কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা - অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়
আপনি কি কিসমিস ভেজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছে। আমরা এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এবং অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয় এ ছাড়াও কিসমিসের ইত্যাদি বিষয় সমূহ তুলে ধরেছি।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে
আমাদের ব্লগ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। চলুন তাহলে আর কথা না
বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
সূচিপত্রঃ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- ভূমিকা
- কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
- প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
- দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
- কিসমিস খেলে কি ওজন কমে
- অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়
- শেষ কথাঃ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
ভূমিকা
কিসমিস হচ্ছে শুকনো আঙ্গুর। ইংরেজিতে কিসমিস কে রেইসিন বলা হয়। কিসমিস অনেকে
সরাসরি খায় এছাড়াও অনেকে এটিকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য রান্নার ক্ষেত্রে রান্নার
উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। যে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য
বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিসমিস ব্যবহার করা হয় যেমন পায়েস, সেমাই এছাড়াও অনেকে
পোলাও, কোরমা ইত্যাদিতেও কিসমিস ব্যবহার করে থাকে। কিসমিসের পুষ্টিগুণ জানলে আপনি
অবাক হবেন।
আরও পড়ুনঃ লটকন খাওয়ার উপকারিতা
প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশে রয়েছে ৩.০৭ গ্রাম প্রোটিন, ৭৯.১৮ গ্রাম শর্করা, ৩.৭
গ্রাম খাদ্য আশ, ০.৪৬ গ্রাম স্নেহ পদার্থ, ৫৯.১৯ গ্রাম চিনি এবং ২৯৯ kcal শক্তি।
ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ০.১৭৪ ভিটামিন বি৬, ২.৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ০.১২
মিলিগ্রাম ভিটামিন ই, ৩.৫ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন কে, ০.১০৬ মিলিগ্রাম থায়ামিন বি১,
০.৭৬৬ মিলিগ্রাম নায়াসিন বি৩, ০.১২৫ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ১১.১ মিলিগ্রাম
কলিন, ৫ মাইক্রগ্রাম ফলেট বি৯, ০.০৯৫ প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড।
আরও পড়ুনঃ আপেলের বিচি খেলে কি হয়
খনিজ পদার্থের মধ্যে রয়েছে ৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১১ মিলিগ্রাম সোডিয়াম,
৭৪৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৩২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১০১ মিলিগ্রাম ফসফরাস,
১.৮৮ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.২৯৯ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ, ০.২২ মিলিগ্রাম জিংক। কিসমিস
আকারে ছোট হওয়ার শর্তেও পুষ্টিগণের দিক দিয়ে ব্যাপক। পোস্টটি পড়তে থাকুন
কিসমিসের বিষয়ে আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে পারবেন।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কিসমিসের নানা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। পুষ্টিগুণের
পাশাপাশি রয়েছে অনেক উপকারিতা। কিসমিস শরীরে আয়রনের কমতি দূর করতে সাহায্য করে।
তবে শুকনো কিসমিস খাওয়ার থেকে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন। কিসমিস
ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন। কিসমিসে রয়েছে অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আমাদেরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ কিসমিস রক্তস্বল্পতা দূর করে শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত যোগানে বেশ কার্যকরী। কিসমিসে রয়েছে পর্যন্ত পরিমাণে আয়রন যা প্রতিদিন খেলে আপনার শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। আর রক্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। তাই কিসমিস রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিসমিস বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে ৭৪৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুবই উপকারী। আপনি ঘরোয়া উপায়ে রক্তচাপ কমাতে কিসমিস খেতে পারেন।
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেঃ আমাদের অনেকেরই হজমের সমস্যা রয়েছে। শরীর সুস্থ থাকার জন্য হজম শক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি হজম শক্তিতে ঘাটতি দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে আপনি পানিতে ভেজানো কিসমিস খেয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন। এটি কিছুদিন নিয়মিত করুন পরে নিজেই তফাৎ বুঝতে পারবেন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সহায়তা করেঃ আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার উচিত নিয়মিত কিসমিস খাওয়া কেননা সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য কমে যায়। তাই যারা কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যায় ভুগছেন তারা ভুলভাল ঔষধ না খেয়ে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন।
- টক্সিন বার করতে সাহায্য করেঃ শরীরকে ক্ষতিকর টক্সিন থেকে বাঁচাত নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। নিয়মিত সকালে এবং কিসমিস ভেজানো পানি খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল, টক্সিন ইত্যাদি দূর হয়। এর পাশাপাশি এটি হার্ট, লিভার কিডনির মতো শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
আমরা অনেকে আছি যারা শুকনো কিসমিস খায় কিন্তু শুকনো কিসমিসের চেয়ে কিসমিস
পানিতে ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। অনেকেই কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে অবগত নয়। ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে এক থেকে দুই কাপ মত পানিতে
কয়েকটি কিসমিস দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে দেখবেন এটি একটি গাঢ়
ধরনের রং ধারণ করেছে। তারপর এটিকে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে খেতে পারেন।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
অনেকেই জানতে চান প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত। কেননা প্রতিটি খাবার
খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট লিমিট রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে একজন মানুষ দিনে ৪০ থেকে
৫০ গ্রাম কিসমিস খেতে পারে। তবে এর থেকে বেশি খেলে এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের
ক্ষতি কারণ হয়ে দাঁড়াবে।আশা করি প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে
বুঝতে পেরেছেন।
দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- দুধের সাথে কিসমিস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
- দুধের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তারা দুধের সাথে কিসমিস খেতে পারেন এতে রক্তস্বল্পতা দূর করে আপনার শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
- দুধের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খেলেশরীর দুর্বল, মাথা ঘোরা এছাড়াও গুপ্তরোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক অনেকে কিসমিস সকালে খালি পেটে খেয়ে থাকেন কিন্তু আপনি কি জানেন রাতে
ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়। চলুন তাহলে এসব সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। রাতে
ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ কাজে আসবে। কিসমিসের অন্যান্য বিভিন্ন উপকারিতার মধ্যে ওজন কমানোর উপকারিতা টি অন্যতম। যারা ওজন কমাতে চান তারা ঘুমানোর আগে কয়েকটি কিসমিস খেয়ে নিন। এতে আপনার অনেকক্ষণ পেট ভরপুর থাকবে এবং সকালে উঠে অতিরিক্ত খেতেও পাবে না।
- চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এড়াতে রাতে দুধের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খেতে পারেন। ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া চোখের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ কার্যকরী। তাই দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখতে এছাড়াও চোখকে বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচাতে নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন।
- অনিদ্রা দূর করেঃ বর্তমানে কমবেশি সকলেরই অনিদ্রার সমস্যাটি রয়েছে। যাদের ঘুম কম বা ঘুম ভালোভাবে হয় না তারা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেতে পারেন। এতে আপনার ভালো ঘুম হওয়ার পাশাপাশি অনিদ্রার সমস্যা ও দূর হবে।
- হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ রাতে কিসমিস খাওয়া হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে ৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা এমনে খেতে পারেন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট। আর আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেতে পারেন।
কিসমিস খেলে কি ওজন কমে
অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে যে কিসমিস খেলে কি ওজন কমে? এর উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ
ওজন কমানোর
ক্ষেত্রে কিসমিস খাওয়া যেতে পারে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে ৫৯.১৯ গ্রাম
প্রাকৃতিক চিনি যা অন্যান্য মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাকে প্রতিহত করে। এছাড়াও কিসমিস
রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরিও যোগান দেয়
না এর ফলে
ওজন নিয়ন্ত্রণে
থাকে। এছাড়াও কিসমিস খেলে অনেকক্ষণ সময় ধরে পেট ভরা থাকে যার কারণে আপনার একটু
পর পর খিদেও পাবে না অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ভয়ও থাকবে না। এভাবেই কিসমিস
ওজন নিয়ন্ত্রণে
সহায়তা করে থাকে।
অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক আমরা এখন জানলাম কিসমিস খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন
এবার জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়। পুষ্টিবিদদের মতে দিনে ৪০
থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যেতে পারে তবে এর থেকে বেশি অর্থাৎ অতিরিক্ত পরিমাণে
খেলে এটি শরীরের বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অতিরিক্ত কিসমিস খেলে
কি হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- অতিরিক্ত কিসমিস খেলে বদহজম, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, পানি শূন্যতা ইত্যাদি ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অনেক মানুষের অনেক ধরনের খাবারে এলার্জি হয়ে থাকে যাদের খাবারে এলার্জি রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের এলার্জির প্রভাব দেখা দিবে।
- কিসমিস যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এর পাশাপাশি অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বাড়িয়ে দিতে পারে।
- আমরা সকলেই জানি ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাতে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তবে আপনি যদি দিনে মাত্র অতিরিক্ত এসএমএস খান সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি প্রবেশ করবে এবং ওজন কমার বদলে আরো বৃদ্ধি পাবে।
তাই কোন খাবার যতই পুষ্টিকর এবং যতই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হোক না কেন। অতিরিক্ত
পরিমাণে না খেয়ে পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। যাতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
শেষ কথাঃ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা, কিসমিস
ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম, রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়, কিসমিস খেলে কি ওজন
কমে, অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয়ে। আশা করি উক্ত ব্লগ পোষ্টের
মাধ্যমে কিসমিস খাওয়া সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভালো লাগলে
অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।
আরও পড়ুনঃ পুদিনা পাতার উপকারিতা
আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। এমন বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট
পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন
ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত আমি বিদায়
নিচ্ছি। আমাদের সাথেই থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url