বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। বাংলা পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কেই পড়ার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি বিজয় দিবস অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এ আর্টিকেলটিকে আপনাদের জন্য বিজয় দিবস অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে।
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিম্নে উল্লেখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।

বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে স্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশন্ত্র সংগ্রামের পর পাকিস্তানি বর্বরদের পরাজিত করে আমাদের দেশ শত্রুমুক্ত হয়। আমরা বিজয় অর্জন করি এবং এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় জীবনে নতুন অধ্যায় সূচিত হয়। যার জন্য আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, যা বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় একটি স্বাধীন দেশের সঙ্গে আমরা পেয়েছি নিজস্ব মানচিত্র ও পতাকা। এ দিবসেই আমরা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের ইতিহাসে প্রতিষ্ঠা লাভ করি। তবে এ বিজয় একদিনে আসেনি। বহুকাঙ্ক্ষিত এ বিজয় অর্জন করতে দীর্ঘ পরিশ্রম করতে হয়েছে। ১৯৪৭ সালে জিন্নাহর দ্বিজাতিত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান রাষ্ট্র দুটির সৃষ্টি এবং সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাঙালি ও পশ্চিম পাকিস্তানিদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। প্রথমত ভাষাকে কেন্দ্র করে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন যা বাঙালি ও উর্দুভাষী পাকিস্তানিদের মধ্যে বৈষম্য ও সংঘাত এবং পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করে। ভাষা আন্দোলন বাঙালির মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সঞ্চার করে। ফলে ১৯৬৬ সালে "ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি প্রকাশ করে। এরপরে এগারো দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সংঘটিত হয় ব্যাপক জাগরণ। যার ফলে ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে। ১৯৭০-এ সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা ও আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বৈঠকের নামে জটিলতা শুরু করে জুলফিকার আলী ভুট্টো ও ইয়াহিয়া খান। এমন পরিস্থিতিতে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, ২৫শে মার্চ পাকবাহিনী রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করে। ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস চলে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর মিলিত শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে। ৩০ লাখ লোকের প্রাণের বিনিময়ে এবং অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতা পাই। তাই দিনটিকে অত্যন্ত ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করা হয়। এ দিনে অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সর্বত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী পতাকা উত্তোলন করেন ও কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও গণমাধ্যম বিভিন্ন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করে। বিজয় দিবসের তাৎপর্য জাতীয় জীবনে অনুধাবন করে দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url