সুন্দরবন অনুচ্ছেদ - সুন্দরবন অনুচ্ছেদ class 10
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি সুন্দরবন অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি থাকেন
তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য
সুন্দরবন অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। বাংলা পাঠ্য বইয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ
অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে
ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত
পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।
সুন্দরবন
বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন সুন্দরবন। অনেকের মতে, এ বনে সুন্দরী গাছের
প্রাধান্য থাকায় এর নাম রাখা হয়েছে সুন্দরবন। এর আদি নাম বাদাবন। ১৯৪৭ সালে দেশ
বিভাগের সময় সুন্দরবনের দুই-তৃতীয়াংশ পড়েছে আমাদের দেশে এবং বাকিটা ভারতে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও
বরগুনা জুড়ে এ বন বিস্তৃত। সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার এবং ৬,০১৭
বর্গকিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪
বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। বিশ্বকে
অবাক করে দেওয়ার মতো এ বনে বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও প্রায়
৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩২০ প্রজাতির পাখি, ৫০ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর
এবং ৪০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। সুন্দরবনে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে,
যাদের মধ্যে বৃক্ষ, লতাগুল্ম, ঘাস, পরগাছা বিদ্যমান। সুন্দরবন একটি চিরহরিৎ বন
এবং পুরোটা দেখতে প্রায় একই রকম। সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ সুন্দরী, এছাড়াও গেওয়া,
কেওড়া, গোলপাতা প্রভৃতি গাছ প্রচুর জন্মে। ১৮৭৫ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন
হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং এটি ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে ৭৯৮ তম বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে
স্থান পায়। সুন্দরবনের জনসংখ্যা ৪ মিলিয়নের বেশি এবং এর বেশিরভাগই স্থায়ী নয়। এ
বন থেকে তারা কাঠ, মোম, মাছ, কাঁকড়া এবং শামুক ও ঝিনুক প্রভৃতি সংগ্রহ করে জীবিকা
নির্বাহ করে থাকে। বন আমাদের প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন রক্ষা করে তেমনই প্রাকৃতিক
দুর্যোগের হাত থেকেও রক্ষা করে। ২০০৭ সালের ১৫ই নভেম্বর প্রলয়ংকরী 'সিডর' এর
প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বিগত ১০০ বছরে সুন্দবনের অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাদের
মধ্যে অন্যতম হলো গন্ডার। এছাড়াও বনমহিষ, নীল গাই, নেকড়ে, মিঠা পানির কুমির, মায়া
হরিণ, বাঘ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি প্রায় বিলুপ্তির পথে। সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের
পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url