ভাবসম্প্রসারণ : বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ। পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে নানান
ভাবসম্প্রসারণ পড়ার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন
করতে হয় ভাবসম্প্রসারণটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন,
কেননা আমরা আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য এই ভাবসম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি।
আশা করি ভাবসম্প্রসারণটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ভাব
সম্প্রসারণটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে
যাওয়া যাক।
চবিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয়
গুরু উত্তরসাধক মাত্র
মূলভাবঃ বিদ্যা অমূল্য সম্পদ।
নিজের চেষ্টা ও সাধনা ছাড়া এটি অর্জন করা যায় না। শিক্ষক শিক্ষার্থীকে
বিদ্যার্জনের পথ দেখিয়ে দিতে পারেন, অনুপ্রাণিত করতে পারেন, তার শক্তিকে জাগ্রত
করতে পারেন, এর বেশি কিছু নয়। বিদ্যার্জনের জন্য ছাত্রকেই মূল ভূমিকা পালন করতে
হয়।
সম্প্রসারিত ভাবঃ মানবজীবনে
বিদ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনকে সুন্দর ও সফল করার জন্য বিদ্যালাভ করা একান্ত
প্রয়োজন। তাই মানুষ বিদ্যালাভের প্রত্যাশী। এ প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য
বিদ্যার্থীরা বিদ্বান ব্যক্তির তথা শিক্ষকের সহায়তা গ্রহণ করে। কিন্তু শিক্ষক
শিক্ষার্থীকে বিদ্যা গিলিয়ে দিতে পারেন না। শিক্ষার্থীকেই নিজের চেষ্টা ও সাধনা
দ্বারা বিদ্যা অর্জন করতে হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর ভূমিকাই প্রধান। শিক্ষক
শিক্ষার্থীর বিদ্যার্জনে সহায়তা করেন মাত্র। তিনি ছাত্রকে উপদেশ দেন, পথ ও পন্থা
নির্দেশ করেন এবং বিদ্যার সাধনায় অনুপ্রাণিত করেন। বিদ্যার্জনের মূল কাজটুকু
ছাত্র বা শিষ্যকেই করতে হয়। শিষ্য তার গুরু বা শিক্ষকের নির্দেশিত পথ ও পন্থা
অনুসারে বিদ্যার্জনে ব্রতী হয়। এক্ষেত্রে শিষ্য যদি গুরুর ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল
হয়ে পড়ে তাহলে তার বিদ্যার্জনের সাধনা সফল হবে না। শিষ্যকে নিজের বিদ্যা নিজের
চেষ্টা দ্বারাই অর্জন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। গুরুর
ওপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে কাঙ্ক্ষিত বিদ্যার্জন কখনো সম্ভব হবে না। গুরু
শিষ্যের প্রতিভা আবিষ্কার করতে পারেন, প্রতিভা বিকাশের উপায় বলে দিতে পারেন,
কিন্তু নিজে শিষ্যের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে না। কাজটি শিষ্যকে গুরুর দেখানো
পথ অনুসরণ করে নিজের চেষ্টাতেই করতে হয়। বস্তুত গুরুর কাজ শিষ্যকে তার প্রতিভার
সন্ধান দেওয়া, তাকে সচেতন করা, তার শক্তি-সামর্থ্যের ধারণা দেওয়া এবং সর্বোপরি
তাকে অনুপ্রাণিত করা। শিষ্যকে নিজের শক্তি- সামর্থ্য দ্বারা একাগ্রচিত্তে সাধনা
করেই বিদ্যার্জন করতে হয়।
মন্তব্যঃ এ জগতে পরের চেষ্টায়
কখনো নিজের কাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি ঘটে না। যেকোনো প্রাপ্তির জন্য প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বিদ্যার্জনের ক্ষেত্রে এর বিকল্প নেই। গুরু বা শিক্ষকের পন্থা অনুসরণ করে
শিষ্যকেই পরিশ্রম করে তা অর্জন করতে হয়। শিক্ষক বা গুরু এক্ষেত্রে সহায়ক মাত্র।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url