মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার
অনুচ্ছেদ পড়ার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে
একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কারণ আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য মোবাইল
ফোন অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আশা করি আপনাদের উপকারে
আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট
না করে শুরু করা যাক।
মোবাইল ফোন
বর্তমানে বিজ্ঞান তথা প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন মানবসভ্যতার জন্য
আশীর্বাদস্বরূপ। মোবাইল ফোন হলো এক প্রকার টেলিকম ইলেকট্রনিক যন্ত্রবিশেষ। মোবাইল
অর্থ ভ্রাম্যমাণ বা স্থানান্তরযোগ্য। এ ফোন সহজে যেকোনো স্থানে বহন করা এবং
ব্যবহার করা যায় বলে মোবাইল ফোন নামকরণ করা হয়েছে। এটি ষড়ভুজ আকৃতির ক্ষেত্র বা
এক একটি সেল নিয়ে কাজ করে বলে এটি 'সেল ফোন' নামেও পরিচিত। মোবাইল ফোন বেতার
তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বলে অনেক বড়ো ভৌগোলিক এলাকায় এটি নিরবচ্ছিন্নভাবে
সংযোগ দিতে পারে। শুধু কথা বলাই নয়, আধুনিক মোবাইল ফোন দিয়ে আরও অনেক সেবা গ্রহণ
করা যায়। এর উদাহরণ হলো খুদেবার্তা (এসএমএস) বা টেক্সট মেসেজ সেবা, এমএমএস বা
মাল্টিমিডিয়া মেসেজ সেবা, ই-মেইল সেবা, ইন্টারনেট সেবা, ক্যামেরা, গেমিং,
ব্যাবসায়িক বা আর্থনীতিক ব্যাবহারিক সফটওয়্যার ইত্যাদি। যেসব মোবাইল এসব সেবা
প্রদান করে তাদের স্মার্ট ফোন বলা হয়। ড. মার্টিন কুপার ও জন ফ্রান্সিস মিচেলকে
প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে। ১৯৭৩ সালে মোবাইল ফোন
আবিষ্কার হলে এর প্রথম বাণিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে। মোবাইল ফোনের
ব্যবহার বিশ্বকে হাতের নাগালে এনে দিয়েছে। এর সবচেয়ে বড়ো যে সুবিধা তা হলো দ্রুত
যোগাযোগ। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালে এপ্রিল মাসে। বর্তমানে
বাংলাদেশে মোট ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানি রয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় মোবাইল ফোনের
প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। প্রযুক্তির এই ব্যাপক উৎকর্ষ একদিকে যেমন সুফল বয়ে এনেছে
তেমনই এর কিছু অপব্যবহারও আছে। তবে এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে মোবাইল ফোন
ব্যবহারকারীর ওপর বর্তায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url