দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ। আপনি কি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অনুচ্ছেদটি
খুজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কেননা আমরা এই
আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অনুচ্ছেদটি খুব সহজ হবে তুলে
ধরেছি। আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটিও একটি। প্রিয় পাঠক আপনি যদি
অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত
অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি
আমাদের দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি আজ আর কোনো বিশেষ সংবাদ নয়।
প্রতিবছর বা প্রতিমাসে তো বটেই, প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে।
ফলে মানুষ নানা ধরনের বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে
আমাদের দেশের স্বল্প আয়ের মানুষের দুঃখের সীমা থাকে না। ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য
বৃদ্ধি জীবনে অসন্তোষ, ক্রোধ ও ও বিদ্বেষ পুঞ্জীভূত করে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পায়। চাকরিজীবী মানুষের ওপর এর প্রভাব আরও
বেশি। তাদের হিসাব করা অর্থে পুরো মাসের সংসার নির্বাহ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্যহীন, মজুতদারি, কালোবাজারি ইত্যাদি কারণে
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। বর্তমান সমাজজীবনে ধর্মঘট, আন্দোলন- এগুলোর প্রভাবে
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঘটে। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির পরিণাম ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে
মারাত্মক ক্ষতিকর। অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্রব্য অবৈধভাবে মজুত রেখে বাজারে জোগানের
কৃত্রিম ঘাটতি সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পথ তৈরি করে বেশি মূল্যে তাদের
মজুত করা দ্রব্য বিক্রি করে। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য আমাদের কার্যকরী
পদক্ষেপ নিতে হবে। অবৈধ মজুত করা বন্ধ করতে হবে। চাহিদা অনুসারে আমাদের ফসল
উৎপাদন করতে হবে। জমিতে রাসায়নিক সার ও বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদ করে ফলন বৃদ্ধি
করতে হবে। সর্বোপরি সরকারের সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করতে
পারলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url