পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আপনি কি পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনাটি খুঁজছেন
তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। আমরা এই আর্টিকেলে পরিবেশ দূষণ ও তার
প্রতিকার রচনাটি তুলে ধরেছি। আশা করি আমাদের আর্টিকেলের উল্লেখিত পরিবেশ দূষণ ও
তার প্রতিকার রচনাটি পরীক্ষায় ভালো নম্বর আনতে সহায়তা করবে।
প্রিয় পাঠক পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনাটি পড়তে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে
যাওয়া যাক।
সূচিপত্রঃ পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা
ভূমিকা
মানুষের চারপাশে যে পানি, বায়ু, তাপ, আলো, শব্দ, বৃক্ষরাজি, পাহাড়-পর্বত,
খাল-বিল, পুকুর, নদী-নালা, সমুদ্র এবং এই প্রকৃতিতে টিকে থাকা প্রাণিকূল সবকিছুই
পরিবেশের অপরিহার্য উপাদান। মানুষ এই প্রাণিকুলের শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে পরিবেশকে
যেমন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে আবার ক্ষুদ্র গোষ্ঠীস্বার্থে এবং অতি
ভোগবিলাসিতার প্রয়োজনে পরিবেশকে দূষিত করে মানবজাতির বিপর্যয়ও ডেকে আনতে পারে।
পরিবেশ দূষণ
মানুষ অতিমাত্রায় লোভ-লালসা চরিতার্থের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশের যে অনাকাঙ্ক্ষিত
ও ক্ষতিকর পরিবর্তন ঘটায়, তাকেই পরিবেশ দূষণ বলে। মানুষ প্রতিনিয়ত কলকারখানার
বর্জ্য ও মানুষের মলমূত্রসহ নানান আবর্জনা ফেলে নদী-নালা, খাল-বিল এমনকি সমুদ্রের
পানিকেও দূষিত করে চলেছে। কলকারখানা, গাড়ি ও ইটের ভাটার ধোঁয়া বায়ুকে দূষিত
করছে। বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলো তাদের অতিভোগ ও যন্ত্রনির্ভরতার জন্য
শিল্পপ্রতিষ্ঠান, গাড়ি ও অন্যান্য যন্ত্র থেকে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণের
মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয় করছে।
গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তাতে
মেরু অঞ্চল ও বিভিন্ন পর্বতে জমে থাকা বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। ফলে
নদীর ভাঙন এবং সমুদ্র উপকূলে ভাঙনের হারও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে
বাংলাদেশসহ বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার মানুষই
জল ও বায়ু দূষণের পাশাপাশি মানবজাতির আরেক পরম বন্ধু বৃক্ষরাজিকেও ধ্বংস করছে।
বনজঙ্গল কেটে গড়ে তুলছে নগর-সভ্যতা কিংবা মানুষের আবাসভূমি।
ধ্বংস করছে পাহাড়-পর্বত। হত্যা করছে পরিবেশ সহায়ক নানা প্রজাতির পশুপাখি,
কীটপতঙ্গ, অর্থাৎ বিচিত্র প্রাণিকুল। ফলে পৃথিবী থেকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে
বিভিন্ন জাতের প্রাণী। অধিক জনসংখ্যার চাপে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষিজমিতে
উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ব্যাপকহারে সার ও কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে মাটির দূষণ
ঘটে। এসব রাসায়নিক উপাদান বৃষ্টির পানির সঙ্গে নদী ও জলাশয়ের পানিতে মিশে পানি
দূষিত করে এবং মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর উৎপাদন হ্রাস পায়।
বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের প্রতিক্রিয়া
দেশীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা দশমিক ৫ থেকে ২ ডিগ্রি বাড়লে
বাংলাদেশ সংলগ্ন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার। এতে আমাদের
উপকূলীয় ১৫ ভাগ ভূমি পানির নিচে তলিয়ে যাবে। মোট ৭৫০ কিলোমিটার এই উপকূলীয়
এলাকা তলিয়ে গেলে এ অঞ্চলের ২ কোটি অধিবাসী উদ্ধারতে পরিণত হবে। অনেকের আশঙ্কা
প্লাবিত এলাকার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। ফলে সমানভাবে উদ্বাস্তুর সংখ্যাও
বাড়বে। এমনিতেই দেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের ১১টি জেলার দেড় কোটি মানুষ লবণাক্ত
পানির সঙ্গে বসবাস করছে।
সেখানে সুপেয় পানির প্রচণ্ড সংকট রয়েছে। নতুন করে আরও এলাকায় লবণাক্ত পানি
প্রবেশ করলে সংকটের তীব্রতা আরও বাড়বে। সুন্দরবনে লবণাক্ত পানি বেড়ে যাওয়ায়
সুন্দরী, কেওড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ মারা যাচ্ছে। প্রাণিকূলও ধীরে ধীরে
বিলুপ্ত হচ্ছে। সামনের দিনে ঘনঘন বন্যা হবে, ক্ষতির পরিমাণও বাড়তে থাকবে। সব
মিলিয়ে একদা সমুদ্র থেকে জেগে ওঠা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল আবার সমুদ্রে
তলিয়ে যাবে। বাংলাদেশে জলবায়ু তথা পরিবেশ দূষণের কুফল এরই মধ্যে দেখা দিতে শুরু
করেছে।
পরিবেশ দূষণের প্রতিকার ও প্রতিরোধ
বিশ্বের সকল বিজ্ঞানী একমত যে, পরিবেশ দূষণ তথা জলবায়ু দূষণের বেশিরভাগই মানুষের
দ্বারা সৃষ্ট এবং এর জন্য শিল্পোন্নত ধনী দেশগুলোই বেশি দায়ী। দরিদ্র দেশগুলোর
দায় অনেক কম কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক বেশি। দরিদ্র দেশগুলোকে রক্ষার জন্য
উন্নত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সাহায্য দিতে হবে। তা দিয়ে দরিদ্র দেশগুলো
সমুদ্র উপকূলে উঁচু বাঁধ নির্মাণ করে এবং বাঁধের উপর ব্যাপক বনায়ন করে অনেকটা
প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে।
এজন্য সারা বিশ্ব থেকে শিল্পোন্নত দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের
মতে, পৃথিবীর সব দেশ বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলো যদি সমঝোতার মাধ্যমে অন্তত ১০
থেকে ১৫ বছর গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেয়, তাহলে তাপমাত্রা
বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। গ্রিন হাউজ গ্যাস কমাতে হলে জ্বালানি পোড়ানো কমাতে
হবে। এর সঙ্গে উন্নয়ন ও জীবিকা জড়িত।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা
তবে যেভাবেই হোক জ্বালানি পোড়ানো কমাতে হবে এবং উন্নয়ন বান্ধব কার্বন কনটেন্ট
বানাতে হবে। পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে কলকারখানার মালিক ও জনগণকে সচেতন
হতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারকে বলিষ্ঠ উদ্যোগ নিতে হবে। কলকারখানার বর্জ্য, শহরের
মলমূত্র ও আবর্জনা সরাসরি নদীতে না ফেলে পরিশোধন করে ফেলতে হবে। পরিবেশ রক্ষার
জন্য দেশে মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন।
কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৬% বলা হলেও, প্রকৃতপক্ষে আছে ৯% থেকে
১০%। সুতরাং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আমাদের আরও ব্যাপক বনায়ন করতে হবে। বনভূমি
উজাড় এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে গাছ কাটা নিষিদ্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটা বন্ধ
করতে হবে এবং এতে বনায়ন করতে হবে। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে যে বনায়ন করা হয়েছে
তা যেন স্বার্থান্বেষী মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকে সরকারকে নজর
দিতে হবে।
উপসংহার
পরিবেশ দূষণ তথা জলবায়ু দূষণ সারা বিশ্বের মানবজাতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
তবে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশগুলোতে এ সমস্যা আরও ভয়াবহ। তাই পরিবেশ
দূষণ রোধে সারা বিশ্বকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দেশীয় নানা সংস্থাও কাজ করছে। সরকারি ও বেসরকারি
পর্যায়ে কাজ করলেও অধিকাংশ জনগণ এখনও এ ব্যাপারে সচেতন নয়। তাই সারা বিশ্বে
পরিবেশ দূষণ রোধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা - ২
পেজ সূচিপত্রঃ পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার রচনা
ভূমিকা
পরিবেশ দূষণ বর্তমান সময়ের একটি বহুল আলোচিত বিষয়। আমাদের জীবন পরিবেশের সাথে
এতই গভীর এবং অবিচ্ছিন্নভাবে জড়িত যে এর যে কোনও দূষণ বিপদ ডেকে আনে এবং
বিভিন্ন বিপর্যয় ডেকে আনে, প্রকৃতপক্ষে, একটি সুন্দর পরিবেশ একটি সুস্থ
জীবনযাপনের পূর্বশর্ত। তবে আমাদের পরিবেশ নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। বাংলাদেশে
পরিবেশ দূষণের মাত্রা উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং এখনই আমাদের পরিবেশ নষ্ট হওয়া
থেকে যাচাই করার সময় এসেছে।
পরিবেশ দূষণ কি
আমাদের চারপাশের জিনিসগুলিকে পরিবেশ বলা হয়। তাই বাতাস, পানি, মাটি, গাছ,
গাছপালা, জীবজন্তু এসবই পরিবেশের উপাদান। পরিবেশ তৈরি করে এমন সমস্ত জিনিস
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং এই আন্তঃসম্পর্ককে বাস্তুবিদ্যা বলা হয়। এই
আন্তঃসম্পর্কের যে কোনও পরিবর্তন পরিবেশগত ভারসাম্যকে ব্যাহত করে এবং বিভিন্ন
ধরণের পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটায় একেই পরিবেশ দূষণ বলা হয়।
পরিবেশ দূষণের নানা কারণ
পরিবেশ দূষিত হচ্ছে নানাভাবে। সব ধরনের দূষণের জন্য মানুষ ও তাদের অসাধু
কর্মকাণ্ডই বেশির ভাগ দায়ী যেমন-
- বায়ু দূষণঃ বায়ু পরিবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিভিন্ন উৎস থেকে নির্গত ধোঁয়া ও বিভিন্ন গ্যাসের কারণে বায়ু দূষিত হচ্ছে। কল-কারখানা, পাওয়ার হাউস, অটোমোবাইল প্রচুর ধোঁয়া উৎপন্ন করে যাতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনো-অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাস থাকে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য আরও জ্বালানী এবং আরও গাড়ির প্রয়োজন। সুতরাং, যখন তারা কাঠের জন্য বন পরিষ্কার করে এবং জ্বালানী হিসাবে পুড়িয়ে দেয় এবং পেট্রল জ্বালিয়ে গাড়ি চালায়, তখন তারা ধোঁয়া তৈরি করে। এতে বাতাসও দূষিত হয়।
- পানি দূষণঃ পরিবেশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানিও বিভিন্নভাবে দূষিত হচ্ছে। কল-কারখানা, পানির যানবাহন এবং মানুষ তাদের বর্জ্য পদার্থ ও আবর্জনা পানিতে ফেলে পানিকে দূষিত করে। অস্বচ্ছল ল্যাট্রিন, রাসায়নিক সার এবং চাষের জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক, ড্রেনেজ এবং স্যুয়ারেজ লাইনগুলি আরও দূষণে অবদান রাখে।
- শব্দ দূষণঃ আমরা শব্দ এবং গন্ধ দূষণও অনুভব করি। আধুনিক জীবন মেশিনে পূর্ণ। এবং বিভিন্ন ধরনের মেশিন, পরিবহন এবং এছাড়াও ধাতব কাজগুলি প্রচুর শব্দ সৃষ্টি করে এবং শব্দ দূষণ ঘটায়, আবার, সঠিক নিষ্পত্তির অভাবে, এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় এবং দুর্গন্ধযুক্ত দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব
পরিবেশ দূষণ আমাদের জীবনকে খারাপ এবং মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। দূষণের কারণে
স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষতি হয়। একটি দূষিত পরিবেশ বিভিন্ন ধরণের জীবাণু এবং
রোগের জন্ম দেয়, যার মধ্যে কিছু মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক। মানুষ
শুধু বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতেই ভুগে না, তার স্বাভাবিক জীবনও ধ্বংস হয়ে যায়।
স্বাস্থ্যের ঝুঁকি ছাড়াও, পরিবেশ দূষণ অন্যান্য ক্ষতির কারণ হয়। এতে
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলস্বরূপ, বিভিন্ন মহামারী ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রাকৃতিক
বিপর্যয় ঘটে। এভাবে পরিবেশ দূষণ জীবন ও প্রকৃতি উভয়েরই ক্ষতি করে। আজ, আমরা
জানি যে পরিবেশ দূষণ বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ, এবং এর ফলে জলবায়ু
পরিবর্তন। এবং, জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলস্বরূপ, সমগ্র
মানবজাতি অভূতপূর্ব বিপর্যয় ও বিপদের সম্মুখীন হবে।
সাম্প্রতিক গবেষণা দেখায় যে পরিবেশ দূষণ সরাসরি কিন্তু নেতিবাচকভাবে অর্থনৈতিক
উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। পরিবেশ দূষণ দরিদ্র মানুষের উপার্জন ও ফসল
উৎপাদনের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। আবার, দূষণের কারণে, তারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য
ঝুঁকির শিকার হয়, যা তাদের কাজের দক্ষতা এবং উপার্জন ক্ষমতা হ্রাস করে। এবং
দূষণের ফলস্বরূপ, পরিবেশ সর্বাধিক উৎপাদনে সহায়তা করতে পারে না, যেমন খাদ্য
শস্য, তাজা বাতাস, বিশুদ্ধ পানি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ও কৃষি সম্পদ। এই সব
দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক উত্পাদনশীলতা হ্রাস অবদান. একটি সমীক্ষা অনুসারে,
পরিবেশ দূষণ জিডিপি হারের 2% হ্রাস ঘটায়।
দূষণ রোধে করণীয়
আমরা যেমন শিল্পায়ন ও নগরায়ন প্রক্রিয়া এড়াতে পারি না, তেমনি আমাদের জীবনে
রাসায়নিক ও মেশিনের ব্যবহারও পরিবেশ দূষণ রোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যাইহোক,
কীভাবে পরিবেশ রক্ষা করা যায় এবং কীভাবে দূষণ কমানো যায় সে সম্পর্কে সচেতনতা
বৃদ্ধি একটি ভাল সমাধান হতে পারে। এছাড়াও, আমাদের পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী যেমন
জৈব জ্বালানী বা প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পরিবেশ বান্ধব মেশিন ব্যবহার করতে হবে।
পরিশেষে, পরিবেশ সুরক্ষা আইন কার্যকর করতে হবে এবং যারা নির্বিচারে পরিবেশ
দূষিত করে বা আইন লঙ্ঘন করে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
উপসংহার
পরিবেশ দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশে, সমস্যাটির বিশেষ মনোযোগ এবং
সমাধান প্রয়োজন কারণ আমরা একটি বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি কারণ আমাদের পরিবেশ এখন
অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছে। আমরা যদি একটি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ জীবন এবং
একটি সুস্থ ও উন্নত জীবনযাপন করতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ
করতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url