বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি বিজয় দিবস উদযাপন প্রতিবেদনটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছি।
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন
আশা করি প্রতিবেদনটি আপনাদের উপকারে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি প্রতিবেদনটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লিখিত প্রতিবেদনটি পড়ে নেওয়া যাক।

মনে কর, তুমি অনীক হোসেন। পাবনা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির একজন ছাত্র। তোমার বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবস-এর অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি প্রতিবেদন লেখ।
অথবা, মনে কর, তুমি সুমি। চাঁন বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তোমার বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিবরণ দিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন

তারিখ : ১৯শে ডিসেম্বর ২০২৩
মাননীয়
প্রধান শিক্ষক
পাবনা জিলা স্কুল
পাবনা।
বিষয়: বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে প্রতিবেদন।
সূত্র: প.জ.স. ২১/২১
জনাব
আপনার আদেশক্রমে (আদেশ নং-প.জ.স. ২১/২১) সম্প্রতি পাবনা জিলা স্কুলে অনুষ্ঠিত ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আপনার সদয় অবগতির জন্য উপস্থাপন করছি।
পাবনা জিলা স্কুলে বিজয় দিবস উদ্যাপন
গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ পাবনা জিলা স্কুলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে স্কুল প্রাঙ্গণ অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাজানো হয়। মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর, সংগীতানুষ্ঠান, প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন খেলাধুলা, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরুর প্রথমেই থাকে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল। বিকাল ৩টা থেকে বিভিন্ন খেলাধুলা, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে। অবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদ্যাপনের কর্মসূচি শেষ হয়।

স্কুলের গণিত শিক্ষক জনাব শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় জেলা প্রশাসক। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন পৌরসভা চেয়ারম্যান, স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধাগণ।

প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী তাঁর মূল্যবান বক্তৃতায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়ের গৌরব নিয়ে আমাদের দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। নতুন প্রজনন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে হবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবেই আর্থনীতিক কল্যাণ ও মুক্তি আসবে।

বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা কঠিন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যদি আমরা রক্ষা করতে পারি, তাহলে বিজয় দিবসের আনন্দ অর্থবহ হবে।

স্কুলের বাংলা শিক্ষক জনাব শাহ্ আলম একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন। এ প্রবন্ধের বিষয় ছিল, 'গৌরবময় বিজয় ও আমাদের চেতনা'। এ প্রবন্ধে তিনি তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা, স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা, আমাদের আর্থনীতিক ও সামাজিক মুক্তি ইত্যাদি বিষয়। এরপর অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।

সভাপতির বক্তৃতায় জনাব শফিকুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিল প্রতিরোধের আন্দোলন। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের নিষ্ঠুরতা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছিল। তিনি সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সবশেষে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। দেশাত্মবোধক গান ও নাচে উপস্থিত দর্শকদের আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে দেয়। তারপর মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত নাটক 'প্রজন্ম ৭১' দর্শক শ্রোতাদের মধ্যে নতুন প্রেরণা জাগায় ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।

বিনীত প্রতিবেদক
অনীক হোসেন
দশম শ্রেণি
পাবনা জিলা স্কুল, পাবনা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url