আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার গুলো জেনে নিন

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সাথে আমরা কমবেশি অনেকেই পরিচিত। আপনি কি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সম্পর্কে অবগত আছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার আমরা আমাদের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
প্রিয় পাঠক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি, এটি কিভাবে কাজ করে এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার গুলো জেনে নিন

  • ভূমিকাঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো দিক
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক
  • শেষ কথাঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার গুলো জেনে নিন

ভূমিকাঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পার্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে কমবেশি আমরা অনেকেই অবগত আছি। তবে যারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে জানেন না তাদের ক্ষেত্রে বলে রাখি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হচ্ছে মেসিন দ্বারা প্রদর্শিত বুদ্ধি সহজ ভাষায় বলতে গেলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হচ্ছে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে তৈরি করা কৃত্তিম মেধা।

এমন এক সময় ছিল যে সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাল্পনিক বিষয় ছিল তবে বর্তমানে আমরা এই আধুনিক বিশ্বে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে স্বচক্ষে উপলব্ধি করতে পারছি। ধরুন আপনি কোন বিষয় জানতে চাচ্ছেন আপনার স্মার্টফোনটি থেকে গুগল এসিস্টেন্ট অন করে ওই বিষয় সম্পর্কে বললেই আপনাকে ওই বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে এগুলো হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধের বিশিষ্ট স্মার্ট হেলপার।


বর্তমান সময়ে অনেক কঠিনতর কাজ ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে অনেক সহজে এবং দ্রুততার সাথে করে ফেলা যাচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলগুলিতে আপনি শুধু কমান্ড করবেন এবং ওইয়াই টুলস গুলো আপনার বাকি কার্যক্রম অটোমেটিক্যালি খুব দ্রুত সম্পন্ন করে দেবে।

কাজের উপর ভিত্তি করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন ন্যারও এ আই, আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স এবং সুপার ইন্টেলিজেন্স। বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলস গুলো হচ্ছে চ্যাট জিপিটি, গুগল ব্র্যান্ড, চ্যাট সনিক, মিডজার্নি, ডাল-ই, প্যারাডক্স, ট্যাব নাইন ইত্যাদি।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে

অনেকেরই মনের প্রশ্ন থাকতে পারে যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে। কে এটি কে তৈরি করেছিল অনেকেই জানতে ইচ্ছুক হতে পারেন। আমেরিকান বিখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন ম্যাকার্থি কে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক বলা হয়ে থাকে। ১৯৪০ সাল থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর পথচলা শুরু হয়।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার

বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তি সহ অন্যান্য খাতেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত রয়েছে যাতে উন্নত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার করা হয়েছে। নিচে বেশ কিছু ব্যবহারগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১) অনলাইন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ব্যবহার

আমরা যখন google এ বাজে কোন ধরনের সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু লিখে সার্চ করি তা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নজরে রাখে এবং আমাদের চাহিদা কি কি সকল বিষয়বস্তু আমাদের প্রয়োজন ওই সকল বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে আমাদেরকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এ কাজটি কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই এআই এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে কত দ্রুত একটি জটিল কাজকে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।

২) সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট সংক্রান্ত বিষয়ে

আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করি যেমন ফেইসবুক ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আমরা যে পেজ গুলোতে লাইক করি ওই রিলেটেড পেজ গুলোই আমাদের সামনে আস্তে থাকে। এই কাজটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা হয়ে থাকে। আর্টফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স আমাদের সমস্ত অ্যাক্টিভিটি দেখে ওই অনুযায়ী আমাদেরকে বিভিন্ন জিনিস শো করাতে থাকে।


এছাড়াও আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে ধরুন ফেসবুক বা ইউটিউব এ আপনি কোন ধরনের ভিডিও দেখছেন। একটি ভিডিও দেখার পর অটোমেটিক ওই ধরনের ভিডিওই আপনার সামনে চলে আসে অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের চাহিদা বুঝে ওই অনুযায়ী আমাদেরকে অনেক কিছু প্রোভাইড করে থাকে।

৩) বিজনেস ম্যানেজমেন্টে ব্যবহার

বড় বড় বিজনেস এনালাইসিসের ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের কার্যকারিতা অনেক। ব্যবসায়ের তথ্য ইনপুট করার মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে যাবতীয় লাভ-ক্ষতীর হিসাব খুব অল্প সময়ে জেনে নেওয়া যাবে। এছাড়াও এটি ভবিষ্যতের অবস্থা, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে গ্রাহকরা কি চাচ্ছে অর্থাৎ গ্রাহকদের চাহিদা, কোন জিনিসের চাহিদাটা বেশি এ সমস্ত কিছুর একটি রিপোর্ট তৈরি করে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কে পেশ করে থাকে। যার ফলে তারা গ্রাহকদের চাহিদা বুঝতে পেরে এ অনুযায়ী পণ্য বা সেবা গ্রাহকদেরকে প্রদান করে তা থেকে খুব সহজে লাভবান হচ্ছে।

৪) ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার

ব্যাংকিং সেবা তেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার হয়ে থাকে। আমরা তো সবাই এসএমএস পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত আছি। ব্যাংকে কোন ধরনের লেনদেন বা ট্রানজেকশন সম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই গ্রাহকদের ফোনে এসএমএস চলে যায়। আর এটি কোন মানুষ পাঠায় না প্রসেসটি সম্পন্ন হয় পুরোপুরি অটোমেটিক ভাবে। একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যার এর দ্বারা এই কাজটি অটোমেটিক ভাবে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এর ফলে ব্যাংকিং প্রতারণার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো দিক

  • ত্রুটিযুক্ত কাজ অল্প সময়ে সম্পন্ন করে ফেলা।
  • কোন কিছুতে সিদ্ধান্ত নিতে মানুষের সময় লাগে কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিটি সেকেন্ড এর মধ্যেই করে দেয়।
  • google assistant, সিরি, আলেক্সা, ইত্যাদি কে আমরা আমাদের ডিজিটাল সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক

  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে সাইবার আক্রমণ খুব সহজেই করা যেতে পারে। এর ফলে কোন অসৎ ব্যক্তি অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ক্ষতিসাধন করতে পারে।
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করে ক্ষতিকারক বস্তু তৈরি করা যেতে পারে যেমন পারমাণবিক অস্ত্র যা আমাদের পুরো বিশ্বকে নিমিষে ধ্বংস করে দিতে পারে।
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে মানুষকে সহজে ট্র্যাক করা যেতে পারে এছাড়াও মানুষের সকল এক্টিভিটি পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে। আমাদের প্রাইভেসি লংঘন ঘটবে।
  • এই আই এর মাধ্যমে ডিপ ফেকিং করে অন্যের মুখের সাথে আপনার মুখ প্রতিস্থাপন করে বদলে দেওয়া সম্ভব। এটি অসাধু লোকরা ব্যবহার করে অনেকের বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করতে পারে।

শেষ কথাঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার গুলো জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আমরা এখন আমাদের ব্লগ পোস্টটিতে আলোচনা করলাম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো এবং খারাপ দিক সহ আরো ইত্যাদি বিষয়ে। আশা করি আমাদের এই ব্লগ পোষ্টের মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন।


আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। পোস্টটি ভাল লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন। এমন ধরনের পোস্ট করতে ইচ্ছুক হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করে থাকে। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত আমি বিদায় নিচ্ছি। আমাদের সাথেই থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url