বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি
খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে
আপনাদের জন্য বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ
অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটিও একটি।
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে এর পাশাপাশি পরীক্ষায় ভালো নম্বর
সহযোগিতা করবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে
আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে সময়
নষ্ট না করে শুরু করা যাক।
বই পড়ার আনন্দ
মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য বিকাশে বইয়ের ভূমিকা অনবদ্য। যুগ যুগ ধরে
জ্ঞান-পিপাসু মানবগোষ্ঠী তার যাত্রাপথে যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে তারই
লিখিত রূপ বই। মানবসভ্যতা অনেক পেয়েছে এবং হারিয়েছে আরও বেশি। মানুষ অনেক স্বপ্নই
দেখেছে কিন্তু তার অনেক স্বপ্নই থেকে গেছে অপূর্ণ। মানুষের এ প্রাপ্তি ও বঞ্চনা,
সফলতা ও ব্যর্থতা, আশা ও আকাঙ্ক্ষার একত্র প্রকাশ বই। বই মানুষকে চিরকাল দান
করেছে সম্মুখে এগিয়ে চলার চিরন্তন প্রেরণা। তাই বই রচনা ও বই পাঠ মানুষের জীবনের
সবচয়ে বড়ো আকাঙ্ক্ষা। আর অধ্যয়নই মানুষের জীবনে পরিপূর্ণতা দান করতে সক্ষম। মানুষ
আনন্দ লাভের জন্য বই পড়ে থাকে। আনন্দকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থেই বইয়ের প্রয়োজন।
কিন্তু বাস্তব সংসারে নিঃস্বার্থ, নিঃশর্ত আনন্দ খুঁজে পাওয়া বড়ো কঠিন। আমরা দেশ
ভ্রমণ করে আনন্দ লাভ করতে পারি। কিন্তু সেখানে অটুট স্বাস্থ্য ও অঢেল অর্থের
প্রয়োজন। তা অনেকেরই নেই। আমরা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে মেলামেশা করেও
আনন্দ লাভ করতে পারি। কিন্তু কোনো মানুষই নিঃস্বার্থ নয়। এ সবের তুলনায় বই
সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দদানের মাধ্যম। কারণ একটি দুটি নয় নানা বিষয়ে নানা রুচির ওপর
অগণিত বই রচিত হয়েছে এবং হচ্ছে। কাজেই আমরা স্ব-স্ব রুচিমাফিক বই বেছে নিতে পারি
এবং এগুলোর মধ্যে চিরকালের আনন্দ খুঁজে পেতে সক্ষম হই। আমরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়লে
সহজেই বই থেকে তার সঠিক সমাধান খুঁজে পেতে পারি। সুতরাং বই আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট
বন্ধু; তাই আমাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর বই পড়ার মধ্য দিয়েই আমরা
গ্রহণ করতে পারি অপার আনন্দ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url