ফেসবুক অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই কম বেশি ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। আপনি যদি ফেসবুক অনুচ্ছেদটি খুলে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য ফেসবুক অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
ফেসবুক অনুচ্ছেদ
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফেসবুকে অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।

ফেসবুক

ফেসবুক বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক জুকারবার্গ ও তার বন্ধু এডওয়ার্ডো সেভারিন, জ্যাস্টিন মস্কোভিতস এবং ক্রিস হিউজেস ২০০৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। ফেসবুক সারা বিশ্বের মানুষকে একসূত্রে গ্রথিত করেছে। ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ তার আবেগ-অনুভূতি, সুখ-দুঃখ, সামাজিক অসংগতি সহজেই প্রকাশ করতে পারে। ফেসবুক ব্যবহার করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে কোনো অর্থ দিতে হয় না। একটি নির্দিষ্ট ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রবেশ করা হয়। নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিয়ে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ফেসবুক ব্যবহারকারী তার তথ্য হালনাগাদ ও মুছে ফেলতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেইজে লাইক দিলেই সেই প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক তথ্য ফেসবুক ব্যবহারকারী দেখতে পান। ২০০৮ সালে ফেসবুকে চ্যাটিং সিস্টেম চালু করা হয়। বর্তমানে Androed মোবাইল ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহার করে ফেসবুকে অডিও এবং ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন। ফেসবুকের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী শহর-গ্রাম, কর্মস্থল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অঞ্চলভিত্তিক গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন। বর্তমানে এই সুবিধা ব্যবহার করে রাজনীতিক, সামাজিক ও ব্যাবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যেমন- বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ, মিশরের তাহরির স্কয়ারের সরকার পতনের আন্দোলনে ফেসবুক সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ফেসবুক ব্যবহারকারী তার নির্দিষ্ট আইডিতে ছবি, লেখা পোস্ট করতে পারেন, যাতে তার বন্ধুরা লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে পারেন। ফেসবুকের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো পরিচিত ও অপরিচিত সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায়। ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ এখন দর্শনীয় স্থানের ছবি অতি সহজেই দেখতে পারে। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু ফেসবুক সামাজিক হৃদ্যতা যেমন বাড়িয়েছে, তেমনই মানুষের মনে অস্থিরতাও বাড়িয়েছে। ছেলেমেয়েরা অপরিচিত মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক করে অনেক সময় প্রতারিত হচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমে সাইবার অপরাধও সংঘটিত হয়ে থাকে। বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহার তরুণদের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে তরুণদের সামাজিক কার্যক্রম ও মুক্তচিন্তা ব্যাহত হচ্ছে। সুতরাং সকলের উচিত প্রযুক্তির এই আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url