রোহিঙ্গা সংকট অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি রোহিঙ্গা সংকট অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি
খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কারণ আমরা এই আর্টিকেলটিতে
আপনাদের জন্য রোহিঙ্গা সংকট অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি অনুচ্ছেদ। আশা করি
আপনাদের উপকারে আসবে। যদি আপনি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের
এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন শুরু করা যাক।
রোহিঙ্গা সংকট
রোহিঙ্গা সমস্যা এখন বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা সংকট। ২০১৭ সালের আগস্টে
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের নৃশংস শিকার হয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ১০
লক্ষ রোহিঙ্গাকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ বছর ধরে তাদেরকে
আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসার জোগান দিলেও তারা এখন বিশ্বের রাষ্ট্রহীন নাগরিক। কেননা
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। প্রথম দিকে অনেকবার মিয়ানমার
সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কার্যকর আলোচনা হলেও
তারা ফিরিয়ে নেয়নি। অথচ বাংলাদেশের পক্ষে দীর্ঘ সময় তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব
নয়। তাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরলে তারা সাহায্য
করতে তৎপর হয়। নানা দিক থেকে নানাভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও
তারা সহিংসতা বন্ধ করেনি। জাতিসংঘসহ কয়েকটি দেশ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি
আনানের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের পক্ষপাতী। কারণ এর মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সংকটের
সুষ্ঠু ও স্থায়ী সমাধান সম্ভব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার যৌক্তিক
সমাধানের পথ প্রশস্ত হোক- এটাই বিশ্ব সম্প্রদায়ের আশাবাদ। বাংলাদেশও বিশ্ব
সম্প্রদায়ের কার্যকর তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ
সমাধানে আশাবাদী।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url