কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায় - ওজন কমানোর উপাই
আপনি কি জানতে ইচ্ছুক কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায়। আসলে কেউই অতিরক্ত অজন পছন্দ করে না। অনেকেই এমন আছেন যারা কোন নির্দিষ্ট কনো চাকুরির জন্য ওজন কমানো লাগবে কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে না কারণ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের প্রায় সবার পক্ষে অনেক কঠিন। কেউ কেউ আবার ওজন কমানোর জন্য ভুল ডায়েট করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায় বা ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে তোমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
আমরা আমাদের এই ব্লগ পোস্টে আলোচনা করেছি কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায় এবং ওজন কমানো উপায়। নিজেকে পুরোপুরি সুস্থ রেখে যেভাবে ওজন কমানো যায় তা জানতে হলে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
সূচিপত্রঃ কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায় - ওজন কমানোর উপাই
- কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায়
- ওজন কমানোর খাবার তালিকা
- লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
- প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়
- মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
- ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
- ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায়
- মধু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায়
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সকলেরই সঠিক ওজন ধরে রাখা প্রয়োজন। বাড়তি ওজন আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। আপনাদের মনে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে আর দিনে ওজন কমানো কি আসলেই সম্ভব। কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায়, আমরা অনেকেই এর সম্পর্কে অবগত নই। তাদের জন্য কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায় এর কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলো-
একটি খাবার পরিকল্পনা তৈরি করুনঃ আমরা সকলেই জানি ওজন বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত তেল এবং চর্বিযুক্ত খাদ্যাভ্যাস। তাই আপনি যদি সাত দিনে ওজন কমাতে চান তাহলে আপনার উচিত প্রথমে একটি খাবার পরিকল্পনা তৈরি করা। সকাল দুপুর এবং রাতে এমন কিছু খাবার খান যে খাবারগুলো চর্বি মুক্ত। আপনি যেকোনো ধরনের সবজি, ফল অথবা ফলের রস, টমেটো এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে পারেন।
ব্যায়াম করুনঃ ৭ দিনে ওজন কমাতে গেলে শুধুমাত্র ডায়েটিং এ কাজে আসবে না এর সাথে ব্যায়াম করলে এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী হবে। প্রথমে আপনি ব্যায়াম করার জন্য সঠিক সময়সূচী তৈরি করুন এবং সাত দিন ধরে যেন আপনি ব্যায়াম করতে পারেন সেভাবে নিজেকে সবসময় তৈরি রাখুন। ব্যায়াম আমাদের দ্রুত ক্যালরি ঝরাতে সহায়তা করে। জুম্বা, অ্যারোবিক্স এবং সাঁতার এই ব্যায়ামগুলি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।
কিছু খাদ্যভ্যাস ত্যাগ করুনঃ আমরা অনেকেই আছি যারা ওজন কমানোর বিভিন্ন চেষ্টা করে থাকি কিন্তু আমাদের কিছু ভুলের কারণে আমরা আমাদের চেষ্টার কোনো ভালো ফল পায় না। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিছু খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে এটি আমাদের দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ওজন কমানোর জন্য নিচের খাদ্যভ্যাস গুলি মেনে চলুন -
- জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- সব সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা
- ক্ষুদার্থ না থাকলে খাওয়া যাবে না
- দ্রুত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- খাবার খেতে হবে পেটের এক দ্বিতীয় অংশ খালি রেখে
- দাঁড়িয়ে থেকে খাবার অভ্যাস ত্যাগ করুন
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সীমিত রাখতে হবেঃ কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ সিম তো রাখার ক্ষেত্রে আমরা হাট যুক্ত খাবার পরিহার করতে পারি যেমন চর্বিযুক্ত খাবার ও দুগ্ধজাত খাবার। এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ সীমিত রাখার ক্ষেত্রে আমরা চিনি যুক্ত খাবার এবং এমন পানীয় যেগুলোতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকলে এইসব খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে যেমন- চকলেট, কেক, সফট ড্রিংস, মিষ্টি চা ইত্যাদি খাবার থেকে বিরত থাকা।
রাতে ভালো ঘুমের অভ্যাস তৈরি করুনঃ ওজন কমানোর একটি ভালো এবং কার্যকরী উপায় হচ্ছে ভালো ঘুম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতি রাতে পাঁচ ঘন্টার কম ঘুমালে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের উচিত ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো।
ওজন কমানোর খাবার তালিকা
একটি সঠিক খাবার তালিকা শরীরের ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে-
- শরীরের ওজন কমাতে হলে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় সালাত রাখুন টমেটো শসা ক্যাপসিকাম বাঁধাকপি এগুলো দিয়ে সালাদ তৈরি করতে পারেন এগুলোতে ক্যালোরি কম থাকে।
- স্ন্যাকস খাবার পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের ফল খান যেমন আঙ্গুর আপেল কমলালেবু ইত্যাদি যা আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে।
- আপনি নিয়মিত আমন্ড খেতে পারেন এতে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে এছাড়াও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
- ছোলা ভিটামিন ও ফাইবারের উৎস। এটি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। আপনারা বেশি বেশি করে ছোলা খেতে পারেন।
- আমরা সকলেই জানি পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও পানির ভূমিকা অপরিসীম। পানিতে থাকে জিরো ক্যালরি তাই বেশি বেশি করে পানি পান করুন।এতে খাবার হজমেও সাহায্য করবে এর পাশাপাশি পেট ও ভরপুর থাকবে।
- মুরগির মাংস আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের যোগান দেয়। গরুর মাংসের মত মুরগির মাংসে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। ওজন কমাতে রেড মিট না খেয়ে মুরগির মাংস খেতে পারেন।
- ডায়াটে সবুজ শাকসবজি,মাছ, ব্রকলি, ফুলকপি, সিদ্ধ আলু ইত্যাদি খাবার খান এসব খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার এসব খাবার দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমাতে মানুষ নানা ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে। যার মদ্ধে রয়েছে চর্বি যুক্ত খাবার না খাওয়া, সালাদ খাওয়া, ব্যায়াম করা ইত্যাদি। তবে আপনারা কি জানেন লেবু দিয়েও ওজন কমানো যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর হালকা গরম পানিতে লেবু মিসিয়ে পান করলে ওজন কমে। আসলে এটি সরাসরি ওজন কমায় না। এটি খেলে আপনার ক্ষুধা কম লাগবে। যার ফলে আপনি কম খাবার খাবেন এবং আপনার শরীর এ ক্যালরি কম যাবে। যার ফলে আপনার শরীরের মেদ নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়
আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন আছি যারা অতিরক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তাই ভুগছি। কেউ কেউ ওজন কমাতে বিভিন্ন ধরনের ওষধের সাহায্য নেয়। কেউ কেউ ভুল ভাল ডায়ট করে অসুস্থতায় ভোগে। এত পোস্টে আমরা আগেই জেনেছি কিভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায় তবে ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকারি উপাই হচ্ছে প্রাকৃতিক পন্থা অনুসরণ করা। ওজন কমানর প্রাকৃতিক উপাই গুলো হলো-
গ্রিন টি ও আদা খাওয়াঃ গ্রিন টি এ রয়েছে অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহয়তা করে। গ্রিন টি এর সঙ্গে আদা মিসিয়ে খেলে তা আরও উপকারে আসবে কারন এটি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এই চা আমদের শরীরে রোগ প্রতিরধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
চুইংগামঃ অসময়ে খাবার ইচ্ছা জাগলে চিনি ছাড়া চুইংগাম চাবাতে পারেন। চুইংগাম চাবানোর ফলে আমাদের মস্তিস্কে সংকেত পৌছায় যে আমরা কিছু খাচ্ছি। এর ফলে আমদের ক্ষুধা কমে আসে। কেউ যদি ওজন কমাতে চান কিন্তু আপনার অসময় এ খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কারন এ হচ্ছে না তাহলে আপনি বেশী বেশী চুইংগাম চাবাতে পারেন। এটি আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করবে।
পানি পান করাঃ পানি ওজন কমাতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালোন করে। পানিতে থাকে জিরো ক্যালরি। তাই পানি পান করে শরীরে ক্যালরি বেড়ে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো ভয় নেই। এছাড়াউ পানি আমদের শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আমদেরকে প্রতিদিন অন্তত ৮-৯ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ আমরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং করে থাকি এছাড়াও কম ক্যালরি যুক্ত খাবার খায়। এটি দীর্ঘমেয়াদী করার ফলে আমদের শরীরের মাংস পেশী শুকিয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আমদের উচিত নিয়মিত ব্যায়াম করা। যেমন- ওয়েটলিফটিং, জগিং, সাঁতার এর ফলে আপনার শরীরের ফিটনেস ভাল থাকবে।
চিনি যুক্ত খাবার বা পানিয় খাওয়া বন্ধ করতে হবেঃ চিনি যুক্ত পানিয় যেমন- কোকাকোলা, মিরিন্ডা, পেপসি, ফান্টা, এই সব এ অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করা হয় তাই এইসব খাবার বর্জন করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানোঃ আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কার্যপ্রকৃয়া ধরে রাখতে বিশ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। আর বিশ্রামের জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। অনিয়মিত ঘুমের ফলে ওজন বৃদ্ধির ঝুকি দেখা দিতে পারে কারন অনিয়মিত ঘুম আমদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে আমদের উচিত পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
সুস্থ্য জীবনের জন্য প্রতিটি মানুষের সঠিক ওজন ধরে রাখা প্রয়োজন। বিসেষ করে মেয়েদের ওজন স্বাভাবিকের তুলোনায় বেশী হলে তাদেরকে পথে ঘাটে হাসির খোরাক হতে হয়। এছাড়াও মেয়েদের অতিরক্ত ওজন এর ফলে শারীরিক, মানসিক ও হরমনজনিত নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেই।
এছাড়াও আমরা গবেষণা থেকে জানতে পারি একজন স্বাভাবিক ওজনের মেয়ের তুলনায় মটা মেয়েদের অসুস্থ হয়ার সম্ভবনা ৬৬% এ ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা খুব জরুরী। মেয়েদের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার কয়েকটি উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো-
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে
- রোজা বা উপবাস থাকতে পারেন ফাইবার বা আজ যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে
- সাধারণ চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি পান করতে হবে
- সবজি এবং ফল বেশি বেশি খেতে হবে
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
- খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে হবে
- সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে লেবু পানি পান করতে হবে
- অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে
- জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে না
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে
- ব্ল্যাক কফি পান করতে পারেন
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
ব্যায়াম না করে ওজন কমানো কথাটি শুনে অনেকের অবাক হচ্ছেন। এতে অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই ব্যায়াম না করেও ওজন কমানো সম্ভব। তবে দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ব্যায়াম করাটা বেশি কার্যকরী। কারণ ব্যায়াম করার ফলে শরীরে ক্যালরি বেশি ঝরানো যায়।
তবে আপনার যদি ব্যায়াম করার সময় না থাকে এবং আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করেই ওজন কমাতে সক্ষম হবেন তবে এতে একটু সময় লাগবে বটে।
আমরা সকলেই জানি বেঁচে থাকার জন্য পানি পান করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমাতে হলে দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার পানি পান করতে হবে। তবে পানি পান করারও কিছু নিয়ম আছে একবারেই অনেক পানি পান করা যাবে না আপনি কিছুক্ষণ পরপর অল্প অল্প করে পানি পান করতে পারেন।
আরোও পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমানোর জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন অল্প গরম পানি খেতে পারেন। গরম পানি আমাদের শরীরের চর্বি কমাতে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের মধ্যে অনেকে আছি যারা বাড়িতে থাকলেও ব্যায়াম করার সময় পাইনা। আবার কেউ কেউ এমনও আছি অলসতার কারণে ব্যায়াম করিনা। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি শরীরের মেদ কমাতে চান তাহলে রোজা বা উপবাস করতে পারেন। রোজা রাখলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না বরং এটি শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং আমাদের পরিপাক ক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে তোলে।
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর আরেকটি অন্যতম উপায় হলো চিনি অথবা চিনি যুক্ত খাবার বর্জন করা। চিনি থেকে কোন পুষ্টি পাওয়া যায়। চিনিযুক্ত খাওয়ার আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও তিনি যুক্ত কোন সফট ড্রিংস খাওয়া যাবে না। তবে কারো যদি মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা থাকে তাহলে চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে মধু অথবা গুড় খেতে পারেন।
ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায়
আপনিও যদি এমন ব্যক্তিদের একজন হোন যারা চেষ্টা করছেন ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়েই ওজন কমানোর তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। ঘরে বসেই আপনি বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেই আপনার শরীরের ওজন কমাতে পারেন ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায় গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-
- ফোনে কথা বলার সময় বসে না থেকে হাটুন
- খাবারে নিয়মিত সালাদ খেতে পারেন। সালাদ তৈরিতে শসা, টমেটো এইসব ব্যবহার করুন
- খাবার খাওয়ার সময় ছোট থালাতে খাবার খান
- অল্প তেলে রান্না করা খাবার খান
- বাইরের কোন তৈলাকতো খাবার এবং সফট ড্রিংক খাওয়া বন্ধ করুন
- সকালের নাস্তা এড়িয়ে না যাওয়া। কখনোই সকালের নাস্তা না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না। কারণ সকালের নাস্তায় দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সকালের নাস্তা বাদ দিলে এটি আমাদের শরীরের সারাদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টির হার কমিয়ে ফেলবে এছাড়াও এতে সারা দিনে আরো বেশি ক্ষুধা লাগবে এর ফলে আপনি অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করে ফেলবেন যা পরবর্তীতে আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে।
- খাবার ধীরে ধীরে এবং সঠিকভাবে চিবিয়ে খেতে হবে
- সব সময় চাপমুক্ত থাকুন গবেষণায় দেখা গেছে একজন আনন্দে থাকার ব্যক্তির ওজন কমতে যা সময় লাগে তার থেকে একজন মানসিক চাপে থাকা ব্যক্তির ওজন কমতে বেশি সময় লাগে।
- পরিমাণ মতো পানি পান করুন
মধু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
আমরা সকলেই মধুর গুন সম্পর্কে অবগত আছি। আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে মধুর অনেক অবদান রয়েছে। এছাড়াও মধুর আরেকটি জাদুকরি কোন রয়েছে, পদতে রয়েছে ওজন কমানোর শক্তিশালী উপাদান।
মধুর মধু দিয়ে ওজন কমানোর কিছু উপায় রয়েছে তা হচ্ছে- মধুর সঙ্গে হালকা গরম পানি আর লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি খুব উপকারী। এছাড়াও যারা ডায়েট করেন তাদের জন্য এটি কাজে আসতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়
এছাড়াও আপনারা চা বা কফিতে চিনির বদলে মধু ব্যবহার করতে পারেন মধুর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী উপাদান। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে মধু খাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url