কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
কর্মমুখী-শিক্ষা-অনুচ্ছেদ
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটিও একটি । আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

কর্মমুখী শিক্ষা

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা কুসংস্কার দূর করে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করে এবং আলোর পথ দেখায়। শিক্ষা ও সংস্কৃতি সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করে। শিক্ষার মাধ্যমে চিত্তের বিকাশ ঘটে। তবে শুধু চিত্তের, বিকাশ ঘটালেই হবে না, চিত্তের উন্নয়নও ঘটাতে হবে। এর জন্যে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই। কর্মমুখী শিক্ষা বলতে বোঝায়, যে শিক্ষা অর্জন করলে বাস্তবক্ষেত্রে সরাসরি- প্রয়োগ করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা খুব কম মাত্রায় গড়ে উঠেছে। এক সময় আমাদের দেশে বংশপরম্পরায় যেসব কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটেছিল সেগুলো আজ বিলুপ্তির পথে এবং তারা পেশা ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মোট জনগণের ৫-৬ শতাংশ কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত। অথচ সে তুলনায় বাংলাদেশের মোট জনগণের ১ শতাংশেরও কম- লোক কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণ করে। আমাদের দেশে বর্তমানে কর্মমুখী শিক্ষার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে। সরকারি পর্যায়ে তিন ধরনের কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট পর্যায়। ডিগ্রি পর্যায়ে প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ, ডিপ্লোমা পর্যায়ে টেকনিশিয়ান এবং সার্টিফিকেট পর্যায়ে দক্ষ কারিগর ও কর্মী তৈরি করা হয়। চাহিদার তুলনায় প্রতিষ্ঠানের স্বল্পতা রয়েছে। এসব প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও কুটির শিল্প, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, দরজির কাজ, ছাপাখানার কাজ, নার্সারি, বই বাঁধাই, বিদ্যুতের কাজ শিখে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হলে কাউকে বেকার থাকতে হয় না। বিদেশগামী শ্রমিকদের যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি বিষয়ে পারদর্শী করে দেশের বাইরে পাঠানো যায়, তাহলে অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে। শিক্ষিত বেকার তরুণরা কম্পিউটার, মোবাইল সার্ভিসের কাজ শিখে অর্থ উপার্জন করতে পারে। বিশ্বায়নের এই যুগে সময়ের সঙ্গে চলতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই। এর জন্যে দেশে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। সবাইকে কর্মমুখী শিক্ষার ইতিবাচক দিক সম্পর্কে সচেতন হতে- হবে। কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url