বিশ্বায়ন অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আমাদের প্রত্যেক এই শিক্ষার্থীদের কেই কোন না কোন
অনুচ্ছেদ পরীক্ষার জন্য পড়ার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি বিশ্বায়ন অনুচ্ছেদটি
খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে
আপনাদের জন্য বিশ্বায়ন অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
প্রিয় পাঠক আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনার উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি
অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে যাওয়া
যাক।
বিশ্বায়ন
সাধারণ অর্থে 'বিশ্বায়ন' বলতে বোঝায় সমগ্র বিশ্বকে আধুনিকতা ও অগ্রগতির এক বলয়ে
সমন্বিত করার একটি তত্ত্ব বা ধারণা। মার্শাল ম্যাকলোহান-এর মতে 'গ্লোবাল
ভিলেজ'-এর অন্য একটি রূপই হলো বিশ্বায়ন। একে অভিহিত করা হয় এমন একটি প্রক্রিয়া
হিসেবে, যা রাষ্ট্র ও সম্প্রদায়ের পুরানো কাঠামো ও সীমানা অবলুপ্ত করেছে।
বিশ্বায়নের উদ্দেশ্য হলো সমগ্র মানব জাতিকে কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ না
রেখে বিশ্বব্যাপী তার পদচারণাকে অবারিত করে তোলা। বিশ্বায়ন কোনো একক বিষয় নয় বরং
এটি সর্বব্যাপী ও সার্বিক প্রক্রিয়া। বিশ্বায়ন রাষ্ট্রীয় সীমানার প্রাচীর ভেঙে
আর্থনীতিক, সামাজিক, রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপকতর পরিবর্তন নিয়ে।
এসেছে। ফলে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তা-চেতনা এবং বিশ্বাসের ক্ষেত্রে একটি
বৈশ্বিক অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে বিশ্বায়নের কথা বলা হচ্ছে তা
মূলত পুঁজিবাদের সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের উপনিবেশ ছাড়া কিছু নয়। বিশ্বায়নের ফলে
উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর আর্থনীতিক ও রাজনীতিক কর্তৃত্ব গ্রহণ করার
সুযোগ নিচ্ছে। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বায়নের নামে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রবেশ
করলেও সুবিধা লাভ করতে পারেনি। বিশ্বায়নের ফলে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো তাদের স্বকীয়তা
হারিয়ে ফেলছে। দেখা যাচ্ছে, বিশ্বায়নের যেমন ইতিবাচক দিক আছে, তেমনই নেতিবাচক
দিকও রয়েছে। তাই আর্থনীতিক, রাজনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে আন্তর্জাতিক
সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো উপযোগী করে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই আমরা
বিশ্বের দরবারে নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url