বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কেই বিভিন্ন অনুচ্ছেদ পড়ার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে একজন সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য উক্ত এই অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ
আশা করি অনুচ্ছেদটি পরীক্ষায় লিখে আপনারা ভালো নম্বর আনতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ অর্জন করেছি যার নাম বাংলাদেশ। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্মদানের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আর তারই গৌরবময় ও উজ্জ্বল প্রকাশ হলো এই পতাকা। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার একটি ইতিহাস রয়েছে। আমাদের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস। ব্রিটিশদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে শুরু করে পাকিস্তানি শাসকের নির্যাতনের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়, জন্ম নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক, মুক্তির প্রতীক আমাদের জাতীয় পতাকা। ১৯৭১ সালের ২৩শে মার্চ পাকিস্তানি বাধাকে তুচ্ছ করে বাংলার দামাল ছেলেরা বাংলার আকাশে উত্তোলন করে সবুজের ওপর লাল বৃত্তের মাঝে বাংলাদেশের সোনালি মানচিত্র সংবলিত এই পতাকা। দেশ স্বাধীন হবার পরেও এ পতাকা প্রচলিত ছিল, পরবর্তীকালে এই পতাকা পরিবর্তন করা হয় অর্থাৎ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ঘন সবুজের ওপর লাল বৃত্ত বসানো হয়। পতাকার আয়তন ১০৪ ৬ বা ৩০৫ সে.মি. (১০ ফুট)ঃ ১৮৩ সে.মি. (৬ ফুট)। এই অনুপাত ঠিক রেখে যেকোনো আকারের পতাকা তৈরি করা যায়। মোটরগাড়িতে ব্যবহারের পতাকার মাপ হবে দৈর্ঘ্য ১৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ৯ ইঞ্চি; ভবনে ব্যবহারের পতাকার আয়তন হবে দৈর্ঘ্য ৩০৫ সে.মি. (১০ ফুট), গ্রন্থ ১৮৩ সে.মি. (৬ ফুট)। পতাকার মাঝখানে লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ হবে। আমাদের জাতীয় পতাকার সবুজ ও লাল রঙের তাৎপর্য রয়েছে। পতাকার সবুজ অংশ বাংলাদেশের শ্যামল প্রকৃতি, তারুণ্য, সজীবতা এবং আনন্দের প্রতীক। আর লাল বৃত্তটি উদীয়মান সূর্য ও সাম্যের ইঙ্গিত বহন করে। লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তারই বিমূর্ত প্রতীক এই বৃত্ত। এর রয়েছে প্রতীকী অর্থও। সূর্য যেমন- অন্ধকার দূরীভূত করে আলোকিত করে তেমনই এই লাল বৃত্তটিও দেশ ও জাতির কল্যাণের এবং শোষিত মানুষের মুক্তির বারতা বহন করছে। আবার সূর্য কিরণ যেমন সব মানুষ সমানভাবে লাভ করে তেমনই সূর্যখচিত লাল বৃত্তটিও সবশ্রেণির বাংলাদেশিদের মধ্যে সমতা বিধান করছে। শাস্তি, ঐক্য, একতা ও সম্ভাবনার বাণী বহন করে জাতীয় পতাকা। এই পতাকার মর্যাদা ও পবিত্রতা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে যার জন্য সরকার কতকগুলো নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। এটি আমাদের গর্ব। স্কুল, কলেজ, পার্লামেন্ট, আদালত, বড়ো অফিসে এটি নিয়মিত উড়ানো হয়। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয়। শোক দিবসে এই পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url