ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের অনুচ্ছেদ পড়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনাদের জন্য আমরা ইন্টারনেট অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এ অনুচ্ছেদটি অন্যতম।
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ
আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।

ইন্টারনেট

টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদানের প্রযুক্তিকে বলা হয় ইন্টারনেট। বিশ্বব্যাপী তথ্য যোগাযোগের অতি আধুনিক নেটওয়ার্ক হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেট-এর শব্দগত বিশ্লেষণ করলে তাকে International Network-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে পাওয়া যায়। ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হলেও এর প্রকৃত যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। ১৯৯০ সালে ইন্টারনেটের কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯৯৪ সালেই ইন্টারনেট শব্দটি ব্যবহৃত হয় এবং তা ব্যাপকভাবে পরিচিত হতে থাকে। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার, মডেম, টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেট সংযোগ সফট্ওয়্যার। ইন্টারনেটের জনক হলেন Vinton Gray Cerf. ইন্টারনেটকে সাধারণত দুইভাগে ভাগ করা যায়। একটি অফলাইন ইন্টারনেট (Off- line internet) অন্যটি অনলাইন ইন্টারনেট (On-line internet)। বাংলাদেশে অনলাইন ইন্টারনেট চালু হয় ১৯৯৬ সালের ৪ঠা জুন। এটি অনেক ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। ইন্টারনেটের সুবিধাসমূহ অপরিমেয়। ইন্টারনেট হলো তথ্যের বিশাল ভান্ডার। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দ্রুতগতিতে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে তার যেকোনো তথ্য অন্য কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে পাঠাতে পারে। গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য অতি সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নানা ধরনের পণ্য বা দ্রব্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে অতি সহজেই কেনাকাটা করতে পারেন। এছাড়াও নিত্য নতুন উদ্ভাবনের ফলে ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে রোগীর সেবা দেওয়া হয়। এছাড়াও বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বহুবিধ কাজ করা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারে শীর্ষদেশ চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে। ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশ এখনও আশানুরূপ জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। অথচ দেশ-জাতির উন্নয়নে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। এজন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url