ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় - স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
আপনি কি ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন। তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন।
আমরা এয়ার টিকারের মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় এছাড়াও স্টুডেন্ট অনলাইন
ইনকাম সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
প্রিয় পাঠক ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে ঘরে বসে ইনকাম করার
উপায় সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্রঃ ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় - স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
- ভূমিকাঃ ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়
- ঘরে বসে ব্লগিং করে আয়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- গুগল এডসেন্স থেকে আয়
- ঘরে বসে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়
- আর্টিকেল লিখে ইনকামঃ স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
- ডাটা এন্ট্রি করে আয়
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
- উপসংহারঃ ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় - স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
ভূমিকাঃ ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়
ঘরে বসে ইনকাম কথাটা শুনে অনেকে অবাক হচ্ছেন তবে বর্তমান সময়ে এটি ঘরে বসে ইনকাম
করা সম্ভব। বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। ইন্টারনেট যেমন সবকিছু হাতের নাগালে
নিয়ে এসেছে তেমন বর্তমানে ঘরে বসে আয় করারও বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। আমরা অনেকেই
কমবেশি ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ফ্রিল্যান্সিং এই কথাগুলোর সাথে পরিচিত।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝায় মুক্ত পেশা। আপনি যদি ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তাহলে
পড়াশোনার পাশাপাশি খুব সহজে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন তবে ইনকাম করার জন্য
আপনার বেশ কিছু স্কিল থাকা জরুরী।
আপনি অনলাইনে যে ধরনের কাজ করতে চাইছেন স্কিল যদি আপনার কাছে পুরোপুরি ভাবে থাকে
সেক্ষেত্রে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে অনেকেই ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। ঘরে বসে ইনকাম করার
বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে। ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলো।
ঘরে বসে ব্লগিং করে আয়
ঘরে বসে ইনকাম করার অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং। এখন আপনাদের মনে
প্রশ্ন থাকতে পারে যে ব্লগিং কি। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ব্লগ মূলত এক ধরনের অনলাইন
ব্যক্তি কেন্দ্রিক পত্রিকা। যারা ব্লক পোস্ট করে থাকে তাদেরকে ব্লগার বলা হয়।
আপনি যদি ঘরে বসে ব্লগিং করে আয় করতে চান সে ক্ষেত্রে ব্লগ সাইট তৈরি করে
বিভিন্ন ধরনের ব্লগ যেমন স্বাস্থ্য বিষয়ক, চিকিৎসা বিষয়ক, তথ্যপ্রযুক্তি,
অনলাইন ইনকাম, সরকারি সেবা, লাইফ স্টাইল ইত্যাদি ধরনের ক্যাটাগরি সম্পর্কে
লেখালেখি করে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের সেরা দশটি মোবাইল কোম্পানি
পরবর্তীতে আপনার ওয়েবসাইটে যখন অনেক লোকজন আসবে আপনার পোস্টগুলো পড়বে তখন গুগল
থেকে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করে নিবেন। এতে আপনার ওয়েবসাইটে এড আসবে যতগুলো
ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক করবে আপনি অনুযায়ী টাকা আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে ধরুন আপনার একটি ব্লগ ওয়েবসাইট আছে ওই ওয়েবসাইটের
মাধ্যমে আপনি অন্যের প্রোডাক্ট প্রচার করে বিক্রি করাকে বোঝায়। এফিলিয়েট
মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি যে পণ্যটি বিক্রি করবেন ওই অন্যের দাম থেকে
নির্ধারিত হারে আপনি কমিশন পাবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যত বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি হবে আপনার তত বেশি আয় হবে।
বর্তমানে মার্কেটিং এ শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানটির নাম হচ্ছে অ্যামাজন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করাও ঘরে বসে ইনকাম করার ভালো একটি মাধ্যম।
গুগল এডসেন্স থেকে আয়
ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় এর মধ্যে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়টি সেরা।
আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট থাকে এবং ওই ওয়েবসাইটে যদি নিয়মিত ভিজিটর আসে সে
ক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিতে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ এর জন্য এপ্লাই করতে
পারেন। গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ওয়েবসাইটটিতে এড শো করবে।
আরও পড়ুনঃ ছবি এডিট করার অ্যাপস
আপনার ওয়েবসাইটের কোন ভিজিটর যদি এড এ ক্লিক করে সেই এড এ ক্লিকের বিনিময়ে আপনি
গুগল থেকে টাকা পাবেন। ঘরে বসে আয় করার ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স সবচেয়ে নিরাপদ
এবং সহজ একটি মাধ্যম। আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যত বেশি হবে গুগল এডসেন্স থেকে
আপনি তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়
ইউটিউব হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। আমরা বিভিন্ন
ধরনের ভিডিও দেখতে ইউটিউব এর ব্যবহার করে থাকি। আমরা ইউটিউব কে শুধু ভিডিও দেখা
নয় এটিকে ইনকামের একটি মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারি। ইউটিউব থেকে ইনকাম
করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন হবে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল। নিচে থাকা লিংকে
ক্লিক প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে
পারেন।
আরও পড়ুনঃ প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করে আপলোড
করতে তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ভিডিওগুলো যেন মানসম্পন্ন হয়ে থাকে। আপনার
ভিডিও যত বেশি মানুষম্পন্ন হবে তত বেশি আপনার ভিউয়ার্স এবং সাবস্ক্রাইবার
বাড়বে। আপনার চ্যানেলে নির্দিষ্ট ওয়াচ টাইম এবং সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে ইউটিউব
মনিটাইজেশনের এর জন্য আবেদন করতে পারেন মনিটাইজেশন পেয়ে গেলেই আপনি আপনার ইউটিউব
চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আর্টিকেল লিখে ইনকামঃ স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
আপনি যদি লেখা লিখিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে
ইনকাম করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অথবা পণ্য সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের
কন্টেন্ট লিখে কন্টেনগুলার মান অনুযায়ী তার দাম নির্ধারণ করে কন্টেন্ট বিক্রির
মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ পিসির জন্য সেরা এনিমেশন সফটওয়্যার
আপনার যদি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি অন্যের জন্য কনটেন্ট না
লিখে নিজের ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে ইনকাম করতে
পারেন। এছাড়াও আপনি ফাইবার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার একটি গিফট পাবলিশ করে
সেখান থেকে আর্টিকেল লেখার কাজ সংগ্রহ করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইন ওয়ার্ক প্লেস গুলোতে আর্টিকেল রাইটারের অনেক চাহিদা
রয়েছে। তাই যারা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে চান তারা এটি করতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ পারদর্শী হন তাহলে আপনার এই স্কিল নিয়ে বসে না থেকে
স্কিল টিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন
করে আয় করতে চান সে ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখেও আয় করতে পারেন। বিভিন্ন
ধরনের ওয়েবসাইট যেমন ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইবার, আপ ওয়ার্ক ইত্যাদি ওয়েবসাইটে
পাবলিশ করে বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্টের কাছ থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ
পাবেন।
সঠিকভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করে আপনি যদি ক্লায়েন্টের কাছে তা পাঠাতে পারেন তাহলে
আপনার নির্ধারিত অর্থটি আপনার ক্লাইন্ট আপনাকে প্রদান করবে। আপনি বিভিন্ন ধরনের
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ করতে পারেন যেমন ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন, টি শার্ট
ডিজাইন, টেমপ্লেট ডিজাইন ইত্যাদি।
ডাটা এন্ট্রি করে আয়
কোন এক স্থানের ডাটা অন্যস্থানে লিপিবদ্ধ করাকে ডাটা এন্ট্রি বলা হয়। অর্থাৎ
আপনি একটি সোর্স থেকে তথ্য নিয়ে ওই তথ্যটি আরেকটি সোর্সে লিখলেন বা কপি করলেন
এটিই হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। ডাটা এন্ট্রি তে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া ফাইল
ইনফরমেশন এন্ট্রি করতে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনার ক্লায়েন্ট যে অনুযায়ী আপনাকে ডাটা গুলো এন্ট্রি করতে বলবে আপনি যদি সেই
অনুযায়ী কাজ করে ঠিকভাবে ডাটা গুলো এন্ট্রি করেন এর বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইবার ইত্যাদি ওয়েবসাইটে গীগ পাবলিশ করে করে ডাটা এন্ট্রির
কাজ পেয়ে যাবেন।
ডাটা এন্ট্রি করতে মাইক্রোসফট অফিস, এক্সেল এর পাশাপাশি আরো অন্যান্য কিছু
সফটওয়্যার এর ব্যবহার জানার প্রয়োজন পড়ে। আপনি টাইপিংয়ে যত বেশি দক্ষ হবেন তত
ভালো করে আপনি ডাটা এন্ট্রি করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
আমরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করার
বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম
যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে ইনকাম করা যাচ্ছে।
আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি
আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজটি কোন প্রডাক্ট এর রিভিউ বা কোন পণ্যের প্রচারের
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করায় ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি পেইজ বিক্রি করার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে সোশ্যাল
মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। আপনি যদি ঘরে
বসে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে চান তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং শিখে তা খুব
সহজেই করতে পারেন।
উপসংহারঃ ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় - স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
প্রিয় পাঠক আমরা তখন আলোচনা করলাম ঘরে বসে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় যেমন ব্লগিং
করে আয়, ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় আরো ইত্যাদি
সম্বন্ধ। আশা করি এই আরটিকাল এর মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায়
সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
আরও পড়ুনঃ কম দামে ভালো ক্যামেরা ফোন
এমন নতুন নতুন পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন। আমরা নিয়মিত
আমাদের ওয়েবসাইটে নতুন নতুন পোস্ট পাবলিশ করে থাকি পোস্টগুলো ভালো লাগলে পরিবার,
আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের
আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url