প্রতিবেদনঃ মোবাইল ফোনের অপব্যবহার

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি মোবাইল ফোনের অপব্যবহার প্রতিবেদনটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছি।
মোবাইল ফোনের অপব্যবহার
আশা করি প্রতিবেদনটি আপনাদের উপকারে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি প্রতিবেদনটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লিখিত প্রতিবেদনটি পড়ে নেওয়া যাক।

প্রতিবেদকের নামঃ ক
প্রতিবেদনের প্রকৃতিঃ বিশেষ প্রতিবেদন
প্রতিবেদনের শিরোনামঃ মোবাইল ফোনের অপব্যবহার
প্রতিবেদন তৈরির সময়ঃ রাত ৯টা
তারিখঃ ২০শে জুন ২০২১

মোবাইল ফোনের অপব্যবহার

মোবাইল ফোন যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে। সমগ্র বিশ্বকে হাতের মুঠোয় বন্দি করেছে এই মোবাইল ফোন। মুষ্টিবদ্ধ মোবাইলটির কাছে কান পাতলে মুহূর্তেই বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নিরবচ্ছিন্ন ভাবের আদান- প্রদান ঘটে। তারবিহীন ও সহজেই বহন করা যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এর চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় আর কী হতে পারে? বিপদে-আপদে, আনন্দ-বেদনায়, হর্ষ-বিষাদে, জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল এখন প্রতিটি মানুষের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু বর্তমান সমাজব্যবস্থায় মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে মোবাইলের অপব্যবহার নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিভিন্ন শ্রেণির মোবাইল ব্যবহারকারী ও প্রাশাসনিক কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা নিম্নরূপঃ

১. চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাস প্রভৃতি অসামাজিক কার্যকলাপে মোবাইল ফোন সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

২. মোবাইলের দ্বারা সহজেই সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী চক্রের নাশকতামূলক কার্যক্রম সংঘটিত হতে পারে।

৩. মোবাইলের নেটওয়ার্কের কারণে অগ্রিম সংবাদ পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

৪. মোবাইল ফোনের কারণে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় অনেক ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

৫. মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন মানবদেহের ক্ষতি করে থাকে। এর রেডিয়েশন মানুষের দেহে উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে ব্রেন টিউমারের মতো কঠিন রোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। এছাড়া মোবাইলের রিংটোন হার্টের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকর।

৬. মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে অশালীন ছবি তোলা, এছাড়াও খারাপ অসামাজিক কার্যকলাপের বিভিন্ন ধরনের ভিডিওচিত্র ধারণ করাসহ নানারকম অনৈতিক কার্যকলাপ করা হয়।

৭. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেয়েদের বিরক্ত করাসহ নানাবিধ অসামাজিক কর্ম সংঘটিত হয়।

আজকাল যন্ত্রের ওপর নির্ভর করেই যেন আমাদের নিত্য পথ চলা। যন্ত্রের সঙ্গে আমরা হয়ে পড়েছি যান্ত্রিক। যান্ত্রিকতা মানুষকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছে বটে। কিন্তু জীবনকে করেছে আবেগশূন্য। তদুপরি একথা বলতেই হয় যে, যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল যেন জাদুর কাঠি। প্রত্যেকটি জিনিসেরই নেতিবাচক এবং ইতিবাচক দুটি দিকই থাকে। মোবাইল ব্যবহারকারীরা মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক দিকগুলো পরিহার করে ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগাতে পারে।

মোবাইলের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা জীবনকে সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে তুলতে পারি, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url