সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন, কেননা আমরাই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। বাংলা পরীক্ষার জন্য আমাদের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে বিভিন্ন ধরনের অনুচ্ছেদ পড়ার প্রয়োজন পড়ে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুচ্ছেদ
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি উক্ত অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন।চলুন তাহলে আর বেশি সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

সাম্প্রদায়িকতা হলো সম্প্রদায়ভিত্তিক জাত্যাভিমান। যখন একটি সম্প্রদায় নিজেকে অন্যসব সম্প্রদায় কিংবা কোনো বিশেষ সম্প্রদায় থেকে উৎকৃষ্ট মনে করে, নিজেদের সবকিছুকে ভালো বলে মনে করে অন্য সম্প্রদায়কে নিকৃষ্ট কিংবা ছোটো মনে করে তখন সেই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা জন্য নেয়। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলতে একসঙ্গে একই সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থানকে বোঝায়। সেখানে সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে কোনো জাত্যাভিমান নেই বা থাকে না। কেউ কাউকে ছোটো ভাবে না, কেউ কাউকে বড়োও ভাবে না। কেউ নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে না। কেউ কাউকে শত্রু হিসেবে গণ্য করে না। একই সমাজ এবং রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে সকলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দেশ ও জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অপরিহার্য একটি বিষয়। একটি দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করতে পারে কিন্তু তাদের মধ্যে যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকে তাহলে তারা কখনোই শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে পারে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাবে সেই জাতির ভেতরে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এতে করে সমাজ ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হলে সমাজব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। চারদিকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ফলে অনিবার্যভাবেই যুদ্ধ ও সংঘাত দেখা দেয়। মানুষে মানুষে আস্থার অভাব দেখা দেয়, অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়, সৌহার্দ ও সহযোগিতার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমনকি দেশের সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে পড়ে। শুধু দেশের ভেতরেই নয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জরুরি, তা না হলে গোটা বিশ্বই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে। সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে রক্ষা করতে হবে। জাতিগত, ধর্মগত বিভেদকে তুচ্ছ করে সকলের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনকে জোরালো করতে হবে। সকলের প্রতি সাহায্য, সহযোগিতা, সহমর্মিতার হাত বাড়াতে হবে, সৃষ্টি করতে হবে পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস। রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক সকলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে এবং সকলের মধ্যে সম্প্রদায়নিরপেক্ষ চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে যে অন্য ধর্মের নিরীহ, নির্দোষ মানুষকে হত্যা করার নাম জিহাদ বা ক্রুসেড নয়। আর তা হলেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url