মানবাধিকার অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ। আপনি কি মানবাধিকার অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি খুজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কেননা আমরা এই আর্টিকালিটিতে আপনাদের জন্য মানবাধিকার অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। বাংলা পাঠ্য বইয়ের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ রয়েছে তার মধ্যে এটিও একটি।
মানবাধিকার অনুচ্ছেদ
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।

মানবাধিকার

প্রতিটি মানুষের জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্য অধিকারই মানবাধিকার। মানুষ এ অধিকার ভোগ করবে। মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। এ অধিকার একই সঙ্গে সহজাত ও আইনগত অধিকার। অর্থাৎ মানবাধিকার বলতে বোঝায় মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা যা সকল মানুষের ন্যায়সংগত অধিকার। তবে যে ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হোক তা হবে ন্যায়সংগত। মানবাধিকারের ধারণাটি আঠারো শতকে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের বিকাশকালের ফসল। তবে সাম্প্রতিক এ ধারণার উদ্ভব ঘটেছে। মৌলিক অধিকারের ধারণার বিকাশ ঘটে মূলত সর্বজনীন ঘোষণাপত্র এর মাধ্যমে যা ১৯৪৮ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিপুল ধ্বংসের অভিজ্ঞতা থেকে। জাতিসংঘ কর্তৃক এটি গৃহীত তবে মানবাধিকারের আলোচনা বিশ্বব্যাপী প্রসার লাভ করে বিশ শতকের চল্লিশ থেকে নব্বইয়ের দশকের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে। বর্তমানে যেকোনো বিচার প্রাপ্তির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকারের ধারণা একটি প্রাথমিক কাঠামোগত ভিত্তি হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত। ব্যাপক পরিসরে বিষয়টি এভাবেই দেখা যায় যে, একজন মানুষ মানবাধিকার প্রত্যাশা করে তার দল, গোত্র, সমাজ, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের নিকট। অর্থাৎ ব্যক্তি হিসেবে প্রতিটি মানুষ তার মানব অস্তিত্বের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে মানবাধিকার পাওয়ার যোগ্য। ধারণাটি সাম্প্রতিক হলেও বহুপূর্ব থেকে প্রচলিত বিভিন্ন প্রথা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের মূলে এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। কাজেই যেকোনো মানুষের জন্য মানবাধিকার তার একান্ত প্রাপ্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url