শরীর মুছে দেওয়া অথবা রোগীকে গোসল করানো যাবে।ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে তা তোমরা অনেকেই জানি না। এর ফলে ডেঙ্গু রোগীকে এমন কিছু খাবার ভুলক্রমে খাওয়াই ফেলি যা ডেঙ্গু অবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো -ডালিমঃ
আমরা প্রায় সকলেই এটি জানি ডালিম এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। সেই সঙ্গে ডালিমে রয়েছে পরিমাণ মতো মিনারের। ডালিম খেলে পেটে যাবে প্লেটলেটের সংখ্যা। ডালিম খেলে শরীরে ক্লান্তিক ও অবসাদ অনুভূতি দূর হবে।
কমলাঃ
ডেঙ্গু জ্বরে কমলা ও কমলার রস বেশি বেশি খাওয়া ভালো। কমলায় রয়েছে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এ দুটি উপাদানই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ডাবের পানিঃ
ডেঙ্গু জ্বর হলে তরল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত কারণ ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীর শরীরে চরম পদার্থের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে বেশি বেশি করে ডাবের পানি পান করলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
হলুদঃ
এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে পান করালে এটি তাকে অতি দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করবে।
পালংশাকঃ
পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ওমেগো থ্রি ফাটি এসিড। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। পালং শাক বেশি বেশি করে খেলে অতি দ্রুত প্লেটলেট বৃদ্ধি পায়।
ব্রুকলিঃ
ব্রকলি একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং কত খাবার। তাই যদি কোন ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে ব্রুকলি খাবেন এটি অনেক উপকারে আসবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবেন না
উক্ত পোস্টের দ্বারা আমরা একটু আগেই জেনেছি ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে
হবে। এর সাথে অবশ্যই আমাদের জানা প্রয়োজন ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি
খাবার খাওয়া যাবেনা। ডেঙ্গুজ্বর হলে কি খাওয়া যাবেনা তা নিচে দেওয়া
হলোঃ
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ডেঙ্গু হলে তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। তবে ক্যাফিন যুক্ত খাবার মোটেও খাওয়া যাবে না কারণ ক্যাভিনযুক্ত খাবার হার্ট রেট বাড়িয়ে দিতে পারে এবং শরীরে ক্লান্তি নিয়ে আসতে পারে।
তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না -
একজন ডেঙ্গু রোগীকে অবশ্যই তৈলাক্ত ও ভাজা খাবারগুলি এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এই খাওয়ার গুলি শরীরে এসব বৃদ্ধি করতে পারে।
মসলাযুক্ত খাবার -
ডেঙ্গু রোগীকে অবশ্যই বেশি মসলাযুক্ত খাবার দেওয়া উচিত না। মসলাযুক্ত খাবার বেশি করে খেলে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করলাম ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে
হবে এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে ইত্যাদি বিষয়াদি। আশা করি উক্ত পোষ্টের
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে পেরেছেন। এমন নতুন নতুন পোস্ট
পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
আরও পড়ুনঃ চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায়
আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করে থাকি। নিয়মিত আমাদের
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে আপনাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন
এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url