যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদ
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন
তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য
যৌতুক প্রথা অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের অন্যান্য যেসব
সামাজিক সমস্যাগুলো রয়েছে এর মধ্যে যৌতুক প্রথা ও একটি।
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে
ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।চলুন তাহলে সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া
যাক।
যৌতুক প্রথা
কোনো মেয়ের বিয়েতে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন এমনকি অনাত্মীয়, অতিথি, অভ্যাগত যেসব
উপহার দেন তাকেই বলে যৌতুক। যৌতুক একটি প্রাচীন প্রথা। বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা
মারাত্মক একটি সামাজিক ব্যাধি। তবুও অধিকাংশ বিয়েতে বরপক্ষ কনেপক্ষের কাছ থেকে
যৌতুক গ্রহণ করে। বর্তমানে এটি একটি সামাজিক কুপ্রথায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের
সকল সমাজেই যৌতুক প্রথার কমবেশি প্রচলন। আছে। যৌতুকের কারণে সমাজ জীবনে নানা
সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিবাহিত নারীর প্রতি অত্যাচার ও সহিংসতার মূল কারণ এই যৌতুক।
যৌতুকের কারণে স্বামীর সংসারে স্ত্রীকে নিগ্রহ ভোগ করতে হয়। যৌতুকের দাবি পূরণ
করতে না পারলে অনেক ক্ষেত্রেই স্ত্রীকে সংসার ছাড়তে বাধ্য করা হয়। যৌতুকের কারণেই
বিবাহবিচ্ছেদ ও কখনো কখনো স্ত্রীর প্রাণহানিও ঘটে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত বাবা-মার
ধারণা যৌতুকের কারণে তাদের কন্যা স্বামীর ঘরে মাথা উঁচু করে থাকবে। এ কারণেই
যৌতুক প্রথা সমাজ মানসের মূলে বাসা বেঁধেছে। বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধের জন্য ১৯৮০
সালে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে তবে এ আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায়
বাংলাদেশে পরিবার ও সমাজজীবনে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সমাজে দারিদ্র্য,
দুর্নীতি, অপরাধ প্রবণতা, বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের মূলে রয়েছে এই যৌতুক প্রথা।
যৌতুক প্রথার কুফল থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া
থেকে নিজেদের বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে।
যৌতুক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে তবেই যৌতুকের ভয়াবহ থাবা থেকে রক্ষা
পাবে আমাদের সমাজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url