শিল্প কাকে বলে - বৃহৎ শিল্প কাকে বলে

প্রিয় পাঠক আপনি কি শিল্প কাকে বলে এবং বৃহৎ শিল্প কাকে বলে এ সম্পর্কে জানতে চান। আমরা ব্লক পোস্টে বৃহৎ শিল্প কাকে বলে এছাড়াও ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি এই ব্লক পোষ্টের মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প কাকে বলে এছাড়াও শিল্প সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা পেয়ে যাবেন।
বৃহৎ শিল্প কাকে বলে
প্রিয় পাঠক আপনি যদি বৃহৎ শিল্প কাকে বলে, বৃহৎ শিল্প ও খোদা শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কি এ সকল ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের ব্লগ পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক।

সূচিপত্রঃ শিল্প কাকে বলে - বৃহৎ শিল্প কাকে বলে

  • ভূমিকাঃ শিল্প কাকে বলে
  • বৃহৎ শিল্প কাকে বলে
  • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কাকে বলে
  • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য
  • বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কী
  • শেষ কথাঃ শিল্প কাকে বলে - বৃহৎ শিল্প কাকে বলে

ভূমিকাঃ শিল্প কাকে বলে

শিল্প হল মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে কিছু উত্পাদন করার প্রক্রিয়া। তবে এটিকে সাধারণত ফর্ম ইউটিলিটি তৈরির কাজ হিসাবে দেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি টেবিল তৈরি করা। ছক মূলত প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না। বনের মধ্যে পাওয়া গাছ থেকে তক্তা তৈরি করা হয় এবং এই বিটগুলি এবং তক্তাগুলির টুকরোগুলিকে নির্দিষ্ট আকারের টেবিলে রেখে তৈরি করা হয়। মাছের কথাই ধরুন, নদী ও সাগরে মাছ প্রচুর পাওয়া যায়।


যতক্ষণ না জেলে মাছ ধরে ভোক্তাদের হাতে তুলে না দেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তা মানুষের কোনো উপকারে আসে না। একইভাবে মাটিতে পাওয়া বালি থেকে ইট তৈরি করা হয় এবং ইট থেকে হোটেল ইন্টার-কন্টিনেন্টালের মতো নয়তলা ভবন তৈরি করা হয়। এইভাবে শিল্পকে সেই সমস্ত ক্রিয়াকলাপ এবং প্রক্রিয়া হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যেগুলি নিষ্কাশন বা সংগ্রহ, পরিবর্তন বা আকৃতি বা নির্দিষ্ট সামগ্রীকে ব্যবহার বা আরও উত্পাদনের জন্য উপযুক্ত সমাপ্ত পণ্যে রূপান্তর করার দিকে পরিচালিত হয়।

বৃহৎ শিল্প কাকে বলে

যে সকল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অপেক্ষাকৃত বৃহৎ পরিসরে বেশি পুঁজি ও জনবল নিয়ে পরিচালিত হয় তাকে বৃহদায়তন শিল্প বা ব্যবসায় বলে। যেমন- কোকাকোলা, ওয়ালমার্ট, নকিয়া, সুগার মিল, সার কারখানা, শিপিং কোম্পাানি ইত্যাদি।

ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫০ কোটি টাকার অধিক কিংবা শ্রমিকের সংখ্যা ৩০০ জনের অধিক তাকে বৃহদায়তন শিল্প বলে। তবে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান/শ্রম ঘন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা ১০০০ জনের অধিক।


সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৩০ কোটি টাকার অধিক কিংবা শ্রমিকের সংখ্যা ১২০ জনের অধিক তাকে বৃহদায়তন শিল্প বলে।
  • এ ধরনের ব্যবসায় অধিক শ্রমিক ও মূলধন নিয়ে গঠিত
  • এটি একটি বৃহদায়তনে পরিচালিত ব্যবসায়
  • অধিক মুনাফা অর্জন করে
পরিশেষে বলা যায়, অধিক শ্রমিক, প্রচুর মূলধন ও কাঁচামাল নিয়োগ করে এবং সূক্ষ্ম শ্রম বিভাগ প্রবর্তনের মাধ্যমে কম সময়ে অধিক পণ্য উৎপাদন বা সরবরাহ সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়কে বৃহৎ শিল্প বলে। আরো ভালোভাবে বোঝার সুবিধার্থে নিচে বৃহৎ শিল্পের কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো।

বৃহদায়তন এন্টারপ্রাইজের বৈশিষ্ট্য

  1. মূলধনঃ বৃহদায়তন শিল্পে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি। দ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার অধিক এবং সেবা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৩০ কোটি টাকার অধিক।
  2. গঠনঃ এ জাতীয় শিল্পে আইনগত আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। এর গঠন প্রণালী জটিল প্রকৃতির হয়ে থাকে।
  3. ব্যবস্থাপনাঃ বৃহদায়তন শিল্পের আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এর মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পৃথক।
  4. মুনাফাঃ এক্ষেত্রে বিধি অনুসারে মালিকদের মধ্যে মুনাফা বণ্টিত হয়।
  5. শ্রম বিভাগ ও বিশেষায়ণঃ এ ধরনের শিল্পে শ্রমবিভাগ ও বিশেষায়ণের সুবিধা ভোগ করে।
  6. অবসায়নঃ বৃহদায়তন শিল্পের বৈশিষ্ট্য হলো এটি সহজে অবসায়ন করা যায় না। অবশ্যই বিধিবদ্ধ নিয়ম অনুযায়ী অবসায়ন করতে হয়।
  7. অবস্থানঃ বৃহদায়তন শিল্প স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠতে পারে না। এ ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দেশের বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে গড়ে ওঠে।
  8. শ্রমিক-কর্মীর সংখ্যাঃ বৃহদায়তন শিল্পে শ্রমিক-কর্মীর সংখ্যা বেশি থাকে। এখানে শ্রমিক-কর্মচারীর সর্বনিম্ন সংখ্যা হলো দ্রব্যের ক্ষেত্রে ৩০০ জনের অধিক এবং সেবার ক্ষেত্রে ১২০ জনের অধিক।
  9. স্বাধীন স্বত্বাঃ এ ধরনের শিল্প দেশে বিদ্যমান নির্দিষ্ট আইনের আওতায় গড়ে ওঠে এবং এরূপ ব্যবসায় কৃত্রিম ব্যক্তিস্বত্বার অধিকারী।
  10. সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ প্রকৃতিগত কারণেই বৃহদায়তন শিল্পে জটিলতা বেশি। কেননা এক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকতা অনেক বেশি পালন করতে হয়। তাই এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাকে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
  11. গোপনীয়তা রক্ষাঃ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অধিকাংশ ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হলেও বৃহদায়তন শিল্পে এ ধরনের গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হয় না।
  12. বিস্তৃত বাজারঃ বৃহদায়তন শিল্পের পণ্যের বাজার জাতীয় পর্যায়ে এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তাছাড়া এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বাজার শেয়ারও অধিক হয়।
  13. আনুষ্ঠানিক সম্পর্কঃ বৃহদায়তন শিল্পে ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে সর্বদা আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বিরাজ করে।
  14. ব্যবসায়ের আয়তনঃ শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা, কার্য পরিধি এবং মূলধনের পরিমাণ অধিক হওয়ায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের আয়তন ব্যাপক হয়।
  15. আমলাতান্ত্রিকতাঃ বৃহদায়তন শিল্প পরিচালনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেক বেশি দেখা যায়। ফলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করাও জটিল হয়ে পড়ে।
আশা করি উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য গুলোর মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পেরেছেন এছাড়াও এই বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারা খুব সহজেই বৃহৎ শিল্প গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কাকে বলে

ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ হলো এমন এক ধরনের ব্যবসায় সংগঠন যেখানে অল্প পুঁজি ও জনবল নিয়ে ব্যবসায় পরিচালিত হয়।

ক্ষুদ্র শিল্পঃ ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৭৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা কিংবা শ্রমিকের সংখ্যা ৩১ জন থেকে ১২০ জন তাকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে।

সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১০ লক্ষ টাকা থেকে ২ কোটি টাকা কিংবা শ্রমিকের সংখ্যা ১৬ জন থেকে ৫০ জন তাকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে। ক্ষুদ্রায়তন এন্টারপ্রাইজ সম্পর্কে Stoner বলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায় হলো এমন ধরনের ব্যবসায় যা খুব স্বল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় স্থানীয় মালিকানায় ও ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠে।

মাঝারি শিল্পঃ ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১৫ কোটি টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকা কিংবা শ্রমিকের সংখ্যা ১২১ জন থেকে ৩০০ জন তাকে মাঝারি শিল্প বলে। তবে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান/শ্রম ঘন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০০০ জন।

সেবামূলক শিল্পের ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ২ কোটি টাকা থেকে ৩০ কোটি টাকা কিংবা শ্রমিকের সংখ্যা ৫১ জন থেকে ১২০ জন তাকে মাঝারি শিল্প বলে।
  • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সাধারণত একক মালিকানা বা অংশীদারি কারবার হিসেবে গড়ে উঠে।
  • এখানে কম পরিমাণে বিক্রয় করা হয়।
  • উৎপাদনের উপাদান তথা ভূমি, শ্রম ও মূলধন কম পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।
পরিশেষে বলা যায়, যে সব ব্যবসায় ব্যক্তিগত মালিকানায় পরিচালিত হয়ে কম পরিমাণে পুঁজি ও শ্রম নিয়োগ করে স্বল্প পরিমাণে পণ্য বিক্রয়ের কাজে জড়িত থাকে তাকেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বলে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য

ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্প হলো এমন ধরনের ব্যবসায় যার ভূমি, শ্রম ও মূলধন সীমিত এবং এর ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও মালিকানা স্বাধীন প্রকৃতির। এই সকল বিষয় দ্বারা এই ব্যবসায়কে বৃহদায়তন ব্যবসায় থেকে পৃথক করা যায়। নিয়ে এ ধরনের শিল্পের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো-
  1. স্বল্প পুঁজিঃ এ ব্যবসায়ের মূলধন বা পুঁজি সীমিত আকারের হয়ে থাকে। ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণ ৭৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণ হবে ১৫ কোটি টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকা।
  2. নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনাঃ ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্পের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সাধারণত মালিক বা উদোক্তা নিজেই স্বাধীনভাবে করে থাকেন।
  3. স্বল্প সংখ্যক কর্মীঃ এই ব্যবসায়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো স্বল্প সংখ্যক কর্মী ব্যবহার করে এ ব্যবসায়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা ৩১ জন থেকে ১২০ জন এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা ১২১ জন থেকে ৩০০ জন।
  4. গঠন প্রণালিঃ এ শিল্পের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাকে তেমন কোন আইনগত ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না। তাই এ শিল্প গঠন করা অত্যন্ত সহজ।
  5. অবস্থানঃ ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্প দেশের যে কোন স্থানে অবস্থিত হতে পারে।
  6. ব্যবসায়ের আয়তনঃ ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্প সাধারণত সীমিত আকারের হয়ে থাকে।
  7. দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ উদ্যোক্তা নিজেই সাধারণত এ ধরনের শিল্প পরিচালনা করে। তাই যে কোন পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা খুব সহজে ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
  8. লেনদেনের পরিমাণঃ এ ধরনের শিল্পের আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে লেনদেনের পরিমাণ কম হয়ে থাকে।
  9. প্রত্যক্ষ যোগাযোগঃ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে গ্রাহকসহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকে বলে তাদের সাথে সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
  10. কম মূল্যঃ এ জাতীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা সম্ভব হয় বলে পণ্যের মূল্য কম হয়ে থাকে।
  11. গোপনীয়তা রক্ষাঃ একক মালিকানা বা অংশীদারি ব্যবসায় হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে উঠতে দেখা যায়। তাই ব্যবসায়ের গোপনীয়তা রক্ষা করা সহজ হয়।

বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কী

যে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্বল্প মূলধন, স্বল্প শ্রম ও সীমিত কৌশল বিনিয়োগ করে এবং এর ব্যবস্থাপনা ও মালিকানা স্বাধীন হয়, তাকেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বলে। অন্যদিকে বৃহৎ পরিসরে অধিক শ্রমিক, প্রচুর মূলধন ও কাঁচামাল নিয়োগ করে এবং শ্রম বিভাগ প্রবর্তনের মাধ্যমে পরিচালিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে বৃহদায়তন শিল্পবলে। ক্ষুদ্রায়তন ও মাঝারি এবং বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কতগুলো পার্থক্য রয়েছে যা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

পার্থক্যের বিষয়

ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্প

বৃহৎ শিল্প

মূলধন

স্বল্প পরিমাণে  মূলধন নিয়ে এই শিল্প শুরু হয়।

  এই শিল্পে অধিক পরিমাণে মূলধন বিনিয়োগ করা হয়।

গঠন প্রণালী

গঠন প্রণালী অনেক সহজ হয়।

এই শিল্পের গঠন প্রণালী অনেক জটিল প্রকৃতির হয়।

সিদ্ধান্ত গ্রহণ

ক্ষুদ্র শিল্পে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।

  বৃহৎ শিল্পে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া দীর্ঘ হয়ে থাকে।

ব্যবস্থাপনা

ক্ষুদ্র শিল্পে  মালিক নিজেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে থাকে।

এই শিল্পে  মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পৃথক হয়ে থাকে।

প্রযুক্তির ব্যবহার

এই শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার সম্ভব হয় না।

বৃহৎ শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি  ব্যবহার সম্ভব হয়।

মালিক-কর্মচারী সম্পর্ক

ক্ষুদ্র শিল্পে মালিক কর্মচারীর  অবস্থান কাছাকাছি থাকার ফলে তাদের পারস্পরিক  সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।

বৃহৎ শিল্পে  মালিক-কর্মচারীর সম্পর্ক উন্নত হওয়ার সুযোগ কম থাকে।

প্রতিযোগিতা

এ ধরনের শিল্পে প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কম।

এ ধরনের  শিল্পে প্রতিযোগিতার ক্ষমতা বেশি।

অবস্থান

ক্ষুদ্র  শিল্পের অবস্থান দেশের যেকোনো স্থানে  হতে পারে। 

বৃহৎ শিল্পের  অবস্থান বিশেষ এলাকাতে  হয়ে থাকে।

আয়তন

ক্ষুদ্র শিল্পের আয়তন সীমিত হয়।

বৃহৎ শিল্পের আয়তনের পরিধি ব্যাপক হয়ে থাকে।

পরিচালনা ব্যয়

এরূপ শিল্প পরিচালনা ব্যয় কম হয়।

বৃহৎ শিল্প পরিচালনা ব্যয়  অধিক হয়ে থাকে।

আমলাতান্ত্রিকতা

এ ধরনের শিল্পে আমলাতান্ত্রিক  জটিলতা তেমন থাকে না।

এ ধরনের শিল্পে আমরা তান্ত্রিক জটিলতা অনেক বেশি হয়ে  থাকে।

  অবসায়ন

এ ধরনের শিল্প গঠন যেমন সহজ অবসানও  সহজ।

এ ধরনের শিল্প গঠন যেমন জটিল তেমন অবসানও  জটিল।

শেষ কথাঃ শিল্প কাকে বলে - বৃহৎ শিল্প কাকে বলে

প্রিয় পাঠক আমরা এখন আলোচনা করলাম শিল্প কাকে বলে, বৃহৎ শিল্প কাকে বলে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কাকে বলে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য, বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি। আশা করি উক্ত ব্লগ পোষ্টের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বৃহৎ শিল্প সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা পেয়েছেন। পোস্টটি ভাল লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।


আপনার কোন মতামতের তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। এমন বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন। আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত আমি বিদায় নিচ্ছি। আমাদের সাথে থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url