বাংলা রচনা : শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ভূমিকা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ। আপনি যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের
ভূমিকা রচনাটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছে। কেননা আমরা এই
আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারের ভূমিকা রচনাটি তুলে ধরেছি।
পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন রচনা পড়ার প্রয়োজন পড়ে। আশা করি রচনাটি
আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি রচনাটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে
আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ
শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটার
শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ভূমিকা
ভূমিকা
বর্তমান বিশ্বে বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো কম্পিউটার। শিক্ষা, চিকিৎসা,
ব্যবসায়-বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
কাজের গতি, বিশুদ্ধতা, নির্ভুলতা ও নির্ভরশীলতার দিক থেকে কম্পিউটারের ক্ষমতা
মানুষের চেয়ে অনেক বেশি ও অনেক উন্নত। বিশেষত আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় কম্পিউটারের
ভূমিকা অপরিসীম।
শিক্ষাব্যবস্থায় কম্পিউটারের ভূমিকা
আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির অন্যতম বাহন হলো কম্পিউটার। শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটার
ব্যবহার করা আজকাল প্রায় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন
ধরনের কার্যাবলি পরিচালনা করতে শিক্ষক, ছাত্র সকলকেই কম্পিউটারের সাহায্য নিতে
হয়। শিক্ষাব্যবস্থায় যেসব ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় সেগুলো নিম্নে তুলে
ধরা হলো-
শিক্ষা প্রদানঃ কম্পিউটার
ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করার পদ্ধতিকে আনন্দদায়ক ও স্বতঃস্ফূর্ত করে
তোলা যায়। কম্পিউটারের সাহায্যে কোনো কাহিনি বা কার্টুন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের
কাছে যেকোনো পাঠকে আকর্ষণীয় ও হৃদয়গ্রাহী করা যায়। বর্তমানকালে মাল্টিমিডিয়া
প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়।
শিক্ষা গ্রহণঃ ইন্টারনেট ব্যবহার
করে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময়ে যেকোনো শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে
পারে। এতে করে শিক্ষা গ্রহণে বৈচিত্র্য আসে এবং শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তির
সঙ্গেও পরিচিত হতে পারে। বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট, শ্রেণি-উপস্থাপনা ইত্যাদি
ক্ষেত্রে তারা কম্পিউটারের সাহায্যে সব কাজ করতে পারে। এছাড়াও বর্তমান সময়ে
যেকোনো শিক্ষা সংবলিত তথ্য পেন ড্রাইভে ধারণ করেও কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করছে
শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে কম্পিউটারের ভূমিকাঃ
পরীক্ষার খাতা দেখা, ফল তৈরি ও প্রকাশ এসব কাজ যেন নির্ভুলভাবে সম্পাদন করা যায়
সেজন্য কম্পিউটারের ওপরই নির্ভর করতে হয়। পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে আইসিটি
কার্যক্রম ও কম্পিউটারের ভূমিকার কথা বলাই বাহুল্য। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক
পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সহজ করার লক্ষ্যে Electronic
Students Information Form (ESIF)-এর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে অনলাইন
প্রযুক্তির মাধ্যমে এসএসসি, এইচএসসি, দাখিল, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা, শিক্ষক
নিয়োগ ও নিবন্ধন, পরীক্ষার ফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ, এসএমএস-এর মাধ্যমে এবং ই-মেইলের
মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের নিকট ৬০ দিনের মধ্যে প্রেরণ করা হচ্ছে।
ব্যানবেইস কর্তৃক স্থাপিত Online data query-এর মাধ্যমে Criteria ভিত্তিক
শিক্ষা-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেশে ফল মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত গ্রেডিং
পদ্ধতি কম্পিউটারের কার্যপদ্ধতির প্রতি আস্থা রেখেই চালু করা হয়েছে।
ভর্তি সংক্রান্ত কাজে কম্পিউটারের ব্যবহারঃ
শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ফরম সংগ্রহ করে সহজেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে
ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে শুরু করা হয়েছে। কেবল দেশের মধ্যেই নয়,
দেশের বাইরেও যদি কোনো শিক্ষার্থী লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে ভর্তি হতে ইচ্ছুক থাকে
তবে কম্পিউটারের ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে ভর্তি হতে পারে।
যোগাযোগে কম্পিউটারঃ কম্পিউটারের
মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছে এছাড়াও
বিশ্বের কোনো অত্যাধুনিক লাইব্রেরির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজন হলে তাও খুব
সহজে করতে পারেছে। ফলে শিক্ষার্থী ঘরে বসেই তার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে
সক্ষম হচ্ছে। শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য বা বিষয় ই-মেইলের মাধ্যমে
আদান-প্রদানও করতে পারে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ফিচার ইত্যাদি নিমিষেই একজন শিক্ষার্থী নিজের
প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারে কম্পিউটারের কল্যাণে।
উচ্চশিক্ষায় কম্পিউটারঃ ইদানীং
শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশ গমনের প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
এক্ষেত্রে কম্পিউটার বিশ্বস্ত এবং উপকারী বন্ধুর মতোই কাজ করে থাকে। বিদেশে
যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ কিংবা যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানার
উদ্দেশ্যে অনুসন্ধান করতে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। ঘরে বসেই
শিক্ষার্থীরা অনায়াসে এসব তথ্য সংগ্রহ করে উপকৃত হচ্ছে।
উপসংহার
কম্পিউটার সর্বত্রই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে
কম্পিউটারের ব্যবহার মানুষকে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url