নানান দেশের নানান ভাষা ভাবসম্প্রসারণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি নানান দেশের নানান ভাষা ভাব সম্প্রসারণটি
খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা, আমরা এ
আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য নানান দেশের নানান ভাষা, বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি
আশা? ভাব-সম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাব-সম্প্রসারণ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। প্রিয় পাঠক আপনি
যদি ভাব সম্প্রসারণটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে মূল
বিষয়ে যাওয়া যাক।
নানান দেশের নানান ভাষা
বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?
মূলভাবঃ মাতৃভাষ্য সবার কাছে
প্রিয়। মানুষ মাত্রই তার মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে সবচেয়ে অধিক তৃপ্তি লাভ
করে। মাতৃভাষা যত সহজে বোধগম্য হয় অন্য ভাষা তত সহজে বোধগম্য নয়। পরিপূর্ণভাবে
মনের ভাব প্রকাশের যে পরিতৃপ্তি তা স্বদেশি-ভাষা ছাড় অন্য কোনো ভাষায় পাওয়া যায়
না।
সম্প্রসারিত ভাবঃ মাতৃদুগ্ধ
শিশুর পক্ষে যেমন পুষ্টিকর, বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষা তেমনই সর্বোৎকৃষ্ট
মাধ্যম। মাতৃভাষা প্রাণ-মনকে দেয় তৃপ্তি আর চিন্তা চেতনাকে দেয় দীপ্তি।
প্রতিদিনের ভাবের আলাপন, সুখ-দুঃখ, আশা-নৈরাশ্য, আনন্দ-বেদনা, স্বপ্ন-কল্পনার
প্রকাশ হয় মাতৃভাষায়। তাই মাতৃভাষা মনোভাব প্রকাশে যত উপযোগী অন্য ভাষা ততোটা নয়।
বিদেশি ভাষায় যতই দক্ষতা অর্জন করুক, মাতৃভাষার ন্যায় এমন সাবলীলভাবে মনের ভাব
প্রকাশ করা বিদেশি ভাষায় সম্ভব নয়। মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে মানুষ যতটা
স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং আনন্দ পায়, অন্য ভাষায় তা পায় না। কারণ মাতৃভাষার সঙ্গে
রয়েছে তার আত্মিক সম্পর্ক। মাতৃভাষা যেমন প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার অবলম্বন, তেমনই
চিন্তা-চেতনা, জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনার মাধ্যম হিসেবেও এর কোনো বিকল্প নেই। তাই দেখা
যায়, মাতৃভাষায় জ্ঞানানুশীলন ব্যতীত বিশ্বে কোনো জাতিই উন্নতি লাভ করতে পারেনি।
ইংরেজরা যেদিন ফরাসিকে মাতৃভাষার ওপরে স্থান দিয়েছিল, তখন সে দেশের সাহিত্যের
স্ফুরণ হয়নি। স্ফুরণ হয়েছিল, যেদিন মার্টিন লুথার মাতৃভাষায় পবিত্র বাইবেলের
অনুবাদ করে দেশের মানুষের বাইবেল ও মাতৃভাষা উভয়কেই অসীম মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা
করলেন। রাশিয়াও মাতৃভাষাকে স্বীকার করেই জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্যের গৌরবময়
অগ্রগতির পথে বিশিষ্ট মর্যাদায় চিহ্নিত হয়েছে।
মন্তব্যঃ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা,
বিমূর্ত চেতনা মাতৃভাষার মাধ্যমেই সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়। যে জাতি পৃথিবীতে
শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ইত্যাদি কাজে মাতৃভাষার যত বেশি চর্চা করেছে,
সে জাতির তত বেশি উন্নতি হয়েছে। তাই সর্বত্রই মাতৃভাষার চর্চা ও প্রয়োগ নিশ্চিত
করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url