ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি যদি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে ফাইবারে কোন কাজের
চাহিদা বেশি, সাইভারে কাজ করার নিয়ম সহ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরী কেননা
ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে থাকেন তাহলে ফাইবারে ওই
কাজটি করে খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকালের মাধ্যমে আমরা জানবো ফাইবার কি, ফাইবার একাউন্ট খোলার
নিয়ম, ফাইবারে কাজ করার নিয়ম, ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি ইত্যাদি। চলুন
তাহলে আর দেরি না করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকাঃ ফাইবার মার্কেটপ্লেস পরিচিতি
ফাইবার হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি হওয়া একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস।
বর্তমানে এটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এই
মার্কেটপ্লেসটিকে কোন এক ইসরাইলের কোম্পানী ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিল। বর্তমানে
ফাইবার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অন্যতম নির্ভরযোগ্য একটি মার্কেটপ্লেস হিসেবে নিজের
জায়গা প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে।
এছাড়াও হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সারদেরকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। ফাইবারে
বিগেনার থেকে শুরু এক্সপার্ট পর্যন্ত সবারই কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমাদের সবারই
মধ্যে কোনো না কোনো কাজে এক্সপার্টনেস রয়েছে। আপনি যে কাজটির এক্সপার্ট ওইটা
নিয়েও আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
ধরুন আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন অবজেক্ট রিমুভ, টাইপিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন,
ওয়েব ডিজাইনিং, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, এসইও, কন্টেন্ট রাইটার
ইত্যাদি সহ যত ধরনের কাজ রয়েছে আপনি কোন একটি কাজে যদি কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন
সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ফাইবারে গিগ পাবলিশ করে এই কাজগুলো করতে পারেন।
ফাইবার ছাড়াও আরো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমন আপ ওয়ার্ক, ফ্রিড্যান্সার
ডটকম ইত্যাদি তবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে
জনপ্রিয় হচ্ছে ফাইবার। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান
সেক্ষেত্রের ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, ফ্রিড্যান্সার ডটকম ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস গুলোতে
তা খুব সহজেই করতে পারবেন।
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম
ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে হলে প্রথমে যেটি আপনার প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে
একটি ফাইবার অ্যাকাউন্ট। আপনি যদি ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম এবং ফাইবারের
প্রোফাইল কমপ্লিট করার বিষয়ে যদি অবগত না থাকে সে ক্ষেত্রে নিচে উল্লেখিত তথ্য
দ্বারা খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাকঃ
ফাইবার একাউন্ট খুলতে প্রথমে আপনি যে কোন একটি ব্রাউজারের মাধ্যমে
https://www.fiverr.com/ এই ওয়েবসাইটটিতে
প্রবেশ করুন। এছাড়াও আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফাইবার একাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে
গুগল প্লে স্টোর থেকে ফাইবার অ্যাপটি ইন্সটল করেও করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ কম দামে ভালো dslr ক্যামেরা
ফাইবারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর Join নামের একটি বাটন পেয়ে যাবেন
ওইটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনার কাছে সাইন আপ করার একটি ইন্টারফেস আসবে।
আপনি এখানে ফেসবুক, জিমেইল, অ্যাপেল আইডি ইত্যাদির মাধ্যমে সাইন ইন করতে পারেন।
আপনি যদি ইমেইলের মাধ্যমে সাইন আপ করতে চান সে ক্ষেত্রে Inter your email এ আপনার
ইমেইল আইডি টি দিয়ে দিন এবং Continue বাটনটিতে ক্লিক করুন।
Continue বাটনটিতে ক্লিক করার পর আপনার কাছে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করার
একটি ইন্টারফেস আসবে ওইখানে আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করে join বাটনটিতে
ক্লিক করুন।
join বাটনটিতে ক্লিক করার পর আপনি যে ইমেইল একাউন্টটি ব্যবহার করে ফাইবারে জয়েন
করেছেন ওই ইমেইল একাউন্টে একটি মেইল আসবে ওইখানে আপনার ফাইবার একাউন্ট টিকে একটিভ
করতে হবে।
ফাইবার অ্যাকাউন্টটি অ্যাক্টিভেট করার জন্য ফাইবার থেকে পাঠানো মেইল টিতে প্রবেশ
করুন এবং Activate Your Account বাটনটিতে ক্লিক করুন। ফাইবার অ্যাকাউন্ট তৈরি
হয়ে গেল।
ফাইবার অ্যাকাউন্টটি তৈরি করার পর ফাইবার প্রোফাইল সেটআপ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
কারণ ফাইবারে একটা ক্লাইন্ট যখন আপনাকে কাজ দিবে প্রথমে আপনার প্রোফাইলটি চেক
করবে। এ কারণে প্রোফাইলটি ভালোভাবে সেটআপ করে নেওয়া জরুরী। চলুন তাহলে ফাইবার
প্রোফাইল সেটআপ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
ফাইবার প্রোফাইল সেটআপ করার জন্য ফাইবারে লগইন করে ওপরে ডান পাশে থাকা প্রোফাইলে
ক্লিক করে সেটিং অপশনটিতে প্রবেশ করুন। সেটিং অপশনে প্রবেশ করার ফুল নেম এর
জায়গাতে আপনার এনআইটি অনুসারে নামটি দিয়ে দেবেন। আপনার নিজের যদি এন আই ডি
কার্ড না থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার অভিভাবকের এন আই ডি কার্ড এর নাম ব্যবহার
করতে পারেন। নাম দেওয়া হয়ে গেলে Save Changes বাটনটিতে ক্লিক করুন।
এরপর আবার প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন। প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করার পর প্রোফাইল
নামের অপশন পাবেন ওইটিতে ক্লিক করুন। একটি ইন্টারফেস আসবে এখানে আপনার প্রোফাইল
পিকচার, আপনার নিক নেম, এবং আপনার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু লিখে দেবেন।
আরও পড়ুনঃ
৩০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল
এরপর নিচে স্ক্রল করলে ডিসক্রিপশন নামের অপশন পেয়ে যাবেন ওইখানে ডিসক্রিপশন এড
করবেন। ডেসক্রিপশন এড করার পর আপনি যেসব ভাষা বোঝেন বা যেসব ভাষায় পারদর্শী ঐ
সকল ভাষা সিলেক্ট করে দিন।
এরপর Linked Account নামের একটি অপশন পেয়ে যাবেন ওইখানে আপনার যত ধরনের সোশ্যাল
মিডিয়ার লিংক রয়েছে সবগুলোকে অ্যাড করে দেবেন।
এরপর Skills এর জায়গায় আপনি যে কাজে দক্ষতা রয়েছে সেগুলো এখানে বসিয়ে দেবে।
এরপর Education এ আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে দেবেন।
এরপর Certification আপনি যেখান থেকে কাজের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং প্রশিক্ষণ থেকে
পাওয়া সার্টিফিকেট ইত্যাদির ইনফরমেশন এখানে দিয়ে দেবেন।
এগুলো সব দেওয়া হয়ে গেলে আবার প্রোফাইল আইকনটিতে ক্লিক করুন এবং Become a
seller অপশনটিতে ক্লিক করুন।
Become a seller অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনার কাছে নতুন একটি ইন্টারফেস আসবে
ওইখানে আবার Become a seller বাটনটিতে ক্লিক করুন। এরপর আপনার কাছে যতবার
কন্টিনিউ বাটন আসবে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে থাকুন।
কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করার পর Personal info এর ইন্টারফেস পেয়ে যাবেন এখানে
আপনার ফাস্ট নেম এবং লাস্ট নেম দিয়ে দিন এবং নিচের দিকে স্ক্রল করে Continue
বাটনটিতে ক্লিক করুন।
Continue বাটনটিতে ক্লিক করার পর আরেকটি ইন্টারফেস আসবে এখানে Select Occupation
এ ঠিক করে আপনি যে রিলেটেড কাজটি করতে চাচ্ছেন ওইটি সিলেক্ট করে দিন এবং তার সাথে
কয়েকটি স্কিল যুক্ত করে দিন।
যে ইনফরমেশন গুলো আপনার ফুলফিল করা আছে ওইগুলো আর এক্সট্রা করে দেওয়া লাগবে না
স্ক্রল করতে থাকুন নিচে Personal website নামের একটি অপশন পাবেন আপনার যদি কোন
পার্সোনাল ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে ওই ওয়েবসাইটের লিংকটি এখানে বসিয়ে দিতে
পারেন আর যদি নাও থাকে তাহলেও সমস্যা নেই। এরপর কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয়
এরপর নতুন একটি ইন্টারফেস পেয়ে যাবেন এখানে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক এড করতে
বলবে আপনি যদি আগে থেকে এড করে রাখেন সে ক্ষেত্রে আর নতুন করে এড করার দরকার নেই।
কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন।
এরপর Account Security নামের একটি ইন্টারফেস আসবে এখানে আপনার ফোন নাম্বারটি
অ্যাড করে ভেরিফাই করে দিন এবং Finish বাটনটিতে ক্লিক করুন। এরপর Your seller
profile is all set নামের একটি লেখা দেখাবে এখানে Done বাটনটিতে ক্লিক করুন তাহলে
আপনার প্রোফাইল সেটআপ কমপ্লিট।
প্রোফাইল সেটআপ করা হয়ে গেলে আপনি কি একটি Gig তৈরি করতে হবে আর্টিকেলটি পড়তে
থাকুন এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কিভাবে ফাইবারে গিগ বানাতে হয়
ফাইবার প্রোফাইল ফুলফিল ভাবে সেটআপ করার পরে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে গিগ
তৈরি। আপনি যদি ফাইবারে গিগ তৈরি সম্পর্কে না জেনে থাকেন সেক্ষেত্রে
নিচে দেওয়া ইনস্ট্রাকশন গুলি ফলো করুনঃ
গিগ তৈরির জন্য আপনাকে প্রথমে গিগের টাইটেল দিতে হবে। ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে
এবং সার্চ ট্যাগ যুক্ত করতে হবে। এটি করার জন্য আপনি যে ক্যাটাগরির গিগ তৈরি করতে
চাচ্ছেন ওই সকল ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল ভিজিট করে তাদের তৈরি গিগ গুলো দেখে
খুব ভালোভাবে একটি গিগ তৈরির আইডিয়া নিতে পারবেন।
গিগ তৈরীর ক্ষেত্রে অন্যের গিগ মোটেও কপি করবেন না। অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের
প্রোফাইলে ঢুকে তাদের গিগ গুলো দেখে আইডিয়া নিয়ে নিজের মত করে আপনার গিগটি তৈরি
করবেন। গিগের টাইটেল, ক্যাটাগরি, সাব ক্যাটাগরি এবং ট্যাগ ইত্যাদি দেওয়া হয়ে
গেলে Save & Continue বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়
এরপর আপনার কাছে Scope & Pricing নামের আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আসবে এখান থেকে
বেসিক, স্ট্যান্ডার্ড, এবং প্রিমিয়াম এ কাজের লেভেল অনুযায়ী প্রাইস নির্ধারণ
করে দেবেন। সবগুলো তথ্য দিয়ে দেওয়ার পর নিচে থাকা Save & Continue বাটনটিতে
ক্লিক করুন। এরপর আপনি যে Gig পাবলিশ করছেন বইটির সম্পর্কে কিছু লিখে দেবেন।
ডিসক্রিপশন দেওয়ার পর নিচে স্ক্রল করে Save & Continue বাটনে ক্লিক করুন।
এরপর আপনার কাজের ছবি, ভিডিও এবং পিডিএফ ফাইল দিয়ে নিচে থাকা টিক মার্ক এ ক্লিক
করে Save & Continue বাটনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর You are almost
there নামের একটি ইন্টারফেসর করবে এখানে নিচের দিকে স্ক্রল করে আপনাকে জিজ্ঞাসা
করা হবে আপনি কি ইউ এস পার্সোন।
আপনি যদি ইউএস পার্সোন হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে Yes সিলেক্ট করবেন আর না হলে No
সিলেক্ট করে সেভ বাটনটি ক্লিক করুন। এরপর আপনার কাছে You are done লেখা একটি পপ
আপ আসবে Close এ ক্লিক করুন। এর পর পাবলিশ গিগ এ ক্লিক করুন তাহলেই আপনার গিগটি
পাবলিশ হয়ে যাবে।
ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার আগে ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে
জেনে ওই স্কিল ডেভলপ করে আপনি যদি ফাইবারে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে খুব
তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে। কেননা ফাইবারে বিভিন্ন প্রকারের প্রকারের কাজ
রয়েছে তবে এখানে মূল কথা হচ্ছে কোন কাজের চাহিদাটি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি।
আপনি যদি জানতে চান ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলব
ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ যেমন সিপিএ মার্কেটিং,
কন্টেন্ট মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদির
ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাস্টার কার্ড করার নিয়ম
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ অন্যান্য কাজগুলো যেমন গ্রাফিক ডিজাইনিং, ওয়েব
ডিজাইনিং এইসবের চেয়ে অনেকটা সহজ। আপনি যদি বিগেনাল লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হয়ে
থাকেন সেক্ষেত্রেও ডিজিটাল মার্কেটিং করে ফাইবারের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
অন্যান্য কাজগুলোর থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং খুব কম সময়ে শেখা যায়।
ফাইবার মার্কেটপ্লেসে এসইও অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর চাহিদা ব্যাপক যা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভেতরে পড়ে। ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে
আপনি যে কোন একটিতে দক্ষতা অর্জন করে ফাইবারে কাজ করার মাধ্যমে খুব সহজেই লাখ লাখ
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ
- এসইও
- অ্যাড ম্যানেজার
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- পে-পার ক্লিক
- সিপিএ মার্কেটিং
ফাইবারে কাজ করার নিয়ম
ফাইবারে কাজ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে অবশ্যই এ নিয়ম নীতিগুলো
মেনে আপনাকে কাজ করতে হবে। ফাইবারে কাজ করতে হলে যেসব নিয়ম মেনে কাজ করা উচিত তা
নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- ফাইবারে বায়ারের কাছে আপনার পার্সোনাল নাম্বার, আইডি, ইমেল কোন কিছুই শেয়ার করবেন না।
- ফাইবারে কোন গিগ পাবলিশ করে বায়ার্স না পেলে গিগটি ডিলিট করবেন না বরং গিগটিকে আরো ভালোভাবে মডিফাই করে দেবেন।
- সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বায়ারের সাথে কখনোই খারাপ ব্যবহার করবেন না। বায়ার যদি আপনাকে উল্টাপাল্টা কিছু বলে থাকে সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা মাথায় বায়ারকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
- আপনার ফাইবার এর প্রোফাইল পিক বারবার পরিবর্তন করবেন না। এতে আপনার নিয়মিত বায়ারদের আপনার প্রোফাইলটি চিনতে কিছুটা অসুবিধা হবে।
- একাধিক ডিভাইস থেকে আপনার ফাইবার আইডিটি লগইন করা থেকে বিরত থাকুন।
- আপনার বায়ারের মেসেজের রিপ্লাই তাৎক্ষণিক দেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি লেট রিপ্লাই করেন সে ক্ষেত্রে আপনার রেসপন্স রেট ডাউন হয়ে যাবে।
- ফাইবারের নীতিমালার বাইরে কোন প্রকারের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
- অন্যের প্রোফাইল থেকে কিছু কপি করে নিজের প্রোফাইলে অথবা অন্যের গিগ কপি করে পাবলিশ করবেন না।
- আপনার বায়ার আপনাকে কাজ সম্পন্ন করার যে সময়টা দিয়েছে সব সময় চেষ্টা করবেন ওই সময়ের আগে কাজটি সম্পন্ন করে বায়ারকে দিয়ে দেওয়ার। এতে বায়ারের কাছে বোনাস রিওয়ার্ড পাওয়ার সুযোগ থাকে।
ফাইভার থেকে টাকা উত্তোলন
ফাইবার থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য আপনার অবশ্যই Payoneer অথবা Paypal একাউন্ট
থাকতে হবে। বাংলাদেশে যেহেতু পেপাল সাপোর্ট করে না সে ক্ষেত্রে আপনি Payoneer এর
মাধ্যমে ফাইবার থেকে খুব সহজেই ফাইবার থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। ফাইবার
থেকে টাকা উত্তোলন করতে আপনার ফাইবার একাউন্টে মিনিমাম ২০ ডলার থাকতে হবে তাহলে
আপনি উত্তোলন করতে পারবেন। ২০ ডলারের কম থাকলে ফাইবার থেকে টাকা উত্তোলন হবে না।
উপসংহারঃ ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি
প্রিয় পাঠক আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম ফাইবার মার্কেটপ্লেস পরিচিতি, ফাইবার
একাউন্ট খোলার নিয়ম, ফাইবারে কাজ করার নিয়ম, ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি,
ফাইবারে কিভাবে কাজ পাওয়া যায়, কিভাবে ফাইবারে গিগ বানাতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে।
আশা করি উক্ত পোস্টের মাধ্যমে ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি এটি সহ সাইবার
সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
আরও পড়ুনঃ মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
পোস্টটি ভালো লাগলে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আমরা নিয়মিত আমাদের
ওয়েবসাইটে এরকম বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করে থাকি। তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যাংকিং
সেবা, রোগের চিকিৎসা, লাইফ স্টাইল সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পড়তে আমাদের
সাথেই থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url