বাত ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আমাদের মধ্যে অনেকেই বাত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে অবগত নয়। বাত ব্যথার
ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে বাত ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব সেক্ষেত্রে
আপনি যদি বাত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সম্পূর্ণ
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা বাত ব্যথা কি, বাত ব্যথা কেন হয়, বাত
ব্যথার লক্ষণ, বাত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সহ আরো নানা বিষয়ে আলোচনা করেছি। চলুন
এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্রঃ বাত ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ভূমিকাঃ বাত ব্যথা কি
বাত এর অনেকেই শুনেছেন। আপনি কি জানেন বাত আসলে কি। বাত ব্যথা হচ্ছে একটি
শরীরবৃত্তিয় রোগ। আমাদের শরীরের মাংস, হাড় এবং অস্থিসন্ধিতে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা
হওয়াকে বাত ব্যথা বলা হয়ে থাকে। বাত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে যেমন গিটে বাত,
সন্ধিবাত, আর্থ্রাইটিস, মেরুদন্ড প্রদাহ, বাত জ্বর, কাটিবাত, আমবাত ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ চর্ম রোগ থেকে মুক্তির উপায়
সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষ বা মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস, কিডনের রোগ, অ্যানিমিয়া, অতিরিক্ত মোটা শরীর, নিয়মিত অ্যালকোহল পান
এছাড়াও পরিবারের কারো বাত রোগ থাকলে বাত রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়াও কিছু
কিছু এমন ঔষধও আছে যা নিয়মিত সেবন করার ফলে বাত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
বাত ব্যথা কেন হয়
অনেকেই বাত ব্যথা কেন হয় এই সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে অবগত নয়। বাট হচ্ছে একটি
শরীরবৃত্তীয় রোগ। বাত এর ফলে আমাদের শরীরের হাড় অথবা মাংসে অতিরিক্ত ব্যথা হয়ে
থাকে। বাত ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বাত ব্যথার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে
দেওয়ার কিছু প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- পারিবারিক ইতিহাস অর্থাৎ আপনার পরিবারে কারো বাত রোগ হয়ে থাকলে তার থেকে আপনারও বাদ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- নিয়মিত অ্যালকোহল পান অথবা ধূমপানের কারণেও বাতের ব্যথার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির ফলে আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা দেখা দিতে পারে।
- বাত রোগ সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়।
- বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বাত বা আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
- বড় ধরনের কোন আঘাত বাঁধ সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
- শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কমে গেলে বাত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলেও আর্থ্রাইটিস বা বাত দেখা দিতে পারে।
বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
অনেকেই মনে প্রশ্ন থাকে বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়। আসলে শরীরের যে কোন অঙ্গে
বাত ব্যথা হতে পারে তবে বিশেষ করে হাড়ের জোর এবং মাংসপেশিতে বাত ব্যথা বেশি দেখা
দেয়। যেমনঃ
হাটু
বাতের ব্যথা হাটুতেই সবচেয়ে বেশি দেখা দিতে পারে। বাতের ফলে হাঁটুর হাড়
জয়েন্টের স্থানে নাড়াচাড়া করতে সমস্যা দেখা দেয়, হাঁটুর মাংসপেশীতে ফোলা ভাব
সৃষ্টি করে এবং শক্ত হয়ে যায়।বাতের ফলে হাটু ব্যথা হলে দাঁড়ানো বা হাঁটাচলা
করলে এর প্রভাব আরো বেড়ে যায়।
পায়ের আঙুল
বাত পায়ের আঙুলেও সমস্যা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে পায়ের আঙ্গুলের মাথায় এর
প্রভাব দেখা দেয়। এ অবস্থায় পায়ে জুতা পরিধান করলে অথবা বা আটাহাঁটি কোন
স্থানে রাখলে তার থেকে আরও বেশি ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
পায়ের গোড়ালি
বাতের ব্যথা আমাদের পায়ের গোড়ালি কেউ প্রভাবিত করে। এর ফলে স্বাভাবিক
জীবনযাত্রায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। স্বাভাবিক হাঁটাচলায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে
এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ের গোড়ালিতে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব
হতে থাকে।
সোল্ডার
ঘাড় অথবা কাঁধ ব্যথাকে বাত ব্যথার সাধারণ উপসর্গ বলা যেতে পারে। এর ফলে কাঁধের
মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং এ ব্যথা ঘাড় পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। যা
আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে।
হাতের আঙুল
বাত ব্যথা হাতের আঙুলেও দেখা দিতে পারে। এর ফলে আঙুলে ব্যথা হওয়া এবং আঙুল লালচে
হয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
কব্জি
বাত ব্যথার প্রদাহ কব্জির জয়েন্টে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে কব্জির হাড়ে
ব্যথা, কব্জি নাড়াচাড়া করতে সমস্যা হওয়া, এছাড়াও অসারতাও দেখা দিতে পারে।
বুক ব্যথা
দীর্ঘমেয়াদি বাত ব্যথা থেকে ফুসফুসের প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। কেননা
দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার প্রবাহের ফলে ফুসফুসে কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হয়ে বুকে
ব্যথা উৎপন্ন হতে পারে।
বাত ব্যথার লক্ষণ
বাত ব্যথার লক্ষণ বা উপসর্গ আমাদের জেনে রাখা উচিত কেননা এটি জানা থাকলে আমরা এর
উপসর্গ দেখেই বাতের সমস্যা সনাক্ত করতে সক্ষম হব। নিচে বাত ব্যথার সাধারণ লক্ষণ
বা উপসর্গগুলি উল্লেখ করা হলোঃ
- বাতের প্রাথমিক লক্ষণ হল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জয়েন্টে বা মাংসপেশীতে ব্যথা হওয়া।
- হাত ব্যবহারে অক্ষমতা দেখা দেওয়া।
- শরীরের কোন অংশ ফুলে ওঠা বা ফোলা ভাব সৃষ্টি হওয়া।
- মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়া।
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে লালচে ভাব দেখা দেওয়া।
- শরীরের ওজন কমে যাওয়া।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া।
- পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া।
- হাত-পা ব্যবহারে অক্ষমতা দেখা দেওয়া।
- হাটা অথবা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা দেখা দেওয়া।
- হাড়ের জয়েন্টে উষ্ণতা অনুভব করা।
- অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ সৃষ্টি হওয়া।
- কাজের গতি হ্রাস পাওয়া।
বাত ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে বাতের সমস্যায় ভুগছেন। বাত রোগের
সরাসরি কোন চিকিৎসা নেই। তবে বাতের ব্যথা নিরাময়ে চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়ার
পাশাপাশি আমাদের জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এবং বাত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রয়োগে বাত ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চলুন তাহলে বাত ব্যথার
ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সেঁক দেওয়া
আমরা সকলেই জানি যে কোন ধরনের ব্যথা কমাতে ঠান্ডা কিংবা গরম সেঁক কতটা কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে। বাত ব্যথার ক্ষেত্রেও ঠান্ডা কিংবা গরম সেঁক অনেক কার্যকর।
বাতের ব্যথা কমাতে উক্ত স্থানে ঠান্ডা কিংবা গরম সেঁক দিলে অতিরিক্ত ব্যথা থেকে
সাময়িক সময়ের জন্য উপশম পাওয়া যায়। তাই বাত ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সেঁক দিতে
পারে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া
বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে বিশ্রাম বেশ ভালো উপায়। বাতের ব্যথা শুরু হলে আপনি
স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করুন। এতে পর্যাপ্ত ঘুম আপনার
ব্যথা নিরাময়ে সহায়তা করবে এর পাশাপাশি শরীরের ক্লান্তি কমাতেও সাহায্য করবে।
সহায়ক কিছুর সাহায্য নেওয়া
বাতের ব্যথায় হাঁটাচলাই সমস্যা সৃষ্টি হয় কেননা হাঁটাচলা করলে উক্ত জয়েন্টে
চাপ সৃষ্টি হয় এবং এটির ফলে ব্যথা আরো বৃদ্ধি পায় সেক্ষেত্রে হাঁটা চলার সময়
চাপ পড়া থেকে রক্ষা করতে লাঠি বা ক্র্যাচ ব্যবহার করতে পারেন। এটি বাতের ব্যথা
বৃদ্ধি হওয়া থেকে রক্ষা করবে। এছাড়াও স্প্রিন্ট এর মত কিছু ডিভাইস জয়েন্টে
লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে হাড়ের জয়েন্টগুলো স্বস্তি পাবে। তবে অতিরিক্ত সময় ধরে
এসব ব্যবহার করা যাবে না। সব থেকে ভাল হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা।
ব্যায়াম
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। নিয়মিত ব্যায়াম
আমাদের শরীরের জয়েন্টের উন্নতি করার পাশাপাশি মাংসপেশী শক্তিশালী করে থাকে। তাই
বাত ব্যথার সমস্যা হাওয়া থেকে বাঁচতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন।
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
যাদের বাতের সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সর্তকতা
অবলম্বনের প্রয়োজন কেননা এমন কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা আমরা প্রতিনিয়ত খাই এবং
ওই খাওয়ার খাওয়ার ফলে আমাদের বাতের ব্যথা আরো বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে যে
খাবারগুলো খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে ওইগুলো সম্পর্কে অবশ্যই জেনে রাখা জরুরি। বাসের
ব্যথা হলে কি খাওয়া যাবেনা তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- বাত ব্যথায় লেবু, টমেটো, আমড়াজাতীয় ফল, এছাড়াও শিকড় জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা এসব খাওয়ার ব্যথা বৃদ্ধি করে।
- বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা যেমন গম, বার্লি ইত্যাদি তে রয়েছে এক বিশেষ প্রোটিন যা বাতের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের শস্য জাতীয় খাবার অতিরিক্ত না খাওয়াই উত্তম।
- অতিরিক্ত লবণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। লবনে উপস্থিত সোডিয়াম বাতের ব্যথা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই বাতের সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত লবণ না খাওয়াই উচিত।
- অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার বাতের ব্যথা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা।
- নিয়মিত অ্যালকোহল খাওয়া যাবেনা কেননা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বাতের সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
কি খেলে বাতের ব্যথা কমে
প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আমরা জানলাম কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে এর পাশাপাশি আমাদের
এটাও জানা প্রয়োজন কোন খাবারগুলো খেলে বাতের ব্যথা কমে অথবা কোন খাবারগুলি বাত
ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
- অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার বাত ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী। পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বাতের ব্যথা কমাতে খুবই উপকারী।
- আদা, দারুচিনি, রসুন ইত্যাদি রকমের বিভিন্ন মসলায় রয়েছে ব্যথা-নাশক গুণ। তাই আদা রসুন দারুচিনি নিয়মিত খেলে বাতের ব্যথা অনেকটাই কমানো যেতে পারে।
- বাতের ব্যথা কমাতে নিয়মিত খাবার তালিকায় ব্রকলি রাখতে পারেন। ব্রুকলিতে উপস্থিত কিছু বিশেষ উপাদান বাতের ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী।
- বাত ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আখরোট খেতে পারেন। আখরোটে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা বাত ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- বেশি বেশি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। ভিটামিন বি ১২ বাতের রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। ভিটামিন বি ১২ সমৃদ্ধ খাবারগুলি হচ্ছে লাল আটা, ভুট্টা ইত্যাদি।
- বাত ব্যথা নিয়ন্ত্রণে স্যামন, সারডিনেন ও ম্যাকেরেল এর মত সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগো ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা বাত ব্যথা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করলাম বাত ব্যথার কারণ, বাত
ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা সহ বাত সম্পর্কিত আরো বিষয় সম্পর্কে। আশা করি এই
আর্টিকালের বাত ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এমন
নতুন নতুন পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
আরও পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করে থাকি। নিয়মিত আমাদের
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে আপনাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন
এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url