বাংলাদেশের পাখি অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ। আপনি কি বাংলাদেশের পাখি অনুচ্ছেদটি
খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একজন সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কারন আমরা এই
আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য বাংলাদেশের পাখি অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটিও একটি।
পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ পড়ার প্রয়োজন পড়ে। আশা করি এই
অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক
হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত
পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের পাখি
বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য পাখি। বিচিত্র বর্ণবাহারে এবং অপূর্ব কণ্ঠ-মাধুর্যে তারা
দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি জাতির মন-হরণ করে আসছে। বাংলাদেশের প্রকৃতিতে পাখিরা এনে
দিয়েছে অধিক সৌন্দর্য ও মোহনীয় মাধুর্য। পুব-আকাশে সূর্যোদয়ের আগেই তারা সমবেত
কলকাকলিতে বাঙালির ঘুম ভাঙায়, সারাদিন সেবা ও সৌন্দর্যে মনোরঞ্জন করে, দিনান্তে
এক অপূর্ব বিদায়-রাগিণী সৃষ্টি করে তারা আপন নীড়ে ফেরে। বাংলাদেশের পাখিদের একটা
নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। বাংলার কাকের কণ্ঠে প্রথম প্রভাত রাগিণীটি বেজে ওঠে। তারপর
শ্যামা, ফিঙে, দোয়েল, পাপিয়া তাদের বিচিত্র কলতানে সৃষ্টি করে অপূর্ব ঐকতান। এরা
গ্রামবাংলার মুখর গায়ক, উদাসী বাউল। বাঙালি কবিরা এদের প্রশন্তি রচনা করেছেন।
বুলবুল একেবারে বাংলার ঘুমপাড়ানি গানে অমরত্ব লাভ করে আছে। বসন্তের কোকিল বহু
প্রশংসিত। ময়না ও কাকাতুয়া শিশু পাঠ্যপুস্তকে স্থান গ্রহণ করেছে তাদের জনপ্রিয়তার
গুণে। চন্দনা-টিয়াও বাংলাদেশে বিশেষ জনপ্রিয়। গ্রীষ্মকালে চাতকের জল প্রার্থনা,
জ্যোৎস্না-নিশীথে নিদ্রা-কাতর ক্ষণে 'বউ-কথা-কও' পাখির ডাক এক অনবদ্য
সুর-মূর্ছনায় বাংলাদেশের আকাশকে ভরিয়ে দেয়। বাংলাদেশের পানিতেও নানা প্রজাতির
পাখির বাসস্থান দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে পাতিহাঁস, বক, মাছরাঙা, ধনেশ, বেলেহাঁস,
পানকৌড়ি, চিল, গাংচিল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সুতরাং সুন্দর পরিবেশ ও সৌন্দর্যকে
বাঁচিয়ে রাখতে পাখিদের রক্ষায় আমাদের সচেতন হয়ে উঠতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url