সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি
খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে
আপনাদের জন্য সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ
অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে
ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ
পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে
নেওয়া যাক।
সড়ক দুর্ঘটনা
বর্তমানে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘুম থেকে উঠে
দৈনিক সংবাদপত্র হাতে নিলেই চোখে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে
ঝরে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত অসংখ্য তাজা প্রাণ। সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাভাবিক বিকলাঙ্গ জীবন।
আমাদের দেশের অপ্রশস্ত রাস্তা, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন,
ট্রাফিক ব্যবস্থার ত্রুটিপূর্ণতা, ভাঙা রাস্তা, চালকের অমনোযোগিতা, পথচারীর
অসতর্কতা ইত্যাদি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। অধিকাংশ চালক ট্রাফিক আইন মান্য করে
না। তাছাড়া আমাদের দেশের চালকেরা অশিক্ষিত হওয়ার কারণে তারা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে
সচেতন নয় এবং ট্রাফিক সংকেত সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। পথচারীরা অসাবধানতার
সঙ্গে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময়ও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বর্তমানে পথচারীরা
মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হয় যার ফলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমান
জরিপে দেখা গেছে, প্রতি বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারায় প্রায়
একুশ হাজার মানুষ। তাছাড়া পঙ্গু, বিকলাঙ্গ হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। সরকারের সঠিক
তদারকি, ট্রাফিক আইনের যথাযথ ব্যবস্থা, চালকের সচেতনতা, জনসচেতনতা, প্রশস্ত
রাস্তা ও রাস্তায় নামানোর আগে যানবাহনের ইঞ্জিন পরীক্ষা করে নেওয়া সড়ক দুর্ঘটনা
বহুলাংশে কমাতে পারে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url