রেলগাড়ি অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি রেলগাড়ি অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য রেলগাড়ি অনুচ্ছেদটি সহজ ভাবে তুলে ধরেছি।
রেলগাড়ি অনুচ্ছেদ
আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি রেলগাড়ি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লিখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।

রেলগাড়ি অনুচ্ছেদ-১

জর্জ স্টিফেনসনের প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডে ১৮২৫ সালে সমান্তরাল ধাতব পাতের উপরে চলা একধরনের গাড়ি যাত্রা শুরু করে যেটাকে রেলগাড়ি নামে অভিহিত করা হয়। জেমস ওয়াটের আবিষ্কৃত বাষ্পীয় ইঞ্জিনের সুফল হিসেবে রেলগাড়ির আবিষ্কারকে দেখা হয়। বর্তমান বিশ্বে যাত্রী ও মালামাল বহনের জন্য রেলগাড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বহু বগি বা কামরাবিশিষ্ট এই গাড়ি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে যাত্রা শুরু করে। ১৮৬২ সালে দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত প্রায় ৫৩.১১ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপন করা হয় যা বাংলাদেশের প্রথম রেলপথ। বাংলাদেশের রেলগাড়ি পরিচালনাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান 'বাংলাদেশ রেলওয়ে'। বাংলাদেশের রেল যোগাযোগের এই প্রতিষ্ঠান দুটি ভাগে বিভক্ত। যথা- পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুই ধরনের পথ রয়েছে, যথা- ব্রডগেজ ও মিটারগেজ। যদিও ন্যারোগেজ নামে আরও একটি রেলপথের ধরন বিশ্বের বহু দেশে দেখা যায়। রেলে ভ্রমণ অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও নিরাপদ।

রেলগাড়ি অনুচ্ছেদ-২

সমান্তরাল ধাতব পাতের উপরে চলা গাড়িকে রেলগাড়ি বলে। রেলগাড়িতে অনেকগুলো কামরা বা বগি সারিবদ্ধভাবে যুক্ত থাকে। বাষ্পীয় ইঞ্জিন উদ্ভাবনের সূত্র ধরে রেলগাড়ির জন্ম। বর্তমান বিশ্বে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণের কাজে এই গাড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। জর্জ স্টিফেনসনের প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডে ১৮২৫ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর বিশ্বের প্রথম রেলগাড়ি চলাচল শুরু করে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে রেলগাড়ির যাত্রা শুরু হয়। ১৮৬২ সালে দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত ৫৩.১১ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়। এটিই বাংলাদেশের প্রথম রেল। বাংলাদেশে রেলগাড়ি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। রেলপথ তিন ধরনের: ব্রডগেজ, মিটারগেজ ও ন্যারোগেজ। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ, এই দুই ধরনের রেলপথ চালু আছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলায় বর্তমানে রেলগাড়ি চলাচল করে, এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গেও বাংলাদেশের রেলযোগাযোগ রয়েছে। রেলগাড়িতে ভ্রমণ আনন্দদায়ক ও নিরাপদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url