পরের অনিষ্ট চিন্তা ভাব সম্প্রসারণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। পরের অনিষ্ট চিন্তা ভাব সম্প্রসারণ টি যদি আপনি
খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে এই
ভাব সম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি। অন্যান্য যে সকল গুরুত্বপূর্ণ ভাব সম্প্রসারণ
হয়েছে এর মধ্যে এই ভাব সম্প্রসারণ টি অন্যতম।
আশা করি ভাবসম্প্রসারণটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই ভাব
সম্প্রসারণটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে
যাওয়া যাক।
পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যে জন
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে মানুষ পরস্পরের সহযোগী হয়ে বসবাস করে। একে অপরের কল্যাণ
সাধন করাই মানুষের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব।
পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের পার্থক্য হলো- মানুষ শুধু নিজের কথা চিন্তা
করে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে না। মানুষকে তার চারপাশের জগৎ নিয়েও ভাবতে হয়। যে মানুষ
সর্বদা অন্যের উপকার করার কথা ভাবে এবং নিজেকে সর্বদা অন্যের হিতার্থে ব্যাপৃত
রাখে সে সমাজে সম্মানিত। অন্যদিকে, মানুষ যখন নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়, তখন
সে অপরের ক্ষতি সাধনে তৎপর হয়। যে মানুষ সর্বদা অন্যের ক্ষতির চিন্তায় মগ্ন থাকে,
সে সর্বদা হীনম্মন্য অবস্থায় থাকে। এতে তার চিত্তে শুদ্ধি আসে না বলে সে তার
স্বীয় কর্মক্ষেত্রেও উন্নতি করতে পারে না। কেননা মানুষের স্বার্থবুদ্ধি প্রাধান্য
পেলে তার পরিণতি শুভ হয় না। অপরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নিজে লাভবান হওয়ার চেষ্টা
অন্যায় কর্ম বলে বিবেচিত হয়। আর এ অন্যায় যারা করে অর্থাৎ নিজের স্বার্থকে যারা
বড়ো করে দেখে তারা মহৎ ব্যক্তি নয়, তাদের কাছ থেকে মহৎ কিছু প্রত্যাশা করা যায়
না। তারা সংকীর্ণমনা, অনুদার। তাদের কাজ-কর্মে শুধু অন্যের একার ক্ষতি হয় না বরং
সমাজ ও জাতির পাশাপাশি তার নিজেরও বিরাট ক্ষতি হয়। পার্থিব কর্মের ফল মানুষ কোনো
না কোনোভাবে পৃথিবীতেই পেয়ে যায়। তাই এহেন ব্যক্তিরা নিজেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে
থাকে। অন্যের ক্ষতিসাধনের চিন্তা করা অমানবিক কাজ।
তাই অন্যের ক্ষতি করার চিন্তার পরিবর্তে পরোপকারে আত্মনিয়োগ করাই উত্তম তা না হলে
নিজেরই ক্ষতি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url