মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

 

মিষ্টি কুমড়া যা আমরা সকলেই সবজি হিসেবে চিনে থাকি তবে এটি এক প্রকারের ফল। এটি অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। মিষ্টি কুমড়া কাঁচা থাকলে সবুজ রঙের হয়ে থাকে এবং এটি পাকলে এর গায়ে সবুজ রঙের উপর হলুদ বর্ণের রং ফুটে ওঠে। বছরে প্রায় সারা বছরই এই সবজি পাওয়া যায়। আমরা তো অনেকেই মিষ্টি কুমড়া খেয়ে থাকি তবে আপনারা কি জানেন মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা কি। মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও মিষ্টি কুমড়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই ব্লক পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করেছি মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও এর ক্ষতিকর দিক সহ নানা বিষয়ে। চলুন তাহলে এর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

সূচিপত্রঃ মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে

সবজি হিসেবে কি কুমড়ার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। মিষ্টি কুমড়া খেতেও যেমন সুস্বাদু হয়ে থাকে তেমন এটি পুষ্টি গুণে ভরপুর একটি সবজি। আমরা সকলে মিষ্টি কুমড়া খেয়ে থাকি এবং জানি এটিতে অনেক ভিটামিন আছে তবে আপনি কি জানেন মিষ্টি কুমড়ায় কোন কোন ভিটামিন থাকে। মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। 

এর মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন গুলো হচ্ছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এছাড়াও ভিটামিনের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, লোহা ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। মিষ্টি কুমড়া আমাদের ত্বক, চোখ ইত্যাদি ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মিষ্টি কুমড়া  উপকারিতা

স্বাদে এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি যা হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। আমরা সকলেই মিষ্টি কুমড়া খেয়ে থাকি কিন্তু অনেকে আছি যারা এর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে -

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়কঃ মিষ্টি কুমড়াতে থাকা ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন ই আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ায় অবস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই যা আমাদের শরীরের বেশ কিছু মারাত্মক রোগ যেমন - ক্যান্সার, হৃদরোগ ইত্যাদি থেকে দূরে রাখে।

ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ আমরা এটি সকলেই জানি যে অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে আমাদের শরীরের ওজন বাড়ে। মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে। স্বল্প পরিমাণে ক্যালরি এবং এটিতে ০.৭ গ্রাম আঁশ রয়েছে। আপনি যদি ডায়েটে থাকেন অথবা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।

ত্বক উজ্জ্বল করে তোলেঃ ভিটামিন সি আমাদের ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ভিটামিন এ এবং সি আমাদের ত্বক এবং চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

চোখ সুস্থ রাখেঃ চোখ আমাদের কতটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তা আমরা সকলেই জানি। তাই চোখের যত্ন নেওয়া আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিষ্টি কুমড়া আমাদের চোখ সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এছাড়াও এটি চোখের বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করে থাকে। মিষ্টি কুমড়া রান্না করার পর এটিতে থাকা বিটাক্যারোটিন ভিটামিন এ তে পরিণত হয়। ভিটামিন এ আমাদের চোখের বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করে।

খাদ্য হজমে সহায়তা করেঃ মিষ্টি কুমড়াই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাস বা ফাইবার। আজ বা ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বাড়ায় এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য লোক থেকে মুক্তি দিতে পারে। এটিতে থাকা ফাইবার সহজে সহজে খাবার হজম হতে সহায়তা করে।তাই আমরা শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারি।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ মিষ্টি কুমড়ায় অবস্থিত ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা বেশি বেশি মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ মিষ্টি কুমড়ায় থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই আমাদের দেহকে ডায়াবেটিস ক্যান্সার ও হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

মিষ্টি কুমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে

আমাদের মধ্যে অনেকে এমন আছে যারা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করে থাকি। এছাড়াও ঐসব খাওয়ার থেকে বিরত থাকি যে সব খাবার খেলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পাবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে তবে মিষ্টি কুমড়ার স্বাদ মিষ্টি হয়ে থাকে অনেকেরই মনে কখনো না কখনো এই প্রশ্ন আসতে পারে যে মিষ্টি কুমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে।
এর উত্তর হচ্ছে না মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন বাড়ে না। ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে ক্যালোরের পরিমাণ ২৬ যার মধ্যে চর্বি বা কোলেস্টেরল এর সংখ্যা শূন্য। মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আঁশ ও খনিজ। তাই যারা ওজন কমাতে চান বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিটি নারীর জন্যই গর্ভাবস্থা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে নারীদের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশি খেয়াল রাখা উচিত। গর্ভবতী মহিলাকে খাবার ও পানীয় দিক থেকে সতর্ক হতে হয়। এ সময় উচিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে কুমড়া। যার পুষ্টিগণ অনেক। তবে গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়া নিরাপদ কিনা বা গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খেলে কি উপকারে আসবে এমন প্রশ্ন অনেকেরই থাকতে পারে।

আসলে অতিরিক্ত কোন জিনিসই খাওয়া ঠিক নয়। গর্ভাবস্থায় সীমিত পরিমানে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া নিরাপদ। মিষ্টি কুমড়া অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সবজি এবং এটি ক্যালসিয়ামের ও ভালো উৎস। একজন সুস্থ গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে সীমিত পরিমাণে কুমড়া খাওয়া নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে যাদের গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা যায় তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপর কুমড়ো খাওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-
  • গর্ভাবস্থায় কুমড়ো খেলে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
  • যে সকল মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকতে পারে সে সকল গর্ভবতী মহিলারা কুমড়ো খেতে পারেন কারণ মিষ্টি কুমড়ায় থাকা উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
  • মিষ্টি কুমড়া গর্ভবতী মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হরমোনের পরিবর্তন ঘটে পরিপাকতন্ত্রকে ধীর করতে পারে। সেক্ষেত্রে কুমড়ো খেতে পারেন। মিষ্টি কুমড়াতে থাকা ফাইবার খাবার হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
  • চোখ ভালো রাখতে কুমড়ো বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের চোখের সমস্যা দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রের গর্ভ অবস্থায় প্রতিরোধ করতে পারেন। কুমড়ায় অবস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • গর্ব অবস্থায় মহিলাদের হরমোন পরিবর্তন ঘটে। এটি ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে। সেক্ষেত্রে তো সুস্থ রাখতে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। মিষ্টি কুমড়াই উপস্থিত বিটাক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • মিষ্টি কুমড়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। গর্ভাবস্থায় হার্টকে সুস্থ রাখতে কুমড়ো খেতে পারেন। মিষ্টি কুমড়াই থাকা পটাশিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন সি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস রোগীরা কি মিষ্টি কুমড়া খেতে পারবে

ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার নিয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আমরা অনেকেই কমলা খেতে পছন্দ করি। কিন্তু আমাদের মধ্যে যারা ডায়াবেটিস রোগে ভুগছি তাদের মধ্যে প্রশ্ন থাকতে পারে যে ডায়াবেটিস রোগীরা কি মিষ্টি কুমড়া খেতে পারবে।
এর উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ ডায়াবেটিস রোগীরা দিনে সর্বোচ্চ ৯০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়া খেতে পারবে। ডায়াবেটিস রোগীদের ৯০ গ্রামের বেশি কখনোই মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যাবেনা। মিষ্টি কুমড়ায় দুইটি যৌগ রয়েছে একটি হচ্ছে ট্রিগোনেলিন এবং অপরটি নিকোটিনিক অ্যাসিড এগুলো ডায়াবেটিসের হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমাণ মতো মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।

মিষ্টি কুমড়ার বিচি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা উক্ত পোস্টের মাধ্যমে জেনেছি মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা অনেকেই মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়ার বিচি ও খেয়ে থাকি আপনি কি জানেন মিষ্টি কুমড়ার বিচির গুণ সম্পর্কে। মিষ্টি কুমড়া যেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর তেমন মিষ্টি কুমড়ার বিচিও সেই দিক দিয়ে কম নয়। মিষ্টি কুমড়ার বিচি খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-
  1. মিষ্টি কুমড়ার বিচি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  2. হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  3. আমাদের দেহের ওজন কমাতে সহায়তা করে।
  4. ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  5. চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  6. শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বা জ্বালা করার অনুভূতি কমায়।
  7. ভালো ঘুম আনে।
  8. কুমড়ার বিচিতে অবস্থিত ফাইবার ও প্রোটিন অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
  9. ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।

মিষ্টি কুমড়ার বিচি খাওয়ার নিয়ম

মিষ্টি কুমড়া যেমন অনেক পুষ্টি গুনে ভরপুর মিষ্টি কুমড়ার বিচিও তেমন। আমরা অনেকে আছি যারা মিষ্টি কুমড়া খাই ঠিকই কিন্তু এর বিচি ফেলে দেই আবার অনেকেই আছি এর সঠিক খাবার নিয়ম জানি না বলে খায় না।পাকা মিষ্টি কুমড়ার বিচি সাধারণত খাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়ার বিচি অনুগ্রহ করে ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে শুকনো করে। তাওবা ফ্রাইপ্যান এর মাধ্যমে মচমচে করে তেল ছাড়া ভেজে খেতে পারেন।

মিষ্টি কুমড়ার ক্ষতিকর দিক

আমরা সকলেই জানি মিষ্টি কুমড়া কতটা ভিটামিনসমৃদ্ধ একটি সবজি। এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না কিন্তু যে জিনিসের উপকারিতা আছে ওইটার কিছু অপকারিতাও থাকবে এইটা স্বাভাবিক। মিষ্টি কুমড়া প্রতিদিন পরিমাণ মতো খেলে এর কোন ক্ষতি নেই। তবে অতিরিক্ত খেলে এটি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার ফলে যেসব ক্ষতি হতে পারে চলুন সে সম্পর্কে জেনে নি-

রক্তচাপ কমে যাওয়াঃ মিষ্টি কুমড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু যাদের শরীরে এমনিতেই রক্তচাপ কম তারা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় মিষ্টি কুমড়া খায় সেক্ষেত্রে তাদের রক্তচাপ অনেক কমে যেতে পারে।

হজমে সমস্যা দেখা দেওয়াঃ মিষ্টি কুমড়া স্বাভাবিক মাত্রায় খাওয়া হলে এটি আমাদের শরীরে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে কিন্তু এটি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া হয় তাহলে এর মধ্যে অবস্থিত কিছু উপাদান পেটের মধ্যে সমস্যার কারণ হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধিঃ আপনি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম বা তার কম পরিমাণ মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। পরিমাণ মতো খেলে মিষ্টি কুমড়া আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। কিন্তু প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি কুমড়া খেলে এটি আপনার শরীরের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়িয়ে দিতে পারে।

শরীরে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়াঃ যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাভাবিক মাত্রায় মিষ্টি কুমড়া খেলে কোন প্রকার সমস্যা হবে না তবে খাবার পরিমাণ যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয় সে ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার হার অনেক কমে যাবে এতে শরীরে অন্যান্য সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করলাম মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা এছাড়াও নানা বিষয় সম্পর্কে আশা করি পোস্টটি ভালো লেগেছে। এমন নতুন নতুন পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করে থাকি। নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে আপনাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url