ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ টি খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটিও একটি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।

ডিজিটাল বাংলাদেশ

ল্যাটিন 'Digitus' শব্দ থেকে ডিজিটাল শব্দটির উৎপত্তি, যার বাংলা ০ থেকে ৯ পর্যন্ত যেকোনো সংখ্যা। ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্থ বিজ্ঞান বিকশিত তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। বিশেষ করে এখানে এনালগের বিপরীতার্থক ডিজিটালকে ভাবার্থে নির্দেশ করা হয়েছে। এর অন্তর্নিহিত অর্থ হলো সনাতন পদ্ধতিকে পরিহার করে সর্বক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তিকে গ্রহণ করা এবং তার ব্যবহার উচ্চতর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত, শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া। একটি সুখী, সমৃদ্ধ, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বৈষম্যহীন জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করতে, সর্বোপরি একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন অত্যাবশ্যক। বস্তুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বোঝায় দেশকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সাহায্যে পরিচালনা, যা সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার। ডিজিটাল পদ্ধতি আমাদের সময় ও শ্রম কমিয়ে দিয়েছে। জীবনযাত্রাকে করেছে সহজ ও সাবলীল। আজকাল সুপার মার্কেটে যাওয়া ব্যতীতই ইলেকট্রনিক শপিং-এর মাধ্যমে ৫০% ভোক্তাদের বাড়িতে পণ্য পৌঁছে যায়। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি, জমিসংক্রান্ত কাগজ-পত্রসহ যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদান কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হচ্ছে। গ্রাম পর্যায়ে ইউনিয়নে ইউনিয়নে কমিউনিটি সেন্টারের মতো তথ্য সরবরাহ সেন্টার খুলে জনসাধারণকে প্রযুক্তিগত সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি সাধিত হয়েছে ব্যাংকের লেনদেন এবং মানি ট্রান্সফারের বিষয়ে। এক্ষেত্রে মোবাইল কোম্পানিগুলো জটিল বিষয়কে সহজ করে জনগণের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। ইন্টারনেটের বদৌলতে এখন নিরক্ষর সাধারণ মানুষও প্রযুক্তির সমানাধিকার ভোগ করছে। এসব সুবিধা আমাদের জীবনকে যান্ত্রিক করে তুলছে। যান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নতির ফলে মানুষ দিনদিন অলস হয়ে পড়ছে। তাছাড়া আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তারা শিক্ষা-বিমুখ হয়ে মোবাইল ও ইন্টারনেটে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। তাই যান্ত্রিক দিক দিয়ে উন্নতি না ঘটিয়ে জ্ঞান, বুদ্ধি ও মানসিক বিকাশ সাধন করতে হবে। তবেই দেশ হবে প্রকৃতপক্ষে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url