খাদ্যে ভেজাল অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। বাংলা পাঠ্য বইয়ের অনুচ্ছেদ তো আমাদের সকলকেই
পড়তে হয়। আপনি যদি খাদ্যে ভেজাল অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক
জায়গায় চলে এসেছেন। কেননা আমরা আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটিতে খাদ্যে ভেজাল
অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এই অনুচ্ছেদটি অন্যতম। আশা করি
অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক
হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
চলুন তাহলে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।
খাদ্যে ভেজাল
মানুষ তথা সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অপরিহার্য। খাদ্য মানুষের দেহের
তাপ শক্তি বৃদ্ধি করে। সুস্থ, সবল ও দৈহিক বৃদ্ধির জন্য আমরা খাদ্য গ্রহণ করি।
খাদ্য গ্রহণ না করলে কোনো প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না। বেঁচে থাকার জন্য দৈনিক
সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান সময়ে খাদ্যে রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে
খাদ্য অধিক সময় সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। যা দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাছাড়া
রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে ভেজাল খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানুষ অধিক
লাভের আশায় খাদ্যে ভেজালের মাত্রা বৃদ্ধি করছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে আমাদের আয়ু,
কর্মশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৈহিক ও মানসিক স্পৃহা দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে।
ভেজালবিরোধী আইন ও এর সুষ্ঠু প্রয়োগের অভাবে এবং নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে দিনদিন
খাদ্যে ভেজাল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা প্রতিদিন যেসব শাকসবজি, ফলমূল খাই অসাধু
ব্যবসায়ীরা তা পাকাতে ও সতেজ রাখতে ক্যালসিয়াম কার্বোহাইড্রেটসহ বিভিন্ন বিষাক্ত
কেমিক্যাল ব্যবহার করে। এসব খাদ্য গ্রহণ করলে কিডনি ও লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মাছে ব্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন। কোমল পানীয় ও জুসে ব্যবহার করা হচ্ছে
প্রিজারভেটিভ। তাই স্বাস্থ্যের সুরক্ষার স্বার্থে ভেজাল রোধে আমাদের পদক্ষেপ
গ্রহণ করতে হবে। জনসচেতনতা ও ব্যবসায়ীদের নৈতিক শিক্ষা কেবল পারে ভেজাল রোধ করতে।
সর্বোপরি খাদ্যে ভেজাল রোধের জন্য সরকারের সদিচ্ছা এবং আইন প্রয়োগকারী সকল
সংস্থাকে নিষ্ঠার সঙ্গে কর্তব্য পালন করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url