ভাবসম্প্রসারণ : মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন বিলাস নহে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ। আপনি যদি মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন বিলাস
নহে ভাবসম্প্রসারণটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা
এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন বিলাস নহে ভাবসম্প্রসারণটি
তুলে ধরেছি। আশা করি ভাব সম্প্রসারণটি আপনাদের উপকারে আসবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। প্রিয় পাঠক আপনি
যদি ভাব সম্প্রসারণটি ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিচে
উল্লেখিত ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেওয়া যাক।
মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন বিলাস নহে
মূলভাবঃ মানবজীবনে ধনসম্পদের
প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এ সম্পদ যদি ঐশ্বর্য প্রদর্শন কিংবা বিলাসিতার একমাত্র
উপলক্ষ্য হয়, তবে এর প্রকৃত মর্যাদা হারিয়ে পৃথিবীতে ধনসম্পদ বরং বড়ো ধরনের
জঞ্জালের সৃষ্টি করে। ধনসম্পদ যথার্থ মূল্য তখনই পায় যখন মানুষের কল্যাণে কিংবা
বিশ্বশান্তি স্থাপনে ব্যয় হয়।
সম্প্রসারিত ভাবঃ পৃথিবীর কোনো
কাজই অর্থ ছাড়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। মানুষের জীবনে প্রত্যক্ষ কিংবা
পরোক্ষভাবে অর্থ-ধন-সম্পদের প্রয়োজন রয়েছে একথা অনস্বীকার্য। ব্যক্তি, সমাজ এবং
রাষ্ট্রজীবনে সবখানেই অর্থের দরকার। তাই অর্থ উপার্জনে মানুষ দিনরাত অক্লান্ত
পরিশ্রম করে। অনেকে এক সময় প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিকও হন। কিন্তু এ বিশাল
অর্থ-সম্পদ যখন শুধু তারই বিলাসিতার উদ্দেশ্যে ব্যয় হয় তখনই প্রশ্ন জাগে- অর্থ কি
শুধু বিলাসিতার জন্যই উপার্জন করা হয়? কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোনো ব্যক্তির বিপুল
অর্থের পাহাড় শধু নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য আর বিলাসিতার জন্য নয়, বরং মানবকল্যাণে
এবং সামাজিক অগ্রগতি সাধনে ব্যয় হওয়া উচিত। তাহলেই অর্থসম্পদ উপার্জনের প্রকৃত
সার্থকতা পাওয়া যায়। ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় অনেকে অর্থসম্পদকে করায়ত্ত করে
শুধু নিজের ভোগবিলাস আর দাম্ভিকতার জন্য। অন্যদিকে, সর্বহারা মানুষদের
দীর্ঘশ্বাসের প্রতি এদের কোনো ধরনের সহানুভূতি নেই। সুতরাং এ অর্থসম্পদ
প্রকারান্তে অনিষ্টের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুধু অর্থ আর অর্থের চিন্তায় মানুষের
মনুষ্যত্বকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। প্রস্তু ধনসম্পদই জন্ম দেয় পৃথিবীতে মারাত্মক
অশান্তি। অর্থসম্পদের মাত্রাতিরিক্ত বৈষম্যে আজ মানবতার বাণী নীরবে কাঁদে। সুতরাং
মানুষের বৃহত্তর কল্যাণে ধনসম্পদ, অর্থ-কড়ি ব্যয় হওয়া প্রয়োজন। অনেক মহান ব্যক্তি
তার অর্থ-সম্পদ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন। হাজী মুহম্মদ মুহসীন নিজের বিপুল
অর্থসম্পদ এদেশের শিক্ষা ও দরিদ্র মানুষদের জন্য দান করেছেন। খান বাহাদুর আহসান
উল্লাহসহ আরও অনেক মানুষ পৃথিবীতে তাদের সম্পদ মানব- কল্যাণে ব্যয় করে চিরস্মরণীয়
হয়ে আছেন। এছাড়াও দেশি, বিদেশি অনেক সংগঠন, সংস্থাও মানব কল্যাণে এগিয়ে আসছেন।
মন্তব্যঃ বিশ্বায়নের এই যুগে
অজস্র সম্পদ মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে। ধনসম্পদের সুষম বণ্টনের মধ্য দিয়ে তাদের
সম্পদকে মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যয় করতে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মানব কল্যাণে
অর্থ ব্যয় করার মধ্যেই থাকে প্রকৃত সার্থকতা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url