বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন, কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এই অনুচ্ছেদটি অন্যতম। প্রিয় পাঠক আপনি যদি বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।

বৈশাখী মেলা

সম্প্রদায়নিরপেক্ষ চেতনায় উজ্জীবিত বাঙালি জাতির জীবনে পহেলা বৈশাখ একটি সর্বজনীন উৎসব। বাংলা নববর্ষের এ উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে বৈশাখী মেলা। মূলত বাংলাদেশের উৎসবগুলোর মধ্যে বৈশাখী মেলা অন্যতম। কেননা, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের এক মহামিলন-ক্ষেত্র হয়ে উঠে এই মেলা। বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে সারা দেশেই গ্রাম ও শহরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। যদিও গ্রামেই বৈশাখী মেলার প্রাধান্য অধিক। বৈশাখী মেলা গ্রাম্য মেলার অন্যতম। বস্তুত 'মেলা' শব্দটির অর্থ মিলিত হওয়া। গ্রামবাংলার মানুষ বৈশাখী উৎসব উপলক্ষ্যে মিলিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করে। বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে শুরু হয়ে মাসব্যাপী এ মেলা চলে। কুটিরশিল্পের এমন কোনো পণ্য নেই যে বৈশাখী মেলায় দৃষ্টিগোচর হয় না। স্থানীয় লোকজন মেলা থেকে কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লোকশিল্পজাত, কুটির শিল্পজাত এবং মৃৎশিল্পজাত পণ্য ক্রয় করে। শুধু কি তাই শিশু-কিশোরদের খেলনা, মহিলাদের সাজসজ্জার সামগ্রী এবং বিভিন্ন লোকজ খাবার যেমন- চিড়া, মুড়ি, খই, বাতাসাসহ হরেক রকমের মিষ্টির সমারোহ থাকে বৈশাখী মেলায়। মেলাতে শিশু- কিশোরদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, জাদুখেলা, পুতুলনাচ ইত্যাদির ব্যবস্থাও থাকে। বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগায়কদের গানে মেলার প্রাঙ্গণ মুখরিত থাকে। কোনো কোনো অঞ্চলে মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় যাত্রাপালার। সার্কাসের প্রচলনও রয়েছে অনেক জায়গায়। এতে করে মেলার আনন্দ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এদেশের ছেলে, বুড়ো, যুবক সবাই এ মেলায় আনন্দে পুলকিত হয়ে ওঠে। নতুন বাংলা বর্ষকে বরণের পাশাপাশি উৎসবকে পরিপূর্ণতা দেয় বৈশাখী মেলা। এই মেলা বাঙালির শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য। দিনদিন শহরেও বৈশাখী মেলার প্রচলন ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এর ফলে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বাঙালির হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। আমাদের ঐকান্তিক প্রত্যাশা বৈশাখী মেলার মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি চিরকাল বেঁচে থাকুক।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url