পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছে। কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাব সম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ
আশা করি ভাব সম্প্রসারণটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ভাব সম্প্রসারণটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়টিতে যাওয়া যাক।

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

মানবজীবনে সৌভাগ্য সহজে আসে না। কিন্তু সৌভাগ্য সকলেরই কাম্য। সৌভাগ্য অর্জন করতে হলে নিরলস শ্রম আর একনিষ্ঠ সাধনার একান্ত প্রয়োজন। বিনা পরিশ্রমে সৌভাগ্য লাভ করা যায় না।

পৃথিবীর সকল কাজের পেছনে শ্রম একটি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। শ্রম ব্যতীত কখনোই কোনো কাজ সম্পন্ন হয় না। অর্থ-বিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জনের মূলে রয়েছে শ্রম। শ্রম আছে বলে আজ পৃথিবী এ সভ্যতায় পৌছতে পেরেছে। পৃথিবীর প্রতিটি উন্নত জাতির উন্নতির মূল কারণ তাঁদের পরিশ্রম। পরিশ্রম বিমুখ জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। তাই ব্যক্তিজীবন কিংবা সাংসারিক জীবনে উন্নতির জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য। কিন্তু এক্ষেত্রে কারো কারো ধারণা এমন যে, সৌভাগ্য অর্জন শুধু স্রষ্টা প্রদত্ত ব্যাপার; বিধাতা যাকে সৌভাগ্যবান হিসেবে পাঠাবেন তার কোনো পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। বস্তুত এরূপ বদ্ধমূল ধারণা থেকেই মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে কিছু লোককাহিনি; যেগুলোর অধিকাংশে রয়েছে দৈবলব্ধ অর্থ প্রাপ্তি কিংবা ধনলাভ। আর শ্রম- বিমুখ মানুষেরা এসমস্ত বিশ্বাসে নিজেদের কল্পনার জগতে আচ্ছন্ন করে রাখে। তাই এদের শ্রম প্রাধান্য পায় না, বরং কল্পনায় সন্তা পথ খোঁজে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য। কিন্তু শ্রমের বিকল্প যে কিছুই হতে পারে না। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শ্রমই একমাত্র পথ। আর শ্রমকে বাদ রেখে সফলতা অর্জন দুরাশামাত্র। তাই একটি কথা প্রচলিত আছে- 'পরিশ্রমে ধন আনে, পুণ্যে আনে সুখ'- কথাটি যথার্থ। শ্রমবিমুখতা ও অলসতা জীবনে বয়ে নিয়ে আসে চরম অভিশাপ। ভাগ্যে নেমে আসে অমানিশার ঘন আঁধার। আর অবিরাম শ্রমের মধ্য দিয়ে আমরা অনায়াসে দারিদ্র্যকে জয় করে সফলতা অর্জন করতে পারি। সুতরাং অর্থ, বিদ্যা, যশ, মর্যাদা, প্রতিপত্তি অর্জন করতে পরিশ্রম করতে হয়। আর নিরলস শ্রমের মধ্য দিয়ে যে কর্মযজ্ঞ তৈরি হয়, তাই সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে মানুষকে সহাযতা করে। তাই শ্রমই হলো সফলতার বীজমন্ত্র। পৃথিবীর নানা জাতির সফলতার ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে আমাদের সামনে পরিশ্রম ব্যতীত অন্য কোনো কারণ খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। কিন্তু আমাদের দেশে আজও পরিশ্রমকে তেমন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় না। বিশেষ করে কায়িক পরিশ্রম অত্যন্ত অমর্যাদাকর হিসেবে দেখা হয়। 'কৃষি প্রধান দেশ হলেও এখনো এদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী এক্ষেত্রে শ্রম-দিতে প্রচণ্ড লজ্জাবোধ করে। যদিও ইদানীং কিছু শিক্ষিত যুবক কৃষিতে শ্রম দিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে, তথাপি আনুপাতিক হারে এ সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য। আর একমাত্র পরিশ্রমই পারে সোনার বাংলা গড়তে।

পরিশ্রমই যেকোনো জাতির সৌভাগ্য সূচিত করে। সুতরাং সৌভাগ্যের জন্য নিরন্তর পরিশ্রমই হোক প্রতিটি মানুষের আরাধনা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url