লাইব্রেরি অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি লাইব্রেরি অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে
থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের
জন্য লাইব্রেরি অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত বই অসংখ্য পাঠকদের
মনের খোরাক মেটাতে সক্ষম।
আশা করি আমাদের আর্টিকেলে উল্লিখিত অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক
আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে
যাওয়া যাক।
লাইব্রেরি
লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার হলো নানা ধরনের বইয়ের সংগ্রহশালা। শিক্ষা ও সভ্যতার
বিকাশে গ্রন্থাগারের দান অপরিসীম। একটি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্যের বাহক হলো
লাইব্রেরি। এখানে বইপত্র সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও আদান-প্রদানের ব্যবস্থা থাকে।
গ্রন্থাগারে সঞ্চিত থাকে মানুষের যুগ-যুগান্তরের চিন্তা ও জ্ঞানের অমূল্য সম্পদ।
গ্রন্থাগারে সঞ্চিত সম্পদ একদিকে বহন করে কালের সাক্ষ্য, অন্যদিকে মুছে দেয় অতীত
আর বর্তমানের সীমারেখা। ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক, বিভিন্ন মানুষ তাদের বিভিন্ন
প্রয়োজনে ছুটে যান গ্রন্থাগারে। গ্রন্থাগারের ইতিহাসও সুপ্রাচীন। আড়াই হাজার
বছরেরও আগে অ্যাসিরিয়ার রাজা আশুর বানিপাল মৃৎফলকের গ্রন্থাগার নির্মাণ করেছিলেন।
প্রাচীনকালের সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থাগার হলো আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার। সাধারণ
পাঠাগার প্রথম গড়ে ওঠে রোমে। মুসলিম বিশ্বে কর্দোভা, দামেস্ক ও বাগদাদেও বেশকিছু
গ্রন্থাগার ছিল। পৃথিবীর বড়ো গ্রন্থাগারের মধ্যে রয়েছে প্যারিস শহরের বিবলিওথেক
ন্যাশনাল, লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম লাইব্রেরি, আমেরিকায় ওয়াশিংটন শহরের
লাইব্রেরি অব দি কংগ্রেস ও সোভিয়েত রাশিয়ার মস্কোর লেনিন স্টেট লাইব্রেরি।
গ্রন্থাগার আবার দুশ্রেণির হতে পারে- ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয়। সাধারণ গ্রন্থাগার
সবার জন্য উন্মুক্ত। পাঠকদের রুচি ও চাহিদার ভিন্নতা অনুযায়ী বিচিত্র গ্রন্থের
সমাবেশ সাধারণ পাঠাগারে। গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা দিনদিন বেড়ে চলছে। তাই
বর্তমানে জ্ঞান পিপাসু পাঠকদের প্রয়োজন মেটানোর তাগিদে পাড়ায় বা মহল্লায়
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির ব্যবস্থা করা হয়ল যেখানে অল্প কিছু মাসিক চাঁদার বিনিময়ে
সদস্য হয়ে বই বাড়িতে নিয়ে এসেও পড়া যায়। মানুষ কখনো বিশেষ প্রয়োজনে, কখনো বা
শুধুই মনের খোরাক জোগাতে ছুটে যায় লাইব্রেরিতে। একঘেয়ে ক্লান্ত জীবনে বই এনে দিতে
পারে সজীব প্রাণস্পন্দন। গ্রন্থাগারের বিচিত্র সংরক্ষণ থেকে পাঠক সহজেই খুঁজে
নিতে পারেন পছন্দের বইটি। ভালো বই ভালো মানুষ গড়তে বিশেষ অবদান রাখে। বই হতে পারে
মানুষের নিঃসঙ্গতায় বিশেষ বন্ধু। নৈতিক অধঃপতন থেকে মানুষকে টেনে তুলে আনতে পারে
ভালো বই। বই ছাড়া প্রকৃত মানুষ্যত্ব লাভ করা এক দুরূহ ব্যাপার। একটি জাতিকে
উন্নত, শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গ্রন্থাগার উল্লেখযোগ্য
অবদান রাখে। তাই বলা যায়, যে জাতির সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার নেই, সে জাতির সমৃদ্ধ
ইতিহাসও নেই।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url