ডেঙ্গু জ্বর অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ
পড়ার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বর অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম
সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কারণ আমরা আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য ডেঙ্গু জ্বর
অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটিও একটি। আশা করি অনুচ্ছেদটি
আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন
তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা
যাক।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা ১০৩/১০৪ ডিগ্রি
ফারেনহাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এডিস নামক এক ধরনের মশার কামড়ে ডেঙ্গু ভাইরাস
সংক্রমিত হয়। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে, বিশেষত রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু ভয়ানক আকার
ধারণ করেছে। ২০২২ সালেই সর্বাধিক ২৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু
ভাইরাস বহনকারী স্ত্রী এডিস মশা কাউকে কামড় দিলে মশার লালার মাধ্যমে ডেঙ্গু
ভাইরাস ত্বকের ভেতরে শ্বেত কোষে প্রবেশ করে। প্রবল সংক্রমণে শরীরের ভেতরে
ভাইরাসের উৎপাদন অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দেহের অনেক প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং
ধীরে ধীরে রক্তনালিতে কম রক্ত সংবহিত হয়। ফলে অস্থিমজ্জা কাজ না করায় অনুচক্রিকা
বা প্লাটিলেটের সংখ্যাও কমে যায়। ২০০৯ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডেঙ্গু রোগের
কিছু খারাপ লক্ষণ প্রকাশ করে। সেগুলো হলো- তীব্র পেট ব্যথা, মাত্রাতিরিক্ত বমি
হওয়া, শরীরে পানি জমে যাওয়া, প্রচন্ড ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করা, লিভার দুই
সেমির চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া, প্লাটিলেট কমে যাওয়া ইত্যাদি। ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান
উপায় হচ্ছে এডিস মশা নিধন এবং এডিস মশার কামড় এড়িয়ে চলা। এজন্য এডিস মশার
বংশবিস্তার রোধে বাড়ির পাশে কোনো পাত্রে যাতে পানি জমা না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখা।
এছাড়াও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং
প্রয়োজন অনুযায়ী প্লাটিলেট দেওয়া। আমাদের মনে রাখতে হবে "Prevention is better
than cure" অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url