ভাবসম্প্রসারণ : সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ। আপনি যদি সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা ভাবসম্প্রসারণটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা ভাবসম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি। আশা করি ভাব সম্প্রসারণটি আপনাদের উপকারে আসবে।
সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ভাব সম্প্রসারণটি ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেওয়া যাক।

সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা

মূলভাবঃ মানবজীবনে সততা অন্যতম একটি মহৎ গুণ। সততা অর্জন করা একটি ইস্পাত কঠিন কাজ। কিন্তু শত কষ্টের মধ্যেও যিনি এ গুণ অর্জন করেন, পৃথিবীতে তার প্রতিষ্ঠা পাওয়া অনেক সহজ।
সম্প্রসারিত ভাবঃ বিশ্বচরাচরে ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ, সত্য-মিথ্যা পাশাপাশি অবস্থান করে। এ জগতে যেমন সাধু, সত্যবাদী মানুষ রয়েছে, তেমনই রয়েছে ভণ্ড, মিথ্যাবাদীও। জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন সততা আর কর্মে একনিষ্ঠ সাধনা। মানবজীবনে সততা 'পরশপাথরের' মতোই মূল্যবান। তাই সৎ ব্যক্তি স্বীয় সততার বলেই মানুষের বিশ্বাসভাজন হয় এবং প্রভৃত সম্মান অর্জন করেন। অন্যদিকে অসৎ ব্যক্তিরাও সম্মান-প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জন করে থাকে। কিন্তু তাদের উন্নতি সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী। অসৎ ব্যক্তি অবৈধ পথে যতই অর্থ-বিত্ত-সম্পদ অর্জন করুক- তবু সে সমাজে ঘৃণিত। পক্ষান্তরে কোনো দরিদ্র ব্যক্তি যদি সততার সঙ্গে জীবন অতিবাহিত করেন, তবে সকলেই তাকে শ্রদ্ধা করে। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রেই সৎ পথের মানুষেরা জীবনে উন্নতির স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে কথাটি সহজেই অনুধাবন করা যায়। কিন্তু তারপরেও আজকের এই আধুনিক বিশ্বে সততার অভাব। আবার নানা জায়গায় সততা মূল্যহীন হয়ে পড়ছে। আজ সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ, জ্ঞানী মানুষ সমাজে চরমভাবে অবহেলিত। অথচ যেখানে অসৎ, কপট, ভণ্ড ব্যক্তিরা দুর্দণ্ড প্রতাপে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে নিজের প্রচারণা চালায়। তাই জীবনানন্দ দাশ এ ভণ্ড, কপটদের সম্বন্ধে যথার্থ ক্ষোভেই উল্লেখ করেছেন। 'যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা'। তদুপরি পৃথিবীতে অনেক সৎ, ন্যায়বান ও গুণী লোক রয়েছেন। যারা মানুষের কল্যাণে এখনো নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন। এছাড়াও ইতিহাসের পাতায় আরও অনেক জ্ঞানী-গুণী মনীষীর কথা জানা যায়, যারা জীবনের চরম দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে থেকেও কখনো অসৎ পথ অবলম্বন করেননি। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবি হজরত মুহম্মদ (স.) তাঁর শত্রুদের কাছ থেকেই জীবনের প্রথম 'আল-আমিন' বা বিশ্বাসী উপাধি লাভ করেন। এছাড়াও বড়োপির হজরত আব্দুল কাদের জিলানি (র.) সহ অসংখ্য মনীষী ব্যক্তিজীবনে কখনোই মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেননি, বরং অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টেও সততার পথেই জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাই তাঁরা পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করেছেন।
মন্তব্যঃ সততাই মানবজীবনকে পরিপূর্ণ করে। জীবনের নানা দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা অতিক্রম করে সত্যের পথে চলতে হয়। আর সত্যের মধ্যে মানবজীবনের পরম সার্থকতা নিহিত থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url