লটকন খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি

টক মিষ্টি স্বাদের ছোট গোলাকার হলুদ রঙের ফল লটকন। এই ছোট্ট একটি ফল লটকন খাওয়ার উপকারিতা জেনে আপনি অবাক হবেন। বর্ষা মৌসুমী লটকন ফলটির পুষ্টিগুণের সাথে সাথে লটকন খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এই ব্লক পোস্টে লটকন খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি এ ধরনের ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
লটকন খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক লটকন খাওয়ার উপকারিতা এবং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে লটকন ফল সম্বন্ধে বিস্তারিত সব তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ লটকন খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি

  • ভূমিকাঃ লটকন এর পুষ্টিগুন
  • লটকন খাওয়ার উপকারিতা
  • লটকন কিভাবে খায়
  • গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি
  • লটকন খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
  • লটকন খেলে কি ওজন বাড়ে
  • লটকন ফলের অপকারিতা
  • শেষ কথাঃ লটকন খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি

ভূমিকাঃ লটকন এর পুষ্টিগুন

টক মিষ্টি স্বাদের ছোট্ট হলুদ রঙের ফল লটকনের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে (Baccaurea motleyana), লটকন ফলটিকে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে। স্থানভেদে লটকন ফলটিকে মানুষ বিভিন্ন নামে চিনে যেমন লটকা, বুগি, কানাইজু, হাড়ফাটা, কিছুয়ান ইত্যাদি। লটকন ফলটি দেখতে ছোট হলেও এর মধ্যে রয়েছে বহুল পুষ্টিগুণ ঔষধিগুণ।


লটকন মূলত ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ ফল। এটিতে ১০.০৪ গ্রাম ভিটামিন বি১ পাওয়া যায়। ভিটামিন বি ছাড়াও ১০০ গ্রাম পাকা লটকনে রয়েছে ৯১ কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি, ১.৪২ গ্রাম আমিষ, ০.৩ গ্রাম লৌহ, ০.৪৫ গ্রাম চর্বি, ০.৯ গ্রাম খনিজ এবং ০.২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২ রয়েছে এছাড়াও ৫৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২ গ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।

ছোট্ট এই ফলটিতে থাকা পুষ্টি উপাদান যা সবগুলোই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। ব্লগ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন, লটকন খাওয়ার উপকারিতা, লটকন কিভাবে খায়, লটকনের বিচি খেলে কি হয়, গর্ভ অবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি না, লটকন ফলের অপকারিতা সহ আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন।

লটকন খাওয়ার উপকারিতা

টক মিষ্টি সাধের লটকন ফল আকারে ছোট হলেও এর মধ্যে রয়েছে বহুল পুষ্টিগুণ এবং আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহ। এছাড়াও লটকনের মধ্যে ঔষধি গুনও রয়েছে। প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে লটকন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি চলুন এবার লটকন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। লটকন ফোনের উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

১) প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করে

প্রতি ১০০ গ্রাম লটকন ফলে রয়েছে ১০.০৪ গ্রাম ভিটামিন বি১, ০.২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২ এবং ৫৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। ভিটামিন ছাড়াও এর মধ্যে প্রয়োজনীয় আরো অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।লটকন খেলে শরীরে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়।

২) শরীরে শক্তি সঞ্চার করে

লটকন শরীরে শক্তি সঞ্চার করতে অনেক কার্যকরী একটি ফল। লটকন খাওয়ার ফলে লটকনে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ গুলো শক্তিতে পরিণত হয়ে শরীরে পর্যাপ্ত খাদ্য শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। লটকনে যে পরিমাণ খাদ্য শক্তি পাওয়া যায় কাঁঠালেও ওই পরিমাণ খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় না।

৩) মৌসুমী রোগ নিরাময়ের সহায়তা করে

বর্ষাকালে আমাদের বেশ কিছু মৌসুমী রোগের দেখা দেয় যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর ইত্যাদি। সকল রোগ প্রতিরোধে লটকন খেতে পারেন কেননা লটকনে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান আপনার শরীরকে এইসব রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

৪) পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে

পরিপাকতন্ত্রের জন্য ফাইবার অনেক উপকারী একটি উপাদান। লটকন ফাইবারের একটি ভালো উৎস। এটিতে থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে লটকন খাওয়া যেতে পারে।

৫) হাড় ভালো রাখে

আমাদের হাড়ের সুরক্ষায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম। ১০০ গ্রাম লটকনে দুই গ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। এর পাশাপাশি এটিতে আইরন পাওয়া যায় যে আমাদের হাড় এবং রক্তের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬) রক্তে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে

লটকন ফল রক্তের শর্করা মাত্র নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। যেহেতু লটকন ফলে চিনির অতিরিক্ত কোন উপাদান নেই তাই এটি শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে না। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীরা লটকন খেতে পারেন।

৭) ত্বক ভালো রাখে

আমাদের ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৫৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তাই ত্বক ভালো রাখতে লটকন খুবই উপকারী। এছাড়াও কারো মুখে যদি বার বার ঘা হয় তা থেকে মুক্তি পেতে লটকন খেতে পারেন।

৮) চর্মরোগ নিরাময়ে সাহায্য করে

চর্মরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে লটকন ফলকে খুবই কার্যকরী বলে মনে করা হয়। লটকন ফল বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ যেমন দাদ, চুলকানি, পাচড়া ইত্যাদি থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম। লটকন ফলটি বেটে রস বার করে ত্বকে লাগালে এটি আপনার চরমোরোগ সারাতে সাহায্য করবে।

৯) খাবারের রুচি বাড়ায়

আমাদের অনেকেরই খাবারে অরুচি, বমি ভাব এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। লটকন খাবারের রুচি বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার পেটে কোন ধরনের রোগ থাকলে তা নিরাময়ে সহায়তা করবে। কেননা লটকনের মধ্যে ঔষধি গুন রয়েছে।

১০) ডায়েটে উপকারী

অনেকে ডায়েট করার ফলে অসুস্থতা বোধ করেন। লটকন খাওয়ার ফলে এতে থাকা প্রোটিন এবং খনিজ খাদ্য শক্তিতে পরিণত হয়ে শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করে। তাই আপনি যদি ডায়েট করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লটকন রাখুন।

লটকন কিভাবে খায়

লটকন ফল সরাসরি খাওয়া যায়। এটির উপর হলুদ খোসাটি উঠিয়ে সরাসরি খেতে পারেন। এছাড়াও অনেকে এটিকে বিট লবণ, হালকা মরিচের গুড়া, এবং লবণের সাথে খেয়ে থাকে। অনেকে আবার লটকনের জ্যাম তৈরি করে খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন উপায়ে এটিকে খাওয়া যায়। আপনার যেভাবে ইচ্ছা আপনি এটিকে খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি

আমরা ইতিমধ্যে লটকনের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি? এর উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে। গর্ভাবস্থায় লটকন খাবার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।

  • গবেষণায় দেখা যায় গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে কম ওজনের বাচ্চা প্রসবের ঝুঁকি দেখা দেয় যে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী মহিলাদের আয়রন বাড়ানোর জন্য বলে থাকেন। গর্ভবতী মহিলাদের রক্তস্বল্পতা দূর করনে দিনে ২৭ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা উচিত। লটকনে পর্যাপ্ত পরিমাণের আয়রন পাওয়া যায় তাই গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য লটকন খাওয়া যেতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় খাদ্য শক্তির প্রয়োজন বেশি। ১০০ গ্রাম লটকনে ৯১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি পাওয়া যায়। যা কাঠালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় খাদ্যশক্তি সঞ্চারের জন্য লটকন খাওয়া যেতে পারে।
  • লটকন ফলটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। দিনে দুই তিনটি লটকন খেলে শরীরে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়। গর্ভাবস্থায়ী ভিটামিন সি খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান কেননা মাতৃগর্ভে শিশু বেড়ে ওঠার জন্য ভ্রুনের কোলাজেন, হাড় এবং ত্বক এ সকল কিছুর বৃদ্ধিতে যেন কোন প্রকার ইনজেকশন না দেখা দেয় এটি প্রতিরোধে ভিটামিন সি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তৃষ্ণা পায়। তাই এই সময় তাদের বেশি পানি পান করার প্রয়োজন পড়ে। লটকনে জলীয় অংশের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাই এটি তৃষ্ণা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • তবে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে কোন জিনিস খাওয়ায় ঠিক নয়। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে লটকন খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় একসাথে অনেক লটকন না খাওয়াই উত্তম।

লটকন খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে

আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে যে লটকন খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? এর উত্তর হচ্ছে না লটকন খেলে ডায়াবেটিস বাড়েনা বরং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়। লটকনে থাকা পুষ্টি উপাদান রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এতে অতিরিক্ত চিনির পরিমাণ নেই তাই এটি খেলে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির ও ভয় নেই। আর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী। লটকন ফল খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

লটকন খেলে কি ওজন বাড়ে

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জৈষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ এর সূত্র মতে জানা যায় লটকনে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীর সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকরী। এটির জলীয় অংশ রক্তশূন্যতা দূর করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে বোঝা যায় লটকন খেলে ওজন বাড়ার ভয় নেই।

লটকন ফলের অপকারিতা

লটকন অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে বলে আপনি এটিকে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করবেন এটি মোটেও ঠিক নয়। আপনি যদি স্বাভাবিক মাত্রায় লটকন খান সেক্ষেত্রে এটি কোন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না তবে মাত্রা অতিরিক্ত লটকন খেলে এটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কারণ হয়ে দাঁড়াবে। নিচে লটকন ফলের অপকারিতা উল্লেখ করা হলোঃ
  • লটকন অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয়।
  • লটকন ফলটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় অতিরিক্ত গ্রহণের এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত লটকন গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাই এটি অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণ মতো হওয়া উচিত।

শেষ কথাঃ লটকন খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি

প্রিয় পাঠক আমরা এতক্ষন আলোচনা করলাম লটকন এর পুষ্টিগুণ, লটকন খাওয়ার উপকারিতা, লটকন কিভাবে খায়, গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়া যাবে কি, লটকন ফলের অপকারিতা সহ আরো ইত্যাদি বিষয়ে। আশা করি উক্ত ব্লক পোষ্টের মাধ্যমে লটকন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।


পোস্টটি ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কেননা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত আমি বিদায় নিচ্ছি। আমাদের সাথেই থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url