বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অনুচ্ছেদ
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটি একটি। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

যুদ্ধ তখনই অনিবার্য হয়ে ওঠে যখন ন্যায়, ধর্ম, সত্য বিলুপ্ত হয়ে যায়। বাঙালি জাতির জন্যও যুদ্ধ অনিবার্য হয়েছিল যখন পাকিস্তান শাসকের শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতন আর বৈষম্য চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। ১৯৪৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ধর্মের আবরণে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। কিন্তু শুরু থেকে শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যনীতি পূর্ব পাকিস্তানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সকল ব্যাংক-বিমা, অফিস-আদালত পশ্চিম পাকিস্তানে গড়ে ওঠে। সরকারি চাকরিতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কোনো অধিকার ছিল না। আর্থনীতিক, রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক সকল পর্যায়ে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের কোনো স্থান ছিল না। তারা নির্যাতিত হতে থাকে। এরই মধ্যে ১৯৪৮ সালে জিন্নাহর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা বাংলার ছাত্রসমাজকে প্রতিবাদমুখর করে তোলে এবং ৫২-এর ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে ছাত্রজনতার শহিদ হওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। অতঃপর ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট; ৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন; ৬৬-এর ছয় দফা; ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন বিকাশ লাভ করে। ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি শুরু করে। তারা বৈঠকের নামে ষড়যন্ত্রের ও জটিলতার শুরু করে এবং ভেতরে ভেতরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। এরপর অকস্মাৎ ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মানুষ হত্যার নারকীয় তাণ্ডব শুরু করে। বাঙালি জনতা ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা শোনে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে। শুরু হয় স্বাধীনতা সংগ্রাম। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর ৩০ লাখ শহিদের আত্মবিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। অনেক ধর্ষণ, হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের পর বর্বর পাকবাহিনী পরাস্ত হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের চেতনা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url