বর্ষাকাল অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি বর্ষাকাল অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য বর্ষাকাল অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটিও একটি।
বর্ষাকাল অনুচ্ছেদ
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে নিতে উল্লেখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।

বর্ষাকাল

আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। গ্রীষ্মের দাবদাহ শেষে প্রকৃতির বুকে অপরূপ বর্ষার আগমন ঘটে। এ ঋতুর প্রধান বৈশিষ্ট্য সজল মেঘে ছাওয়া আকাশ, কর্দমাক্ত মাঠ-ঘাট, নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা কানায় কানায় পূর্ণ, গাছপালার সতেজ রূপ ইত্যাদি। বর্ষাকালে বাতাসে মৌসুমি বায়ুর উপস্থিতি বেশি থাকার কারণে বৃষ্টিপাত বেশি হয়ে থাকে। মৌসুমি বায়ুর আগমনে জ্যৈষ্ঠের গুমোট গরমের ভাবটা কেটে গিয়ে প্রশান্তির একটা হাওয়া বয়ে যায়। আষাঢ়-শ্রাবণে বর্ষার অঝোর বর্ষণ গোটা পরিবেশটাকেই প্রাণবন্ত করে তোলে। বর্ষার আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা-কালো মেঘ। কখনো বৃষ্টি, কখনো মেঘ, কখনো রৌদ্র। ষড়ঋতুর অন্যতম বর্ষা ঋতু যা বাংলাদেশের আবহাওয়া, পরিবেশ, আর মানুষের মনোজগতকে বদলে দেয়। অঝোর ধারায় বৃষ্টিস্নাত হয় ধরিত্রী, রোদে ঝলসে যাওয়া গাছপালা হয়ে ওঠে সবুজ প্রাণবন্ত। বর্ষার বৃষ্টির ধ্বনি আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়কে অভিভূত করে। এ কারণে এ দেশের কবি-সাহিত্যিক বর্ষাকে নিয়েই অধিক সাহিত্য বচনা করেছেন। বর্ষার সুশীতল বর্ষণ প্রকৃতির সকল চাওয়া পাওয়াকে তৃপ্ত করে। ছোটো বড়ো সরোবর, ডোবা-নালায় অজস্র শাপলা শালুকের সমারোহ চোখে পড়ে। কদম, কেয়ার স্নিগ্ধ হাসি কবি মনকে উদাসীন করে তোলে। বর্ষার আগমনে খাল-বিল সব তলিয়ে পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নদীগুলোর দুইপাড় পানিতে ভেসে যায়। বর্ষার অতি বৃষ্টিতে অনেক সময় বন্যাও দেখা যায়। বন্যাতে অনেক সময়ই আমাদের দেশের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। গ্রামীণ জনপদ বর্ষার পানিতে টইটম্বুর হয়ে ওঠে, বাড়িগুলো বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়। বর্ষা আমাদের প্রকৃতিকে যেমন ফলে ফসলে ভরিয়ে দেয় তেমনই আমাদের মনকেও স্পর্শ করে। গুরুগুরু মেঘের ডাকে ধানখেতে বিচরণ করে কই, শিং আরও কতো ছোটো আকৃতি ও প্রকৃতির মাছ। কদম বর্ষার প্রতীক। এ সময় বাতাসে ভেসে আসে কদম ফুলের গন্ধ। বর্ষায় আমন ধানসহ অন্যান্য ধান আর অর্থকরী ফসল পাটের খুব ভালো আবাদ হয়। বর্ষায় জমিতে পলি পড়ে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে। বর্ষা প্রকৃতিকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিয়ে যায়। বর্ষা যেমন আনন্দ বয়ে আনে তেমনই কখনো কখনো দুঃখ, কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url