মাদককে না বলুন প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি মাদককে না বলুন প্রতিবেদনটি খুঁজছেন? যদি
খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে
আপনাদের জন্য মাদককে না বলুন প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছি।
আশা করি প্রতিবেদনটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি প্রতিবেদনটি
পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ
শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক।
মাদকাসক্তি যুবসমাজের 'অবক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণ। এ বিষয়ে প্রকাশ উপযোগী
একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
অথবা, মনে কর, তোমার নাম তামিম।
তুমি 'দৈনিক যুগান্তর' পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। 'মাদককে না বলুন' শিরোনামে একটি
সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।
অথবা, মনে কর, তুমি তুহিন।
'দৈনিক সমকাল' পত্রিকার রংপুর মহানগর প্রতিনিধি। 'মাদককে না বলুন' শিরোনামে একটি
সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।
অথবা, মনে কর, তুমি অনন্যা
চৌধুরী, দৈনিক সমকাল পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি। 'মাদকাসক্তির বিস্তার' বিষয়ক
একটি সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি কর।
প্রতিবেদকের নাম : 'ক'
প্রতিবেদনের শিরোনাম : মাদকাসক্তি যুবসমাজের অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ
প্রতিবেদনের প্রকৃতি : বিশেষ প্রতিবেদন
প্রতিবেদনের লক্ষ্য : তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ
প্রতিবেদন তৈরির সময় : রাত ৮টা
তারিখ : ১০ই মে ২০২১
মাদকাসক্তি যুবসমাজের অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ
যুবসমাজ দেশের ভবিষ্যৎ। তারা প্রবীণদের স্থান দখল করবে ভবিষ্যতে। একটি দেশের
যুবসমাজ জ্ঞানে, কর্মে, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অগ্রসরমান হলে সেদেশের উন্নতি কেউ
ঠেকাতে পারে না। অন্যদিকে কোনো কারণে যুবসমাজে অবক্ষয় দেখা দিলে সে জাতি অঙ্কুরেই
ধ্বংস হয়ে খেতে বাধ্য। আমাদের দেশে অনেক তরুণ আছে। এদের চলার পথ বিচিত্র,
ভাবনাচিন্তার জগৎ এদের রুদ্ধ, নানা সমস্যায় জীবন বিপর্যন্ত। বিভিন্ন কারণে এদের
নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। তবে তদন্ত করে দেখা গেছে যে, মাদকাসক্তিই যুবসমাজের অবক্ষয়ের
অন্যতম কারণ।
মাদকাসক্তি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া:
বর্তমানে মাদকাসক্তি আমাদের সমাজে এক সর্বনাশা ব্যাধিরূপে বিস্তার লাভ করছে। এর
ভয়াবহ পরিণতি দেখে আজ প্রশাসন বিচলিত, অভিভাবকেরা আতঙ্কিত, চিকিৎসকেরা দিশেহারা।
যুবশক্তিই দেশের প্রাণ, মেরুদণ্ড। নেশার ছোবলে সেই মেরুদণ্ড আজ ভেঙে পড়েছে। ঢলে
পড়ছে মৃত্যুর কোলে।
মাদকাসক্তি যে যুবসমাজের অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ তার দৃষ্টান্ত নিচের তথ্যাবলি:
(১ ) বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় বলা হয়েছে, তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর ৫৭,০০০
লোকের মৃত্যু হয় এবং ৩,৮২,০০০ লোক তামাক ব্যবহার করায় পঙ্গু হয়ে বেকার অবস্থায়
জীবন কাটায়। একটি গবেষণায় দেখা যায়, মাদকাসক্তের ৮০% ধূমপায়ী এবং এদের মধ্যে ৪৪%
নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। উল্লেখ্য আমাদের জনসাধারণের শতকরা ৫৫% কোনো না
কোনো ধরনের তামাক ব্যবহার করে। ধূমপায়ীদের একটা বড়ো অংশ তরুণসমাজ।
(২) বিভিন্ন মাদক নিরাময় কেন্দ্র এবং মানসিক হাসপাতালগুলোতে পরিচালিত এক
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, এসব কেন্দ্রে যত রোগী রয়েছে তারা প্রায় সবাই
তরুণ-যুবক। যাদের বয়স ১৫-১৬ এর মধ্যে।
(৩) খোলা বাজারে, বস্তিতে মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতার কারণেই যুবসমাজ খুব সহজেই
মাদকসেবী হয়ে ওঠে।
(৪) স্থানীয় থানা পুলিশের কাছ থেকে জানা যায় যে, যুবসমাজের মধ্যে যারা বিভিন্ন
প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের অধিকাংশই মাদক সেবন করে।
(৫) সমাজে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে, যুবসমাজের মধ্যে মাদক সেবন বৃদ্ধি পাওয়ার
কারণেই সমাজে চুরি, ছিনতাই, রাজনীতিক দ্বন্দ্ব-কলহ ইত্যাদির মাত্রা বৃদ্ধি
পেয়েছে।
(৬) মাদকাসক্তির ব্যক্তিগত দিক ছাড়াও এর আরও একটি ব্যাবসায়িক দিক রয়েছে যা বিশাল
অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত। ফলে তরুণসমাজ খুব সহজেই নগদ প্রাপ্তির লোভে মাদক
ব্যবসায়ের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ছে। এর মূলেও রয়েছে মাদকাসক্তি।
(৭) সবচেয়ে ভয়াবহ ও লজ্জাজনক হলো আজকাল মেয়েরাও ফ্যাশন হিসেবে কিংবা যুবকদের
সঙ্গে অতি-আধুনিকতার নামে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে প্রকাশ্যে ধূমপান করছে,
এমনকি বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবনও করছে।
মাদকাসক্তির হাত থেকে দেশের তরুণসমাজকে রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন ব্যক্তিগত উদ্যোগ
ও সামাজিক প্রতিরোধ। অবশ্য এ ব্যাপারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা
হয়েছে যা আমাদের মধ্যে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করেছে। আমরা আশা করছি সময়ের
ব্যবধানে এসব উদ্যোগ আগামী প্রজন্মকে উপহার দেবে মাদকমুক্ত এক নির্মল সমাজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url