বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ। আপনি যদি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এ আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুচ্ছেদটি খুব সহজভাবে তুলে ধরেছি।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুচ্ছেদ
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

অপরূপ আমাদের বাংলাদেশ। ঋতুতে ঋতুতে তার প্রকৃতিজুড়ে রূপের মেলা বসে। ঋতুবৈচিত্র্যের এমন অপরূপ প্রকাশ বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও দেখা যায় না। প্রতিটি ঋতু এখানে প্রকৃতিকে সাজায় তার অনুপম রূপসজ্জায়। বাংলাদেশের প্রকৃতির রঙ্গশালায় প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম। চারদিকে প্রখর অগ্নিদাহ নিয়ে আবির্ভাব ঘটে এ রুদ্র তাপসের। সর্বত্রই যেন বিস্তৃত মরুভূমির তপ্ত প্রান্তর। সমগ্র জীবজগতে নেমে আসে এক বিবর্ণতার ছায়া। এরপর বাংলাদেশে বর্ষা আসে মহাসমারোহে। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি ও গুরুগম্ভীর বজ্রধ্বনির মধ্য দিয়ে বর্ষার শুভাগমন হয়। শুষ্ক মাঠ-প্রান্তর, জলাশয় যেন ফিরে পায় তাদের হারানো যৌবন। রিমঝিম বর্ষা দিনরাত আমাদের কানে যেন সেতার বাজিয়ে চলে। বর্ষার বিদায়ের পর আসে শরৎ যা প্রকৃতিতে আনে অন্যরকম পরিবর্তন। বর্ষণক্ষান্ত মেঘ নিরুদ্দেশে ভেসে চলে। চারদিকে সৌন্দর্যের দরজা খুলে যায়। চলে জ্যোৎস্নার লুটোপুটি। এরপর আসে হেমন্ত। শরতের মতো হেমন্তের নেই উৎফুল্লতা তবে পল্লির মাঠে-প্রান্তরে দেখা যায় হেমবরণী ধান্য শিষের খেলা। হেমন্ত দিনে চলে নবান্নের উৎসব। উৎসবে মুখরিত হয় পল্লির মাঠ-ঘাট, নদী-প্রান্তর। হেমন্তের বিদায়ে আগমন ঘটে শীতের। হেমন্তের প্রৌঢ়ত্বের পর আসে শীতের বীরস বার্ধক্য। এসময় ধান কাটা মাঠে কী সীমাহীন শূন্যতা, কী বিশাল তারুণ্য। এরপরও চলে ঘরে ঘরে আনন্দ। খেজুরের রসে মানুষ উপভোগ করে শীতকে, মেতে ওঠে পিঠাপুলির উৎসবে। শীত ঋতুর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে আবির্ভাব ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের। দক্ষিণের মৃদুমন্দ বাতাসের জাদু স্পর্শে শীতের জরাগ্রস্ত পৃথিবীর সর্বাঙ্গে লাগে অপূর্ব শিহরন। শিমুল, কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উচ্ছ্বাসে অফুরন্ত প্রাণবন্যায় মেতে ওঠে মানুষ ও প্রকৃতি। ঋতুচক্রের এরকম বিচিত্র বিকাশ পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। তাইতো জীবনানন্দ দাশ বাংলাদেশকে 'রূপসি বাংলা' নামে অভিহিত করেছেন। শুধু ঋতুবৈচিত্র্যই নয়, সবুজ বন-বনানী, খাল- বিল, পাহাড় টিলা এদেশকে রূপসি করে তুলেছে। এছাড়া নানা রকম পাখি ও রংবেরঙের ফুল বাংলার প্রকৃতিতে অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। মূলত, প্রকৃতি ও মানুষের জীবনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যেই দেশের প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তাই বলা যায়, অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এই রূপসি বাংলাদেশ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url