পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাব সম্প্রসারণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আমাদের কম বেশি প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের কেই
পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ভাব সম্প্রসারণ পড়ার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি পুষ্প আপনার
জন্য ফোটে না ভাব সম্প্রসারণ টি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন
কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য এই ভাব সম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি।
আশা করি ভাব সম্প্রসারণটি আপনাদের উপকারে আসবে এর পাশাপাশি পরীক্ষায় ভালো নম্বর
আনতে সহায়তা করবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ভাব সম্প্রসারণটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে
থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
চলুন তাহলে সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।
পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না
পরোপকারেই মানবজীবনের সার্থকতা। মানুষের জন্ম হয়েছে অন্যের কল্যাণ সাধনের জন্য।
শুধু নিজেকে নিয়ে নিমগ্ন থাকা মনুষ্যত্বের অবমাননার নামান্তর। ফুল যেমন নিজের
সৌন্দর্য, সৌরভ, সুবাস অন্যকে বিলিয়ে দিয়ে তার জীবন পরিপূর্ণ করে, তেমনই অপরের
মঙ্গল সাধনায় মানবজীবন ধন্য হতে পারে।
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ। এই শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে বড়ো যে গুণটি রয়েছে, তাই হলো অপরের
মঙ্গল-সাধন করা। নিজের স্বার্থ বড়ো করে দেখার মধ্যে মানুষের মনুষ্যত্ব বিকশিত হয়
না বরং সংকুচিত হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজকের বিশ্বে মানুষ শুধু নিজেকে
নিয়ে ব্যস্ত, অপরের মঙ্গল-সাধন করা তো দূরে থাক; এ চিন্তাও করতে ব্যর্থ।
দুনিয়াব্যাপী স্বার্থপর সম্প্রদায় নিজেদের সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ নিয়ে যতটা তৎপর,
সেখানে মানুষের কল্যাণের বিষয় মোটেই গুরুত্ব বহন করে না। বরং সর্বগ্রাসী
ভোগবাদিরা সমস্ত নিয়ম-নীতিকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের স্বার্থের প্রাসাদ তৈরি করে। ফলে
পৃথিবীতে শোষিত-বঞ্চিত, দরিদ্র- পীড়িত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পরের
কল্যাণে জীবনকে উৎসর্গ করার মধ্যেই থাকে জীবনের প্রকৃত সার্থকতা। তাই পরোপকার
সাধনই মানবজীবনের মহত্তম কাজ। আমরা প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে বিষয়টি যথার্থভাবে
উপলব্ধি করতে পারি। মৌমাছি অনেক কষ্ট করে যে মৌচাক রচনা করে, তা কি শুধু নিজেদের
জন্য? তা নয় বরং, মৌচাকের মধু মানুষ পান করে পরম তৃপ্তি লাভ করে। সুতরাং মানুষের
জীবনে পরোপকারের চেয়ে বড়ো আর কিছু নেই। তাই তো, জ্ঞানী-গুণীরা পরোপকারের
উদ্দেশ্যে জীবন বিসর্জন দিতে মোটেই ভীত হননি। খুদিরাম, প্রীতিলতা, সূর্যসেনসহ
অনেকের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে আজও উচ্চারিত হয়। এ প্রসঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে
তিরিশ লাখ শহিদের আত্মদানও চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। কিন্তু আজ বিশ্বায়নের এ সময়ে
পরোপকারের বিষয়টি প্রাধান্য না পেয়ে বরং বৈশ্বিক চিন্তা-চেতনায় মানুষ বেশি নিমগ্ন
হচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তি মানুষকে অনেকটা যান্ত্রিক করে তুলেছে; মানুষ উদয়-অন্ত
নিরলস পরিশ্রম করে প্রচুর অর্থ-সম্পদ অর্জন করেছে; তবে সেখানে মানবকল্যাণের কোনো
লেশমাত্র ঠাঁই নেই।
ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে পরোপকারের মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নিহিত থাকে। তাই অপরের
কল্যাণ সাধনই হোক সকলের ব্রত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url