বৃক্ষরোপণ প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি বৃক্ষরোপণ সম্বন্ধে প্রতিবেদন খুঁজছেন?
যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে
আপনাদের জন্য বৃক্ষরোপণ প্রতিবেদন তুলে ধরেছি।
আশা করি প্রতিবেদনটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি প্রতিবেদনটি
পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ
পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক।
'পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য চাই বৃক্ষরোপণ'- এই শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশ উপযোগী
একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
অথবা, মনে কর, তুমি ফরহাদ, একটি
জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধি। 'পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্যে চাই
বৃক্ষরোপণ'- এ শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশ উপযোগী একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
অথবা, মনে কর, তুমি তাপস। 'দৈনিক
ইত্তেফাক' পত্রিকার একজন প্রতিনিধি। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণের
গুরুত্ব বর্ণনা করে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন লেখ।
অথবা, মনে কর, তুমি সোহাগ। দৈনিক
"প্রথম আলো" পত্রিকার একজন প্রতিনিধি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণের
গুরুত্ব বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
প্রতিবেদকের নাম : ক
প্রতিবেদনের শিরোনাম : পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য চাই বৃক্ষরোপণ
প্রতিবেদনের প্রকৃতি : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন
প্রতিবেদন তৈরির সময় : রাত ৮টা
সরেজমিনে তদন্তের স্থান : 'ক', 'খ', 'গ' স্থানের বনভূমি
তারিখ : ২০শে জুলাই ২০২১
সংযুক্তি : ৫ কপি ছবি ('ক', 'খ', 'গ' স্থানের বনভূমির দুরবস্থার চিত্র।)
পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য চাই বৃক্ষরোপণ
মানবজীবনের সঙ্গে বৃক্ষের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। বৃক্ষ মানুষের পরম বন্ধু। মানব
সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখি যে, সভ্যতার শুরু হয়েছিল অরণ্যের
স্নিগ্ধ রমণীয়তায়, বৃক্ষ-লতা-তৃণ-গুল্ম শোভিত প্রকৃতির স্নেহ নীড়ে। প্রকৃতিমায়ের
অফুরন্ত স্নেহের দানে পুষ্ট হয়ে তখনকার মানুষ ক্রমে ক্রমে এগিয়ে আসে সভ্যতার
দিকে। কিন্তু সভ্যতাকে ধরে রাখার জন্য মানুষের প্রয়োজন পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ
সংরক্ষণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা উচিত।
কিন্তু নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে আমদের দেশে রয়েছে মোট আয়তনের শতকরা ১৬ ভাগ
মাত্র। বন উজাড় করার ফলে বিলুপ্তি ঘটছে বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের। বৃক্ষ
শূন্যতার কারণে বর্তমান বিশ্ব ক্রমেই তার স্বাভাবিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। তাই
কেবল পরিবেশ সংরক্ষণই নয়, পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য, জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য
বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
বৃক্ষ মানুষের পরম উপকারী বন্ধু। বৃক্ষ না থাকলে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব
বিপন্ন হয়ে পড়ত। বৃক্ষ আমাদের অক্সিজেন দিয়ে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, বৃক্ষের এতসব উপকারী দিক
থাকা সত্ত্বেও সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশের মানুষ নির্দ্বিধায় গাছপালা কেটে
সম্পূর্ণ বনকেই নিঃশেষ করে ফেলছে। এ কারণে বিশ্ব পরিবেশ আজ বিপর্যন্ত ও হুমকির
সম্মুখীন।
তাই আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখা এবং খরার কারণে খাদ্যঘাটতির হাত থেকে
দেশকে রক্ষার জন্য বন সম্প্রসারণের বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এখন সরকারি ও
বেসরকারি উদ্যোগে দেশের সকল অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ অভিযান চলছে। এক্ষেত্রে সমুদ্রতীরের
বনায়ন বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ১৯৯৬ সালে উপকূল ও উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চলে ম্যানগ্রোভ
গাছপালা লাগানো শুরু হওয়ার পর ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বনায়ন
সম্পন্ন হয়েছে।
জনগণকে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করার জন্য সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই
ধারাবাহিকতায় গত তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশগত
ভারসাম্যের জন্য বৃক্ষনিধন নয় বরং বৃক্ষরোপণ করে পৃথিবীকে সবুজের সমারোহে ভরে
দিতে হবে। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার জন্য বৃক্ষমেলা সবকটি জেলা এবং
উপজেলায় সম্প্রসারণ করতে পারলে বৃক্ষরোপণ আন্দোলন আরও জোরদার হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url